Adsterra

a-ads

pop

Thursday, July 14, 2022

এইগুলোকে টেলিস্কোপ আবিষ্কারের আগে "তারা", "নক্ষত্র" ইত্যাদি নামেই চিনতো

এইগুলোকে টেলিস্কোপ আবিষ্কারের আগে "তারা", "নক্ষত্র" ইত্যাদি নামেই চিনতো

 এইগুলোকে টেলিস্কোপ আবিষ্কারের আগে "তারা", "নক্ষত্র" ইত্যাদি নামেই চিনতো সকলে এবং এগুলোকে কেন্দ্র করে নানা ধর্মে, সংস্কৃতিতে, নানা রকম উপকথা প্রচলিত ছিল, এমনকি এখনও আছে। অথচ আজ আমরা জানি যে আকাশে যা'ই দেখা যায় সব একই রকম বস্তু নয় এবং সবই আলোর উৎস নয়। সেখানে গ্রহাণু আছে, গ্রহ আছে, প্ল্যানেটরি সিস্টেম আছে, গ্যালাক্সি আছে, আরও অনেক অনেক কিছু আছে।

মনে পড়ছে কার্ল স্যাগানের অনুরোধে ৬ বিলিয়ন কি.মি. দূর থেকে তুলে পাঠানো ভয়েজার ১ এর ঐ ছবিটির কথা, যাকে সবাই তার দেয়া Pale Blue Dot নামেই চেনে। মহাবিশ্বের এ পর্যন্ত পাওয়া সবচাইতে স্পষ্ট এই ইনফ্রারেড ছবিটি পাঠিয়েছে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। সাড়ে বারো ঘণ্টা ধরে তোলা বিভিন্ন ছবির কমপোজিশন এই ছবিটি, যা হয়তো পূর্ববর্তী হাবল স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে তুলতে গেলে কয়েক সপ্তাহ লাগতো এবং এত পরিচ্ছন্ন হয়তো হতো না। সাধারণ ক্যামেরার সাথে ইনফ্রারেড ক্যামেরার পার্থক্য হচ্ছে, ইনফ্রারেডের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সাধারণ আলোর চাইতে একটু বেশি হওয়ায় গ্যাস ক্লাউড এর আড়াল হয়ে যাওয়া বিভিন্ন (ইনফ্রারেড) আলো/ আলোর উৎসও ধরা পড়ে। অর্থাৎ, আপনি যে ছবির দিকে তাকিয়ে আছেন, এটি খালি চোখে দেখা যেত না, আপনি এই মুহূর্তে আপনার ফোনের/ ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে মহাকাশে থাকলেও না।
এখানে বহু পুরনো গ্যালাক্সি/ গ্যালাক্সি ক্লাস্টার আছে যা হয়তো এখন আর নেই! হয়তো এতদিনে ছবিতে থাকা নানা জায়গায় আরও নতুন নতুন গ্যালাক্সি গঠিত হয়েছে! এখানে SMACS 0723 নামে একটি গ্যালাক্সি ক্লাস্টার আছে যেটিকে দেখা যাচ্ছে ৪.৬ বিলিয়ন বছর পুরনো, অর্থাৎ আমাদের সৌরজগৎ এর উৎপত্তির সময়ে/ আগে যার উৎপত্তি! আবার এমন কিছু অবজেক্ট আছে যেগুলো মহাবিশ্বের উৎপত্তির মাত্র এক বিলিয়ন বছর পরের! যেমন একটি গ্যালাক্সি থেকে আলো এসেছে ১৩.১ বিলিয়ন বছর ভ্রমণের পরে!
বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে মানুষ এভাবেই আরও বেটার তথ্য উপাত্ত জোগাড় করে চলেছে এবং আপনার আমার মতো মানুষের জন্য ঘরে বসেই সেগুলোর সুবিধা উপভোগ করার এবং নিজের মত প্রকাশের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর আমরা ঘরে বসে বলে দিচ্ছি, "সব এডিট করা যায়", "আমার অমুক ধর্মগ্রন্থে আগেই বলা ছিল এই কথা", "মহাবিশ্ব এতো বিশাল, তাহলে আমার প্রভু কতোই না বিশাল", "বিজ্ঞান তো দুই দিন পরেই বলবে আরেক কথা"... ... ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে মানুষের জ্ঞানের পরিধি যতই বাড়ছে, বিভিন্ন ধর্মের ধার্মিকদের মধ্যে অস্বস্তি যে ততোই বাড়ছে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। কারণ এখন আর "নক্ষত্র" দেখে অতীত ভবিষ্যৎ বলা ধান্দাবাজ গুলোকে মানুষ বিশ্বাস করে না, "তারকা"কে ছুঁড়ে মারার মতো অস্ত্র বলে মানুষ বিশ্বাস করে না খুব সহজে।
এগুলো কীভাবে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারে? 🙂
ওয়েল! জানতে চাইলে দেখতে পারেন লিংক গুলো ভিজিট করে। হয়তো আমার চাইতে আপনি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন, কে জানে!

No comments:

Post a Comment

আপনার মেসেজের জন্য ধন্যবাদ, আপনাদের সকল মেসেজ গুলি আমি দেখি, ব্যাস্ততার জন্য অনেক সময় উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়না, আশা করি সময় করে সবার উত্তর দিবো, ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

Latest

হাতের স্পর্শে সত্যিই কি স্তনের আকার বৃদ্ধি

Featured Post

আলট্রাসনগ্রাম ছাড়াই যেভাবে জানবেন গর্ভের শিশু ছেলে নাকি মেয়ে! জেনে নিন বিস্তারিত-

গর্ভবতী নারীদের সঙ্গে তার বন্ধুরা বা আত্মীয়রা কথা বলার সময় অবশ্যই জিজ্ঞেস করেন, শিশুটি ছেলে না কি মেয়ে হবে? এটি প্রায় সকলের জন্য একটি মজ...

jk