নিরাপদ যৌনতার জন্য কন্ডোমের (Condom) বিকল্প নেই। এর পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের সঙ্গে যৌন রোগও এড়ানোও যায়। তবে যৌন সঙ্গমের সময় অনেক পুরুষই কন্ডোম খুলে ফেলেন। এই ধরনের ঘটনাকে অপরাধ হিসেবে মনে করছে নিউজিল্যান্ডের একটি আদালত।
এনজি হেরাল্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন জনৈক মহিলা। তাঁর দাবি, ওই ব্যক্তি সঙ্গমের সময় কন্ডোম খুলে ফেলেন। তার জেরে মানসিক ও শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। ওয়েটিংটনের আদালতে ওই পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে পারস্পরিক সমঝোতা, ধর্ষণ ও বিশ্বাসভঙ্গের মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে নিউজিল্য়ান্ডের আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, মহিলা সঙ্গিনীর ভরসা ভেঙে কন্ডোম খোলা গুরুতর অপরাধ। এতে সন্তানসম্ভবা হতে পারেন ওই মহিলা। শারীরিক, মানসিক ও পারিবারিক সমস্যার কারণ হতে পারে এমন আচরণ। এতে আমন্ত্রণ দেওয়া হচ্ছে যৌন রোগকেও। এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ ক্ষমার অযোগ্য। আদালতের এই পর্যবেক্ষণে মনে করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তির হাজতবাসের সাজা হতে পারে। সঙ্গমের সময় সঙ্গিনীর ইচ্ছা বিরুদ্ধে কন্ডোম খুলে ফেলার ঘটনা আমেরিকা, ব্রিটেন ও সুইডেনের মতো দেশে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। আইনিভাষায় তা প্রতারণা। বিখ্যাত সাংবাদিক জুলিয়ান অ্যাসেঞ্জের বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ উঠেছিল। অনেক বছর পুরনো মামলা হওয়ায় সাজা পাননি তিনি।
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৫ বছরের তুলনায় নিউজিল্যান্ডে মহিলাদের উপরে যৌন অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশ। ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশেও নারীদের উপরে অত্যাচারের ঘটনা ঊর্ধ্বমুখী। এর পাশাপাশি হিংসাপূর্ণ এলাকাগুলিতেও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন মহিলারা। এনিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘও।
No comments:
Post a Comment
আপনার মেসেজের জন্য ধন্যবাদ, আপনাদের সকল মেসেজ গুলি আমি দেখি, ব্যাস্ততার জন্য অনেক সময় উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়না, আশা করি সময় করে সবার উত্তর দিবো, ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।