Adsterra

a-ads

pop

Friday, July 29, 2022

ছেলেটা – হুমায়ূন আহমেদ

 

ছেলেটা – হুমায়ূন আহমেদ

আমি এলিফেন্ট রোডের যে এ্যাপার্টমেন্ট হাউসে থাকি তার নিয়ম কানুন খুব কড়া। যে-কেউ ইচ্ছা করলেই ঢুকতে পারে না। গেটেই তাকে আটকানো হয়। রিসিপশনিস্ট (মহিলা নয়, পুরুষ) কঠিন গলায় জিজ্ঞেস করেন–কোথায় যাবেন? কার কাছে যাবেন? কোত্থেকে এসেছেন? এখানেই শেষ না। যার কাছে যাওয়া হবে তাকে ইন্টারকমে ধরা হয়। তাকে বলা হয়–অমুক ভদ্রলোক আপনার সঙ্গে দেখা করতে চান। পাঠাব? যদি পাঠানোর অনুমতি পাওয়া যায় তবেই দর্শনার্থী ঢুকতে পারেন।

ব্যবস্থা ভাল। উটকো লোকের ঝামেলা থাকে না।

আমি আবার এই ভাল ব্যবস্থার উপর এককাঠি। আমার দিক থেকে রিসিপশনিস্টকে নির্দেশ দেয়া আছে সকাল দশটার আগে কাউকেই যেত আসতে না দেয়া হয়। আমি রাত জেগে লেখালেখি করি,পড়াশোনা করি। ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়। হাত-মুখ ধুতে ধুতে দশটা বেজে যায়। বাসি মুখে কারো সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছা। করে না।

রিসিপশনিস্ট আমার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। একদিন তার ব্যতিক্রম হল। ভোর ছটায় ইন্টারকম বেজে উঠল। একজন ছেলে এসেছে। খুব কাঁদছে। একটা। জরুরী চিঠি সে নিয়ে এসেছে। নিজেই আমার হাতে দেবে। এক্ষুণি দিতে হবে।

আমি তাকে উপরে পাঠাতে বললাম। চেহারা দেখে মনে হল কলেজে পড়ে। ভদ্র চেহারা। মাথা নিচু করে আছে। হাতে রুমাল। মাঝে মাঝে রুমালে চোখ মুছছে। আমি বললাম, কি ব্যাপার? সে একটা কাগজ বের করে দিল। একটা চিঠি। আমাকে সম্ভাষণ করে লেখা। চিঠির ভাষা হুবহু মনে নেই মোটামুটিভাবে এরকম–

হুমায়ূন সাহেব,

আপনার মেয়ে শীলা আমার ছাত্রী। আমি খুব বিপদে পড়ে আমার ছেলেকে আপনার কাছে পাঠালাম। আমার স্বামী গতকাল রাত তিনটায় মারা গেছেন। আমার হাত একেবারে খালি। মৃতদেহের সৎকারের জন্যে এই মুহূর্তে কিছু টাকা দরকার। আপনি কি ঋণ হিসেবে আমার ছেলের হাতে দুহাজার। টাকা পাঠাবেন? ছাত্রীর বাবার কাছে টাকার জন্যে হাত পাততে হল—এই লজ্জা আমার রাখার জায়গা নেই। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক। ইতি আমি আমার মেয়েকে জিজ্ঞেস করলাম–মা,… এই নামে তোমার কোন টিচার আছেন?

শীলা বলল, হ্যাঁ, উনি আমাদের ক্লাস টিচার। খুব ভাল টিচার। আমি আর সময় নষ্ট করলাম না। ছেলেটির হাতে দুহাজার টাকা দিলাম। তাকে সান্ত্বনা দিয়ে কিছু কথা বললাম। যদিও জানি, প্রবল শোকের সময়ে সান্ত্বনার কথা খুব হাস্যকর শোনায়। ছেলেটি চোখ মুছতে মুছতে চলে গেল। আমার খানিকটা মন খারাপ হল এই ভেবে যে, মৃত্যুর প্রবল শোকের যন্ত্রণা ছাপিয়ে অর্থকষ্টের যন্ত্রণা এই সমাজে বড় হয়ে উঠছে।

হাত-মুখ ধুয়ে নাশতার টেবিলে বসেই মনে হল–একটা ভুল হয়েছে। ছেলেটি মিথ্যা কথা বলে টাকা নিয়েছে। চিঠির বক্তব্য অনুসারে ছেলেটির বাবা মারা গেছেন রাত তিনটায়—তার মাত্র তিন ঘণ্টা পরে সে টাকার সন্ধানে বের হয়েছে। এটা তো হতে পারে না। মৃত্যুর প্রাথমিক ধাক্কা সহ্য করতেও অনেক সময় লাগবে। টাকার কথা মনে হবে প্রাথমিক ধাক্কা কেটে যাবার পর।

আমার মন বেশ খারাপ হল। দুহাজার টাকা এমন কোন অর্থ না যার জন্যে মন এতটা খারাপ হবে। মন খারাপ হল ছেলেটির প্রতারণার কৌশলে। বাবার মৃত্যুর কথা বলে সে কাঁদছিল। ভান না, সত্যি সত্যি কাঁদছিল–চোখ বেয়ে টপ টপ করে পানি পড়ছিল। আমরা নানাভাবে মানুষকে প্রতারিত করি–বাবা-মার মিথ্যা মৃত্যুর কথা বলে মানুষকে প্রতারিত করি না। তাছাড়া প্রতারকের চোখে কখনো অশ্রু টলমল করে না।

তাহলে কি ছেলেটি সত্যি কথাই বলেছে? ব্যাপারটা নিয়ে খোঁজ-খবর করতেও আমার লজ্জা লাগল। যদি ব্যাপারটা সত্যি হয় তাহলে ভদ্রমহিলা কি মনে করবেন? তিনি কি ভাববেন না সামান্য দুহাজার টাকা দিয়ে সে খোঁজ-খরব শুরু করেছে?

মনের ভেতর একটা কাটা খচখচ করতে লাগল। সেদিন সন্ধ্যায় শীলাকে জিজ্ঞেস করলাম, মা, আজ কি তোমাদের ক্লাস টিচার… এসেছিলেন?

সে বলল, হুঁ।

ক্লাস নিয়েছেন?

হুঁ। ক্লাস নেবেন না কেন?

হাসি-খুশি ছিলেন?

শিক্ষকরা কখনো হাসিখুশি থাকে না। শিক্ষকরা গম্ভীর থাকে।

আমার মনটা গ্লানিতে ভর্তি হয়ে গেল। একটা নষ্ট ছেলে আমাকে বোকা বানিয়ে চলে গেছে! সে ব্যবহার করেছে একজন শিক্ষিকার নাম। সেই শিক্ষিকাকেও ব্যাপারটা জানানো দরকার।

কাজেই আমি তাকে জানালাম। তিনি অসম্ভব ব্যথিত হলেন এবং বললেন–যে ছেলে আপনার কাছে গিয়েছিল সে বাইরের কেউ না। সে আমারই ছেলে।

সে কি?

সে ড্রাগ ধরেছে। ড্রাগের টাকার জন্যে নানান কৌশল বের করে। আমার ছাত্রীদের কাছে যায়…

ভদ্রমহিলার চোখ পানিতে ভর্তি হয়ে গেল। তিনি চোখ মুছে বললেন, আমি আপনার টাকা দিয়ে দিচ্ছি।

আমি বললাম, টাকা দিতে হবে না। আপনি ছেলেটির চিকিৎসা করান।

তিনি ক্লান্ত গলায় বললেন–অনেক চিকিৎসা করিয়েছি। কিছুদিন ভাল থাকে তারপর আবার শুরু করে। আজ এই ড্রাগ আমার ছেলেকে ধরেছে–আস্তে আস্তে সবাইকে ধরবে। কি ভয়ংকর সময়ের দিকে যে দেশটা যাচ্ছে কেউ বুঝতে পারছে না! কেউ না! আপনি লেখক মানুষ, আপনিও বুঝছেন না। বুঝলে ড্রাগ বিষয়ে কিছু লিখতেন।

ভদ্রমহিলা হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলেন।

সফদার ডাক্তার – হোসনে আরা

সফদার ডাক্তার  – হোসনে আরা


সফদার ডাক্তার মাথাভরা টাক তার
খিদে পেলে পানি খায় চিবিয়ে,
চেয়ারেতে রাতদিন বসে গোণে দুই-তিন
পড়ে বই আলোটারে নিভিয়ে।
ইয়া বড় গোঁফ তার, নাই যার জুড়িদার
শুলে তার ভুঁড়ি ঠেকে আকাশে,
নুন দিয়ে খায় পান, সারাক্ষণ গায় গান
বুদ্ধিতে অতি বড় পাকা সে।
রোগী এলে ঘরে তার, খুশিতে সে চারবার
কষে দেয় ডন আর কুস্তি,
তারপর রোগীটারে গোটা দুই চাঁটি মারে
যেন তার সাথে কত দুস্তি।
ম্যালেরিয় হলে কারো নাহি আর নিস্তার
ধরে তারে কেঁচো দেয় গিলিয়ে,
আমাশয় হলে পরে দুই হাতে কান ধরে
পেটটারে ঠিক করে কিলিয়ে।
কলেরার রোগী এলে, দুপুরের রোদে ফেলে
দেয় তারে কুইনিন খাইয়ে,
তারপর দুই টিন পচা জলে তারপিন
ঢেলে তারে দেয় শুধু নাইয়ে।
ডাক্তার সফদার, নাম ডাক খুব তার
নামে গাঁও থরথরি কম্প,
নাম শুনে রোগী সব করে জোর কলরব
পিঠটান দিয়ে দেয় লম্ফ।
একদিন সককালে ঘটল কি জঞ্জাল
ডাক্তার ধরে এসে পুলিশে,
হাত-কড়া দিয়ে হাতে নিয়ে যায় চাষাড়াতে
তারিখটা আষাঢ়ের উনিশে।







|| রবী ঠাকুর ও জগদীশচন্দ্র বোসের অটুট বন্ধুত্ব ||

|| রবী ঠাকুর ও জগদীশচন্দ্র বোসের অটুট বন্ধুত্ব ||

☘️
🗓️ ১৮৯৭ সালের এপ্রিল মাস 🗓️
এক সকালে জগদীশচন্দ্রের সঙ্গে পরিচয় করতে এলেন রবীন্দ্রনাথ,তবে দু'জনের দেখা হয়নি, বিজ্ঞানী বাড়িতে ছিলেন না৷ রবীন্দ্রনাথ তাঁর টেবিলে একটি ম্যাগনোলিয়া ফুল রেখে আসেন৷ বন্ধুত্ব যখন সুগভীর জগদীশচন্দ্র রবীন্দ্রনাথের কাছে আবদার করতেন প্রতিবার একটি নতুন গল্প শোনাতে হবে,বন্ধুর সেই দাবি মেনে রবি কবি নতুন গল্প পড়ে শোনাতেন৷ অন্যদিকে জগদীশচন্দ্র তাঁর নতুন গবেষণা নিয়ে আলোচনা করতেন৷

শ্রমিক মজুর কামলা কুলি জেগে ওঠো মজদুর

 

শ্রমিক মজুর কামলা কুলি জেগে ওঠো মজদুর

জেগে ওঠ ,ওঠ জেগে ওঠ ,

শ্রমিক মজুর কামলা কুলি
ভুলে যা ,যা রে সকল
হীনতা ভয়-ভীতি গুলি।।
দাগারে বুকের মাঝে প্রতিবাদের কামান দাগা,
ছুড়ে মার রক্ত কামান,
জুলুমবাজের আস্তানা তে আগুন লাগা।
কোথায় রে গৃহিণীদের ছ্যাকা খাওয়া কিশোরীরা?
চা দোকানের নির্যাতিত শিশুরা কই ?রুখে দাঁড়া।
জেগে ওঠ শান্ত সুবোধ মিথ্যে প্রবোধ শুনব না আর,
মোরা আজ টুটব বাঁধন লুটব নিজের সব অধিকার।
ছুটে আয় মুক্তি নেশায় ঢালতে বুকের তরতাজা খুন,
নিপীড়ন সইব না আর আসলে আঘাত করব দ্বিগুণ।
দাসের শিকল কর রে বিকল কতদিন আর থাকবে পড়ি,
ভেঙে সব ভীতির রাহু রাঙিয়ে বাহু আয় না এবার লড়াই করি।
চল এবার উল্কা বেগে গর্জে উঠি সাগর নদী পাহাড় ছিড়ি,
জালিমের আসন কেড়ে আসন গেড়ে ওদের কে দেই কাঠের পিড়ি।
কোথারে রিক্সা চালক শ্রমিক কৃষক ,
নিপিড়নের শিকার যারা?
বাজারে যুদ্ধ মাদল ,ভাঙতে শিকল,
দীপ্ত পায়ে আগে বারা।
কোথা তোর নির্যাতনে গড়িয়ে পড়া রক্তকণা ক্রভ আঁখি জল,
তা এনে অঙ্গে মেখে জাগিয়ে তোল তোর বাহুবল।
জেগে তোল যুদ্ধ করার অসীম সাহস বুকের পাটা,
বিপ্লবে তোর জালিম দিয়ে মাজলুমাতের চরণ চাটা।
চালারে যার যা আছে তাহাই চালা
খোঁড়া তুই হস্ত চালা,
বুড়া চালা প্রতিবাদের কথামালা।
ওরে ও অন্ধ ফকির বিল্পবি বীর
মার ছুড়ে তোর ভিক্ষা বাটি
ভেঙ্গে ফেল অত্যাচারী, হাঙ্গর কুমির পাপ পিশাচের দুর্গ ঘাঁটি।
ওরে ও মজদুরেরা এক সাথে সব মার লাথি মার,
নিরীহ সান্তরা সব অশান্ত ঝড় রূপ নে এবার।
জেগে ওঠ শিশু কিশোর শ্রমিক যত যুবক নারী,
ছুটে আয় একসাথে সব হেইয়ো বলে লাথি মারি।
ভেঙ্গে দেই জুলুমবাজের ধারালো দাঁত কালো থাবা,
কেড়ে নেই দিন মুজুরের অধিকারের নতুন রবির আলো লাভা।
ভেঙে ফেল শোষণ পীড়ন অত্যাচারের সকল আঁধার,
খুলে ফেল দিনমজুরের অধিকারের বন্দীশালার রুদ্ধ দুয়ার।
কোথারে নির্যাতিত শ্রমিক মুজুর
কামার কুমার
বাজে ওই বিপ্লবী সুর আয়রে ছুটে ভাইরে আমার।
ওরে ও ক্লান্ত অচল নে মনোবল বক্ষে আমার কেতন ঘেড়ে,
ভাঙা তোর যুদ্ধ তরী আবার গড়ি রক্তে আমার ছেড়ে দে রে।
শূন্য সাগর রক্ত দিয়ে ভরব কেটে সকল শিরা,
ভাসিয়ে যুদ্ধ জাহাজ
রুখে দে আজ
সব অবিচার দহন পীড়া।
তোরা ডরাসনে কেউ তুফান এলে স্তব্ধ নিঝুম আঁধার রাতে,
বিপ্লবী এ যাত্রার আমি সামনে আছি মশাল হাতে।
আমি যে শ্রমিক জাতির মুক্তি নেশায় পাগল পারা ,
না আমি থামবো না রে বঞ্চিত ঐ শ্রমিক জাতির মুক্তি ছাড়া।
শিরোনাম :-জেগে ওঠো মজদুর
লেখায় ;-আমি ফেরদৌস আহমেদ
 
 
 

Thursday, July 28, 2022

মেঘনায় ঢল ___হুমায়ুন কবির শোন্ মা আমিনা, রেখে দে রে কাজ ত্বরা করে মাঠে চল,

 

মেঘনায় ঢল ___হুমায়ুন কবির

মেঘনায় ঢল

___হুমায়ুন কবির
শোন্ মা আমিনা, রেখে দে রে কাজ ত্বরা করে মাঠে চল,
এল মেঘনায় জোয়ারের বেলা এখনি নামিবে ঢল।

Wednesday, July 27, 2022

ফেরদৌস আহমেদ এর কবিতা, ফেরদৌস আহমেদের কয়েকটি কবিতা গুচ্ছ

 

ফেরদৌস আহমেদ এর কবিতা, ফেরদৌস আহমেদের কয়েকটি কবিতা গুচ্ছ

01

আমায় যদি জানতে আস খুঁজতে আস বন্ধুরে

চিরকালেই আমায় পাবে সহজ সরল সুন্দরে।

দু চোখ মেলে খুঁজলে আমায় পাবে পথে প্রান্তরে
হৃদয় দিয়ে খুঁজলে পাবে বন্ধু তোমার অন্তরে।
তোমার চোখে অশ্রু এলে আমায় পাবে রুমালে
মাথার নিচে আমায় পাবে বন্ধু তুমি ঘুমালে।
আমায় পাবে তিস্তা গড়াই মধুমতির কিনারে
আমায় পাবে বীর সেনাদের স্মৃতির শহীদ মিনারে।
আমায় পাবে জলপ্রপাত সাগর নদী বৃষ্টিতে
আমায় পাবে গল্পকথায় ভিন্ন কিছুর সৃষ্টিতে।
আমায় পাবে পথের শিশুর ভাঙ্গাচুরা বস্তিতে
পাবে তাদের দুঃখ ব্যথা আনন্দ সুখ স্বস্তিতে।
তারায় তারায় আমায় পাবে স্তব্ধ নিঝুম নিশিতে
আমায় পাবে আঁধার বাসির কেরোসিনের শিশিতে
প্রেমিক রূপে আমার পাবে তাজমহলের গৌরবে
আমায় পাবে পাখির গানে মিষ্টি ফুলের সৌরভে।
আমার পাবে মেথর মুচির আত্মা দেহের ময়লাতে
আমায় পাবে আমার কামার ভাইয়ের হাতের কয়লাতে।
আমায় পাবে শিশুর হাসি তাদের কোমল মনটাকে
পাবে তাদের খেলনা খুশি গলায় বাঁধা ঘন্টাতে।
আমায় পাবে নির্যাতিত গৃহবধূর কান্নাতে
পাবে আমার বউয়ের সাথে ঘর গোছানো রান্নাতে।
আমায় পাবে বিদ্বাশ্রমের চাদ মেজে আর দেয়ালে
পাবে ইহার বন্দিবাসির যত্ন সেবা খেয়ালে।
সন্ধি স্বরূপ আমায় পাবে দুই মানুষের বিবাদে
মুজাহিদের তরবারি তীর ঘোড়ায় পাবে জিহাদে।
আমায় পাবে রোগীর ব্যথা তাদের কাঁদন অশ্রুতে
খুশির মাঝে আমায় পাবে তাদের সেবা-শশ্রূতে
আমায় পাবে পাগলিনীর উদাস পথের চলাতে
নীল গালিচায় পাবে তাহার নগ্ন পায়ের তলাতে।
বংশী হাতে আমায় পাবে গান কবিতার ছন্দতে
শান্তি কেতন হাতে পাবে ধর্ম নিয়ে দ্বন্দ্বতে।
সেনার রূপে আমার পাবে সৎ শাসকের শাসনে
ঘুনের মত আমায় পাবে দুষ্ট রাজার আসনে।
আমায় পাবে তিতুমীরের কামান দাগার গোলাতে
আমায় পাবে বেদের দলের কান্নাহাসির ঝোলাতে।
ঘাসের ফুলের মত আমায় পাবে ফুলের মেলাতে
আমায় পাবে বিশ্ববাসীর করুন অবহেলাতে।
আমায় পাবে চাঁদের আলো ভোরের শিশির বিন্দুতে
পাবে এতিম অসহায়ের ব্যথার বিষাদ সিন্ধতে।
জলের মত আমায় পাবে শিউলি গাছের গোড়াতে
আমায় পাবে চিকিৎসকের রক্তমাখা চুরাতে।
বুলেট বোমায় আমায় পাবে আমার এ দেশ রক্ষাতে
আমায় পাবে শত্রুসেনার মরণব্যাধী যক্ষাতে।
আমায় পাবে দীন ভিখারির শূন্য ভাতের থালাতে
আমায় পাবে ধর্ষিতাদের বুকের বেদন জ্বালাতে।
দুই স্থাপনার মধ্যখানে আমায় পাবে বন্দীরে
পাহারা দেই ঝগড়া না হয় মসজিদে আর মন্দিরে।
ফুলের সাথে সুতায় গাঁথা আমায় পাবে বাসরে
আমায় পাবে গাজী কালুর গ্রাম্য পুঁথির আসরে।
জগৎজুড়ে সৎ সৌখিন সুন্দর আছে যেখানে
ভিন্ন স্থানে ভিন্ন ধারায় আমায় পাবে সেখানে।
শিরোনাম আমার ঠিকানা
লেখায় আমি ফেরদৌস আহমেদ।

লন্ডনের ৪০ ডিগ্রির ওপরের তাপমাত্রায় ভারতবর্ষের পাংখাপুলারদের শোষণের ইতিহাস কি মনে পড়ে!

লন্ডনের ৪০ ডিগ্রির ওপরের তাপমাত্রায় ভারতবর্ষের পাংখাপুলারদের শোষণের ইতিহাস কি মনে পড়ে!




কখনো কখনো পাখাওয়ালাদের বসার স্থানে চিনি ছিটিয়ে দেওয়া হতো। তারা ঘুমিয়ে পড়লে পিঁপড়া এসে তাদের ঘামে ভেজা শরীরে কামড় বসাতো। আরেকটি ব্যবস্থা ছিল পাখাওয়ালার বাহুতে একটি হাঁস রাখা। কাজের সময় যাদের হাত থেকে ওই হাঁস ছুটে যেত, তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হতো।
পা দিয়ে পাখা টানছেন পাংখাপুলার, কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রামের চেষ্টা। ছবি: এলসওর্থ হান্টিংটন, দ্য হিউম্যান হ্যাবিট্যাট, ভায়া উকিমিডিয়া কমনস

Latest

হাতের স্পর্শে সত্যিই কি স্তনের আকার বৃদ্ধি

Featured Post

আলট্রাসনগ্রাম ছাড়াই যেভাবে জানবেন গর্ভের শিশু ছেলে নাকি মেয়ে! জেনে নিন বিস্তারিত-

গর্ভবতী নারীদের সঙ্গে তার বন্ধুরা বা আত্মীয়রা কথা বলার সময় অবশ্যই জিজ্ঞেস করেন, শিশুটি ছেলে না কি মেয়ে হবে? এটি প্রায় সকলের জন্য একটি মজ...

jk