Adsterra

a-ads

pop

Sunday, July 16, 2017

কৃমির ওষুধ কখন খাব?

কৃমির ওষুধ কখন খাব?




কৃমি আকারে খুবই ছোট। প্রায় দেখাই যায় না। কিন্তু জেনে অবাক হবেন, এ রকম একটি কৃমি মানুষের অন্ত্র থেকে দিনে শূন্য দশমিক ২ মিলিলিটার রক্ত শুষে নেয়। অনেক কৃমি শরীরে থাকলে প্রতিদিনই বেশ কিছু পরিমাণ রক্ত হারিয়ে যায়। ফলে শিশুরা অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভোগে। বড়রাও কম ভোগেন না।
এ ছাড়া কৃমির কারণে অ্যালার্জি, ত্বকে চুলকানি, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কখনো অন্ত্রের বা পিত্তথলির নালিতে কৃমি আটকে গিয়ে বড় ধরনের জটিলতা হয়। কৃমি সংক্রমণ তাই বড় ধরনের স্বাস্থ্যসমস্যা।
কৃমি দূর করতে হলে প্রথমেই জানা দরকার এটি কেন হয়? নোংরা পরিবেশ, অনিরাপদ পানি পান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, খালি পায়ে হাঁটা কৃমি সংক্রমণের জন্য দায়ী।
কৃমি হলেও ওষুধের মাধ্যমে দূর করার উপায় আছে। কিন্তু অনেকে নানা ভুল ধারণার জন্য ভয়ে কৃমির ওষুধ খান না। শিশুদেরও খাওয়াতে চান না। কিন্তু ওষুধ নিয়ম মেনে খেলে আর সহজ কিছু উপায় মেনে চললে সহজেই কৃমি দূর করা যায়।
জেনে নেওয়া যাক সহজ কিছু উপায়:
১. প্রতি তিন মাস পরপর পরিবারের সবাই একটি করে অ্যালবেনডাজল বড়ি সেবন করতে পারেন। মেবেনডাজল হলে খেতে হবে পরপর তিন দিন। সাত দিন পর আরেকটা ডোজ খাওয়া যায়। শিশুদেরও একইভাবে সিরাপ খাওয়াতে হবে। দুই বছরের নিচে কোনো শিশুকে খাওয়াতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২. চিনি খেলে বা মিষ্টি খেলে কৃমি হবে বলে যে ধারণা প্রচলিত, তা ঠিক নয়। মিষ্টি বা চিনি খাওয়ার সঙ্গে কৃমির কোনো সম্পর্ক নেই। বরং নোংরা হাতে বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে কৃমি হবে।
৩. কৃমি হলে পায়ুপথ চুলকায় বলে শিশুরা সেখানে হাত দেয়। পরে আবার সেই হাত মুখে দেয়। এভাবেই সংক্রমণ ছড়াতে থাকে। তবে পায়ুপথ চুলকানো মানেই কৃমি সংক্রমণ নাও হতে পারে। কৃমি সংক্রমণের আরও উপসর্গ আছে। যেমন: ওজন না বাড়া, পেট ফাঁপা, পেট কামড়ানো, আমাশয়, অপুষ্টি, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি।
৪. গরমকালে কৃমিনাশক খাওয়া যাবে না—এমন ধারণারও কোনো ভিত্তি নেই। গরম, শীত, বর্ষা যেকোনো সময়ই কৃমিনাশক খাওয়া যাবে। তবে খাওয়ার পর বা ভরা পেটে খাওয়া ভালো।
৫. কৃমিনাশক নিরাপদ ওষুধ। এর তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে কারও কারও পেট ফাঁপা বা বমি ভাব হতে পারে। অনেক সময় কৃমিনাশক খেয়ে শিশুদের অসুস্থ হওয়ার যে খবর পাওয়া যায়, তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অজ্ঞতা ও কুসংস্কারজনিত।
৬. পানি অবশ্যই ফুটিয়ে বা বিশুদ্ধ করে পান করবেন। শাকসবজি ও মাংস খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের আগে ভালো করে হাত ধুতে হবে। শিশুদের খাওয়ার আগে ও শৌচাগার ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে কীভাবে ভালো করে হাত কচলে ধুতে হয়, তা শেখানো জরুরি।
৭. বাইরের খোলা অপরিচ্ছন্ন খাবার না খাওয়াই ভালো। মাঠঘাটে শিশুদের খালি পায়ে খেলতে দেবেন না।
৮. কেবল গ্রামে বা রাস্তায় থাকা শিশুদের কৃমি হয়—এই ধারণাও ভুল। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যে-কারও কৃমি সংক্রমণ হতে পারে। তাই অপুষ্টি এড়াতে নিয়মিত কৃমিনাশক খাওয়াই ভালো।

Sunday, July 9, 2017

পা দেখেই বোঝা যাবে স্বাস্থ্যের অবস্থা |

অসুখ দানা বাধে তাহলে পায়ের পরিস্থিতি দেখেই সেটি জানা যাবে। অনেক সময়ই বিভিন্ন কারণে আমাদের পা ফুলে যায়। আমরা হয়তো বিষয়টিকে পুরো উপেক্ষা করে যাই। কিন্তু আপনি হয়তো কোনও বিষয় নিয়ে শারীরিক এবং মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। আপনার অজান্তেই। তাই আপনার পা ফুলে গেছে।
১. যদি আপনার পায়ের আঙ্গুলগুলো বড় বড় হয়। তাহলে আপনি ভীষণভাবে পানি কম খান, প্রয়োজনের তুলনায় আপনার ওজন অত্যাধিক। এর পাশাপাশি আপনি হাইপ্রোটিন ডায়েটে অভ্যস্ত যেটি পুরুষদের মধ্যে প্রায়শই হয়ে থাকে।
২. পায়ের আঙ্গুলে অনেকেরই লোম থাকে, যদিও সেটি নিয়ে আমরা খুবই বিরক্ত হই। কিন্তু এই বিষয়টি আদতে কিন্তু আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো। যদি আপনার পায়ের আঙ্গুলে সঠিক পরিমাণে লোম না থাকে। তবে আপনার হার্ট থেকে রক্ত চলাচল সঠিক ভাবে হয় না।
৩. অনেক সময়ই অনেকের পা কড়া রোদেও থাকে একেবারে শীতল। এটির মানেও আপনার পায়ে রক্ত চলাচল সঠিক ভাবে হয় না। তাহলে আপনি হাইপোথাইরয়ডিসমের রোগের স্বীকার।
৪. পায়ে ক্র্যাম্প ধরে যাওয়ার সমস্যাও অনেকেরই থাকে। এটির মানে আপনার পায়ে নার্ভের সমস্যা রয়েছে। এর পাশাপাশি নিউট্রিশনের অভাবেই আপনার মাসেল ক্র্যাম্প হতে পারে।
৫. যদি আপনার পায়ের মধ্যে লাল রংয়ের ব়্যাশ দেখা দেয়। তাহলে সেটি আলসারের লক্ষণ। তাহলে আপনার ডায়বেটিস রোগটি শরীরে বাসা বাধতে চলেছে।
বিডি প্রতিদিন/০৯ জুলাই ২০১৭/আরাফাত

Latest

হাতের স্পর্শে সত্যিই কি স্তনের আকার বৃদ্ধি

Featured Post

আলট্রাসনগ্রাম ছাড়াই যেভাবে জানবেন গর্ভের শিশু ছেলে নাকি মেয়ে! জেনে নিন বিস্তারিত-

গর্ভবতী নারীদের সঙ্গে তার বন্ধুরা বা আত্মীয়রা কথা বলার সময় অবশ্যই জিজ্ঞেস করেন, শিশুটি ছেলে না কি মেয়ে হবে? এটি প্রায় সকলের জন্য একটি মজ...

jk