Adsterra

a-ads

pop

Sunday, May 21, 2017

যে কাজ করলে স্তনের আকৃতি অনেক বয়স পর্যন্ত সুন্দর থাকে! - World Hospital



বক্ষযুগলকে সুন্দর রাখতে মহিলাদের চেষ্টার অন্ত নেই, অথচ প্রতিনিয়ত তাঁদেরই কিছু ভুলে ক্রমশ সৌন্দর্য হারাচ্ছে শরীরের এই অঙ্গটি। জেনে নিন ৬টি এমন ভুলের কথা, যেগুলোর ফলে আপনার স্তনে পড়ছে বয়সের ছাপ ও নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক আকৃতি ও সৌন্দর্য।

একটি বড় কারণ সঠিক অন্তর্বাস বাছাই করতে না পারা

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিসার্চের রিপোর্টে বলা হয়েছে, যারা প্রতিনিয়ত অন্তর্বাস পড়ে থাকেন তাঁদের তুলনায় যেসব নারীরা খুব বেশি অন্তর্বাস পরিধান করেন নি, তাঁদের স্তনের আকৃতি অনেক বয়স পর্যন্তও সুন্দর থাকে। অপর আরেকটি রিসার্চে দেখা যায় যে ভুল মাপের অন্তর্বাস দ্রুত নষ্ট করে ফেলে আপনার স্তনের আকৃতি। অন্তর্বাস হতে হবে সঠিক মাপের। খুব বেশী টাইট বা খুব ঢিলেঢালা, দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

আপনি পর্যাপ্ত জল পান করেন না

পর্যাপ্ত জল পান না করলে ক্রমশ বয়সের ছাপ পড়ে আপনার ত্বকে এবং ত্বকের চামড়া ঝুলে যেতে থাকে সময়ের অনেক আগেই। এবং হ্যাঁ, শুধু মুখের নয়, সম্পূর্ণ শরীর তথা স্তনের ত্বকেও এর প্রভাব দেখা যায় অত্যন্ত বেশি।

অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচুন

সুতির পোশাক কিংবা পাতলা ফেব্রিক পরতে ভালোবাসেন? জেনে রাখুন, প্রখর সূর্যরশ্মি আপনার মুখের ত্বকের পাশাপাশি সম্পূর্ণ ত্বকেরই ক্ষতি করে। পোশাকে ঢাকা থাকলেও সূর্যের রশ্মি আপনার ত্বকে উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। বিশেষ করে স্তনের নরম ত্বকে। সূর্যের প্রখর উত্তাপ বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে অনেক ত্বরান্বিত করে দেয়।

আপনি ধূমপান করেন

ধূমপান মানবদেহের জন্য একটি অভিশাপের নাম এবং নারীদের ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পুরুষের চাইতে অনেকটাই বেশী। ধূমপান আপনার ত্বকের ইলাসটিনকে নষ্ট করে ফেলে, যা ত্বকে টানটান ভাব ও তারুণ্য ধরে রাখে। ফলে আপনাকে দেখায় অনেক বেশী বয়স্ক। ধূমপায়ী নারীদের স্তনের আকৃতি ও সৌন্দর্য দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে নেই
ওজন কমানো ভালো, তবে ওজন কমে যাওয়ার প্রভাব সবার আগে পড়ে আপনার স্তনের উপর। কেননা স্তন তৈরি মূলত ফ্যাট সেল দিয়ে, তাই ওজন কমলে প্রথমেই স্তনে এর প্রভাব দেখা যায়। আপনি যখন বেশি মোটা হন, ত্বকে স্ট্রেচ হতে হতে ইলাসটিসিটি হারিয়ে ফেলে। পরে পরবর্তীতে আপনি যখন স্লিম হয়ে যায়, তখন স্তন ঝুলে যায়। দ্রুত ওজন না কমিয়ে ধীরে সুস্থে কমাতে হবে এবং ওজন খুব দ্রুত ওঠানামা করতে দেয়া যাবে না। অল্প অল্প করে ওজন কমালে স্তনের আকৃতি অনেকটাই কম নষ্ট হবে।

Sunday, May 14, 2017

চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে যা জানা দরকার


চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে যা জানা দরকার





চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। ছবি: এএফপি



স্টার হেলথ ডেস্ক






চিকুনগুনিয়া ভাইরাসজনিত রোগ। মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়ায়। ১৯৫২ সালে তানজানিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সর্বপ্রথম এই রোগ ছড়ানোর কথা জানা যায়। সেখানকার কিমাকোন্ডি ভাষা থেকে চিকুনগুনিয়া নামটি এসেছে। স্থানীয়ভাবে এর অর্থ হলো ‘মোচড়ানো’। রোগীর শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়ায় এই রোগের এমন নাম হয়েছে।


লক্ষণ ও উপসর্গ


সংক্রামক মশা কামড়ানোর চার থেকে সাত দিনের মধ্যে দেহে চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ দেখা যায়। এটি হলে সাধারণত হঠাৎ করে তীব্র জ্বর (১০৪° ফারেনহাইট) শুরু হয়। সেই সাথে শরীরের অস্থি সন্ধিতেও ব্যথা অনুভূত হয়। এছাড়া চিকুনগুনিয়ার আর যেসব লক্ষণ দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে, মাংস পেশি ও মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি ও চামড়ায় ফুসকুড়ি। অস্থি সন্ধির ব্যথা খুব তীব্র হতে পারে যা কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।


অধিকাংশ চিকুনগুনিয়া রোগীই পুরোপুরি সেরে উঠেন। তবে অস্থি সন্ধির ব্যথা কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ারও খবর পাওয়া যায়। কিছু ক্ষেত্রে চোখ, হৃদপিণ্ড, স্নায়ুতন্ত্র ও গ্যাস্ট্রোইন্টেসটাইনাল সমস্যার ঘটনাও ঘটে। চিকুনগুনিয়া জটিল রূপ ধারণ করার ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না তবে বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে এটি মৃত্যুর কারণও হতে পারে। আক্রান্তের শরীরে উপসর্গগুলো তীব্র না হওয়ায় অনেক সময় রোগ সনাক্ত করতে সমস্যা হয় যা থেকে বিপদের আশঙ্কা থাকে।


খুব কম ক্ষেত্রেই চিকুনগুনিয়া মৃত্যুর কারণ হয়। সাধারণত দুই থেকে তিন দিনেই রোগী সুস্থ হতে শুরু করে। আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে পাঁচ থেকে সাত দিন পর্যন্ত চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস থাকে। এ সময়ের মধ্যে রোগীকে মশা কামড়ালে সেটিও ভাইরাসে আক্রান্ত হয় ও ভাইরাসটি ছড়ায়।


ডেঙ্গুর সাথে চিকুনগুনিয়ার উপসর্গে মিল লক্ষ্য করা যায়। এই কারণে যেসব এলাকায় সচরাচর ডেঙ্গু হানা দেয় সেখানে চিকুনগুনিয়াকে ডেঙ্গু বলে ভুল হতে পারে। রক্তের সিরাম পরীক্ষা করে চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। জীবনে একবার এই রোগ হলে পরবর্তীতে আর তা হয় না।


যেভাবে চিকুনগুনিয়া ছড়ায়


চিকুনগুনিয়ার ভাইরাসবাহী মেয়ে মশার কামড়ে মানুষের মধ্যে এই রোগটি ছড়ায়। সাধারণত দুই জাতের এডিস মশা চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস বহন করে। ডেঙ্গুর জীবাণু বহনের জন্যও এডিস মশাকে দায়ী করা হয়।


রোগ নির্ণয়


চিকুনগুনিয়া নির্ণয়ের বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। রক্তের সিরামে ইমিউনোগ্লোবিউলিন এম এবং ইমিউনোগ্লোবিউলিন এম অ্যান্টি-চিকুনগুনিয়া অ্যান্টিবডির উপস্থিতিই চিকুনগুনিয়ার প্রমাণ।


চিকিৎসা


চিকুনগুনিয়ার কোন সুনির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই। সাধারণত উপসর্গ দেখে ব্যথা কমানোর জন্য চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাণিজ্যিকভাবে চিকুনগুনিয়ার কোন প্রতিষেধক টিকা পাওয়া যায় না।


প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ


চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে এর বাহক মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। কনটেইনারে জমে থাকা পানিতে মশা বংশ বিস্তার করে। তাই খোলা কনটেইনারে যেন পানি না জমে থাকে সে ব্যাপারে নজর রাখতে হবে। চিকুনগুনিয়া ছড়িয়ে পড়লে ঘরে মশানাশক ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।


এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলা কামড়ায়। তাই এমন কাপড় পরার পরামর্শ দেওয়া হয় যেন শরীরে মশা বসতে না পারে। শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি বা বৃদ্ধ যারা দিনের বেলা ঘুমান তাদের মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। মশার কয়েল বা ভ্যাপোরাজার এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।


সূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

নরমাল ডেলিভারি চান? তাহলে জেনে নিন গর্ভাবস্থায় আপনাকে কি করতে হবে

নরমাল ডেলিভারি চান? তাহলে জেনে নিন গর্ভাবস্থায় আপনাকে কি করতে হবে



প্রেগন্যান্সি গ্লো-তে এখন চকচক করছে আপনার চোখ, মুখ। মা হওয়ার অনুভূতি সব সময় আনন্দে রাখছে আপনাকে। চিন্তা শুধু একটা বিষয় নিয়েই। নরমাল ডেলিভারি হবে তো? নাকি সেই কাঁটাছেঁড়ার মধ্যে দিয়েই যেতে হবে?
চিন্তা করবেন না। যদি আপনার বড়সড় কোনও জটিলতা না থাকে তবে গর্ভাবস্থায় কিছু জিনিস মেনে চললেই স্বাভাবিক ভাবে সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন।
ডায়েট
আপনি প্রেগন্যান্ট জানার পর থেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট মেনে চলুন। স্বাস্থ্যকর খাবার, টাটকা ফল ও শাক-সবজি প্রচুর পরিমাণে খান। সেই সঙ্গেই জোর দিন আয়রন, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের উপর। নিয়মিত মাল্টিভিটামিন খান। শরীরের পেশি যত শিথিল থাকবে, তত নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়বে।
অ্যাকটিভ লাইফস্টাইল
অনেকে প্রেগন্যান্সির গোটা সময়টাই শুয়ে বসে কাটিয়ে দেন। এটা একেবারেই উচিত্ নয়। যদি চিকিত্সক আপনাকে বেড রেস্টে থাকতে না বলেন, এবং অন্য কোনও জটিলতা না থাকে তাহলে সচল থাকুন। বাড়ির হালকা কাজকর্ম করুন। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে যোগাসন বা হালকা ব্যয়াম করুন। সকাল, সন্ধে হাঁটতে যান। এতে ওজন কম থাকবে, শরীর সুস্থ থাকবে, নরমাল ডেলিভারির চান্সও বাড়বে।
পানি
শরীরে ফ্লুইড চলাচল ভাল হওয়ার জন্য জল খাওয়া খুব জরুরি। এতে রক্ত চলাচল ভাল হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় না। কাজেই জল বেশি খেলে ডেলিভারিও অনেক সহজ হবে। গর্ভাবস্থায় প্রতি দিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল খান।
স্ট্রেস
নরমাল ডেলিভারির জন্য শরীর সুস্থ, ঝরঝরে রাখা প্রয়োজন। স্ট্রেস বাড়লেই শরীর খারাপ হবে। নিজেকে সব সময় খুশি রাখুন। প্রয়োজনে মনোবিদের কাছে যান। প্রেগন্যান্সি মাসাজ নিলেও স্ট্রেস কমে।
জন্মের পরিকল্পনা
গর্ভাবস্থার শুরুতেই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পরিকল্পনা করে নিন। আপনার সমস্যার কথা খুলে বলুন। ডাক্তারের নির্দেশ, নিয়ম মেনে চলুন। এতে চিন্তা কম হবে। গোটা ব্যাপারটাই অনেক সহজ হয়ে যাবে।
অভিভাবকদের ক্লাস
বাচ্চার জন্মের আগে বাড়ির কাছেপিঠে কোনও পেরেন্টাল ক্লাসে যান। এই সব ক্লাসে কীভাবে সহজে, কম কষ্টে ও কম সময়ে বাচ্চার জন্ম দেওয়া যাবে শেখানো হয়।
যোগব্যায়াম
নরমাল ডেলিভারির জন্য অত্যন্ত উপকারী যোগব্যায়াম। এতে শরীরের পেশি শিথিল থাকবে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, এমনকী স্ট্রেস কমবে। ডেলিভারির যন্ত্রণা কম করতে তাই নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে।

Latest

হাতের স্পর্শে সত্যিই কি স্তনের আকার বৃদ্ধি

Featured Post

আলট্রাসনগ্রাম ছাড়াই যেভাবে জানবেন গর্ভের শিশু ছেলে নাকি মেয়ে! জেনে নিন বিস্তারিত-

গর্ভবতী নারীদের সঙ্গে তার বন্ধুরা বা আত্মীয়রা কথা বলার সময় অবশ্যই জিজ্ঞেস করেন, শিশুটি ছেলে না কি মেয়ে হবে? এটি প্রায় সকলের জন্য একটি মজ...

jk