Adsterra

a-ads

pop

Sunday, May 30, 2021

যে কারনে আপনার নিয়মিত মধু খাওয়া উচিত

 

যে কারনে আপনার নিয়মিত মধু খাওয়া উচিত

মধু তার অসাধারণ ঔষধি গুনের কারনে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মধুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, আয়োডিন, জিংক ও কপার সহ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা আমাদের শুধুমাত্র দেহের বাহ্যিক দিকের জন্যই নয়, দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সুরক্ষায় কাজ করে।সর্বগুন সম্পন্ন এই মধুর গুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষা, চিকিৎসা, সৌন্দর্য চর্চা- কোথায় নেই মধুর ব্যবহার? আসুন দেখে নেয়া যাক মাত্র এক চামচ মধু কি কি অসাধারণ উপকারে লাগতে পারে আপনার।মধু হিউম্যাকটেন্ট যৌগে সমৃদ্ধ। এই যৌগটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার কাজ করে এবং ত্বকের উপরিভাগের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে।হিউম্যাকটেন্ট যৌগটি ত্বককে নমনীয় করতেও সাহায্য করে। ফলে ত্বক থাকে দীর্ঘদিন বার্ধক্যের ছাপ মুক্ত। প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু রঙ চা কিংবা দুধের সাথে খেতে পারেন। সেই সাথে আপনার রোজকার ফেস প্যাকেও ব্যবহার করতে পারেন মাত্র এক চামচ মধু। মধু ত্বকের উপরিভাগের মৃত কোষ দূর করে ও মুখের ত্বকে ভাঁজ পড়া রোধ করে।


মধু শরীরের ক্ষত, পোড়া ও কাটা জায়গার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। মধুতে মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ক্ষত, পোড়া ও কাটা জায়গায় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। কোথাও পুরে, কেটে গেলে ক্ষত স্থানে মধুর একটি পাতলা প্রলেপ দিয়ে দিন। ব্যথা কমবে ও দ্রুত নিরাময় হবে। মধুতে আছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা ক্ষত পরিষ্কার হতে সাহায্য করে ও ব্যথা, ঘ্রাণ, পূঁজ ইত্যাদি হ্রাস করে দ্রুত ক্ষত নিরাময় করে।মধুতে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান যা ছত্রাক ও অন্যান্য কারনে ক্ষতিগ্রস্থ ত্বককে ঠিক করতে সাহায্য করে ও নতুন ত্বক গঠনে ভূমিকা রাখে। চর্মরোগ হলে নিয়মিত আক্রান্ত স্থানে মধু লাগান। এক চামচ মধুর সাথে অল্প পানি মিশিয়ে ব্যবহার করুন।মধুতে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ যা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিরুদ্ধে কাজ করে শরীরের চামড়াকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। অনেকটা প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনের কাজ করে মধু। রোদে পোড়া ত্বককে স্বাভাবিক করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এক চামচ মধুর সাথে পানি মিশিয়ে প্রতিদিন মুখে ফেস প্যাকের মতন লাগান। রোদে পোড়া জনিত কালো দাগ দূর হয়ে চেহারা হবে ঝলমলে।


মধুতে বিদ্যমান গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং শর্করা শরীরে শক্তি সবরাহের কাজ করে। প্রতিদিন সকালে ১ চামচ মধু সারাদিনের জন্য দেহের পেশীর ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে ও আপনাকে রাখে এনার্জিতে ভরপুর।প্রতিদিন ১ গ্লাস পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে মধুতে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম রক্তে প্রবেশ করে। এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্য বজায় রাখে। এভাবে মধু রক্তস্বল্পতা রোগকে প্রতিরোধ করে।মধু ঠোঁটের ওপরের শুষ্ক ত্বক ও কালচে ভাব দূর করে ঠোঁটকে নরম ও গোলাপি করে তুলতে সহায়তা করে। রাতে ঘুমের পূর্বে নিয়মিত ঠোঁটে মধু লাগান। ঠোঁট হয়ে উঠবে নজর কাড়া সুন্দর।মধুর ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, সি কপার , আয়োডিন ও জিংক দেহে এইচডিএল (ভালো) কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে মধু কোলেস্টেরল সংক্রান্ত রোগ থকে দেহকে মুক্ত রাখে। দিনে অন্তত এক চামচ মধু খেয়ে নিন,যেভাবে আপনার ভালো লাগে।


সাইনাসের কিংবা শ্বাসপ্রশ্বাসের যে কোন সমস্যা থেকে মধুর প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ দেহকে মুক্ত রাখে। চা কিংবা উষ্ণ পানির সাথে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে উপকার পাওয়া যাবে।প্রতিদিন মধু খাওয়া হলে দেহের ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি হয়। ফলে আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। সহজে অসুখ বিসুখ ও জীবাণুর সংক্রমণ হয় না।মধু ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে আমাদের হজম শক্তি বাড়ে ও ফলে খাবারের ক্যালোরি দ্রুত ক্ষয় হয়। এতে ওজন কমে যায়। চিনির বদলে মধুর ব্যবহার মুটিয়ে যাওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে।যাদের খুসখুসে কাশির সমস্যা আছে, তারা প্রতিদিন এক চামচ আদার রসের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। দ্রুত আরোগ্য হবে। তথ্যসূত্র: প্রিয় লাইফ

১৫ টাকার ফল খেলে আপনাকে মি’ল’নের আগে আর উ’ত্তেজক ট্যা’বলেট খেতে হবে না



১৫ টাকার ফল খেলে আপনাকে মি’ল’নের আগে আর উ’ত্তেজক ট্যা’বলেট খেতে হবে না

 মধু শুধুমাত্র একটি উপকারী খাদ্য নয়, পন্য ও ঔ’ষধ বটে। জ’ন্মের পর বা’চ্চা’দেরকে নানা দাদীরা মখে মধু দেয় নাই এমন লোক খুঁ’জে পাওয়া কঠিন বা নেই বললেই চলে। আদিমকাল বা প্রাচীনকাল থেকে মানুষ প্রাকৃতিক খাদ্যহিসেবে, মিষ্টি হিসেবে, এবং চিকিৎসার উপাদান হিসাবে মধুর ব্যবহার করে আসছে। আমাদের শরীরের সুস্থতায় মধুর উপকারিতা অতুলনীয়।

এবার আসুন জেনে নাওয়া যাক মধু কি

সাধারণভাবে বলতে গেলে মধু হচ্ছে একটি তরল মিষ্টি জাতীয় আ’ঠালো প’দার্থ, যা সাধারণত মৌমাছিরা ফুল থেকে পুষ্পরস হিসেবে সংগ্রহ করে তাদের মৌচাকে জমা করে রাখে। পরবর্তীতে জমাকৃত এই পুষ্পরস প্রাকৃতিক নিয়মেই মৌমাছি বিশেষ প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মধুতে রূপান্তর হয়ে যায় এবং কোষ বদ্ধ অবস্থায় মৌমাছিরা মৌচাকে সংরক্ষণ করে।

বিশদ ভাবে ব্যাখ্যা করতে গেলে বলতে হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য মতে মধু হচ্ছে এমন একটি অগাজানোশীল মিষ্টি জাতীয় পদার্থ যা সাধারানত মৌমাছিরা ফুলের নেকটার অথবা জীবন্ত গাছপালার নির্গত রস থেকে সংগ্রহ করে মধুতে রূপান্তর করে এবং আরও সুনির্দিষ্ট কিছু উপাদান যোগ করে মৌচাকে সংরক্ষণ করে। এটাই মধু।

খাদ্য হিসাবে মধুঃ

প্রাচীনকাল থেকেই মধু ঔ’ষধ এবং খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে চাইনিজরা প্রতিদিন সকালে তারা দুধ ও মধু মিশিয়ে সেটা রুটি দিয়ে খেতো। নিয়মিত মধু খাওয়া চাইনিজদের একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছিলো। সুধু চাইনিজরা না, আমাদের দেশেও কেউ কেউ হালকা গরম পানিতে মধু দিয়ে অথবা চায়ের সাথে মধু দিয়ে খায়।

পরিসংখ্যান এর দিকে দেখলে দেখা যাবে যে, বিশ্বের প্রায় বেশিরভাগ দেশেই, বিশেষ করে এশিয়ান দেশ গুলোতে মধু খাওয়ার প্রচলণ অনেক বেশি। আপনি যদি সকাল বেলা এক চামচ মধু খান তাহলে দিনের শুরুটাকে মধুর মত মিষ্টি করে দিবে। শুধু তাই নয়, মধুর আছে অবিশ্বাস্য কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা।

সুনতে খুব অবাক লাগলেও এটা সত্য যে, মধুতে প্রায় ৪৫টিও বেশি খাদ্য উপাদান থাকে। সাধারণত পুষ্টি উপাদান হিসাবে ফুলের পরাগের মধুতে থাকে ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ৫-১২ শতাংশ মন্টোজ, ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ থাকে। সুধু তাই নয় আরো থাকে ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ, ২২ শতাংশ অ্যামাইনো এসিড এবং ১১ ভাগ এনকাইম। এতে সাধারণত কোন চর্বি ও প্রোটিন নেই। প্রতি ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ গ্রাম ক্যালরি।
যেসব ফুল থেকে মধুঃ

খাটি মধুর কিছু বৈশিষ্ট্যঃমধুর অনেক কিছু বৈশিষ্ট্য আসে। তবে খাঁটি মধুর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আসে তা হল-

১। খাঁটি মধুতে কখনো কোন কটু গন্ধ থাকে না।

২। সব থেকে মজার কথা হল মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষ’তিকা’রক কোনো বিষাক্ত উপাদান প্রাকৃতিক গাছে থাকলেও তার কোন প্রভাব মধুতে থাকে না।

৩। মধু সংরক্ষণে কোনো প্রকার পৃজারভেটিভ জাতীয় উপাদান ব্যবহৃত হয় না। কারণ মধু নিজেই পৃজারভেটিভ গুণাগুণ সম্পন্ন পুষ্টিতে ভরপুর একটি খাদ্য।

৪। খাঁটি মধু উৎপাদন, নিষ্কাশন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাত ও বোতলজাতকরণের সময় অন্য কোনো প্রকার পদার্থের সংমিশ্রণ প্রয়োজন হয় না।

৫। আপনি খাঁটি মধু পরীক্ষা করতে চাইলে একটা কাজ করতে পারেন।আপনি খাটি মধু পানির গ্লাসে ড্রপ আকারে ছেড়ে দিন খাঁটি মধু হবে ড্রপ অবস্থায়ই গ্লাসের নিচে চলে যাবে।

Friday, May 28, 2021

হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন অভিনয়জগতের এক উজ্জ্বল তারা। শারারাত ইসলাম হুমায়ুন ফরীদির একমাত্র মেয়ে।

 

হুমায়ুন ফরীদি: একজন কিংবদন্তির নাম

দেশের ইতিহাসে অন্যতম প্রতিভাবান ও প্রশংসিত অভিনেতাদের একজন ছিলেন হুমায়ুন ফরীদি ভাই। বাঙালির মধ্যবিত্ত সামাজিক জীবনধারাকে পর্দায় আনন্দিত করে তুলতেন তিনি। তার নাটক সিনেমা মানেই পর্দায় পুরো বাঙালির চোখ আটকে যাওয়া। হতাশ করতেন না, তিনি এতো প্রানবন্ত অভিনয় করতেন; যেন চারপাশের মানুষগুলোই জীবন্ত হয়ে যেতো তার অভিনয় দেখে। 

নাটকের পর ফরীদি ভাই নাম লিখিয়েছিলেন চলচ্চিত্রে। তার উপস্থিতিতে একটু একটু করে বাংলা সিনেমায় ভিলেনের সংজ্ঞাটাও যেন পরিবর্তন হতে থাকে। প্রায় ২৫০ টির মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন ফরীদি ভাই। টানা তিনদশক ফরীদি ভাই তার ক্যারিশম্যাটিক ম্যাজিকাল অভিনয়ে বুঁদ করে রেখেছিলেন পুরো বাঙালি জাতিকে। 

আজ হুমায়ুন ফরীদি ভাইয়ের জন্মদিন। ক্ষণজন্মা এই অভিনেতার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা.. 

কিংবদন্তী অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী। নাটক, চলচ্চিত্র কিংবা মঞ্চ- সবখানেই ছিল তার অবাধ বিচরণ। ২০১২ সালের আজকের এই দিনে ফাগুনের রঙে বিষাদ ছড়িয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি। রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন এই অভিনেতা। মারা যাওয়ার এতোদিন পরেও ভক্তদের মনে এখনো জীবিত আছেন তিনি। তার কথা এখনো নাড়া দেয় ভক্তদের মন।

শুধু অভিনয় দিয়েই মানুষকে বিমোহিত করেছিলেন ডাকসাইটে এই অভিনেতা। তাকে বলা হয় অভিনেতাদের অভিনেতা, একজন আদর্শ শিল্পী। তার অভিব্যক্তি, অট্টহাসি, ব্যক্তিত্বের ভক্ত কে না ছিলেন! অনেকের কাছে তার ব্যক্তিজীবনের গল্পও বেশ অনুপ্রেরণার।

গত বছরের ১৯ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছিল ‘ফরীদির জন্য একুশে পদক’ নামের ফেসবুকভিত্তিক একটি অনলাইন সংগঠন। একই দাবিতে ২৬ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও (জাবি) কর্মসূচি পালন করে এর সদস্যরা। অর্থনীতির ছাত্র হিসেবে ফরীদির শিক্ষাজীবন কেটেছিল জাবিতেই।

আশি ও নব্বইয়ের দশকে যে ক’জন অভিনয়শিল্পী মঞ্চ ও টিভি নাটককে জনপ্রিয় করেছিলেন, হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন তাদের শীর্ষস্থানীয়। জীবদ্দশায় তিন দশকেরও বেশি সময় চলচ্চিত্রেও সমান দাপটের সঙ্গে অভিনয়ের মাধ্যমে রং ছড়িয়ে গেছেন নন্দিত ও বরেণ্য এই অভিনেতা। এর সুবাদে দেশ-বিদেশের অসংখ্য ভক্তের মনে চিরস্থায়ী আসন করে নেন তিনি। নায়ক কিংবা খলনায়ক সব চরিত্রেই সমান পারদর্শিতা দেখানো এই গুণী শিল্পী কাটিয়েছেন অভিনয়ের বর্ণাঢ্য জীবন। তিনি এখনও আছেন সবার হৃদয়ে। ভক্তদের ভালোবাসায় হুমায়ুন ফরীদি একজন অমর অভিনেতা।

১৯৫২ সালের ২৯ মে ঢাকার নারিন্দায় জন্মেছিলেন হুমায়ুন ফরীদি। তার বাবার নাম এটিএম নুরুল ইসলাম, মায়ের নাম বেগম ফরিদা ইসলাম। চার ভাই-বোনের মধ্যে ফরীদি ছিলেন দ্বিতীয়। ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন তিনি। ১৯৭০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেন চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে। একই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে ভর্তি হন স্নাতক করতে। কিন্তু পরের বছরই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ায় খাতা-কলম রেখে কাঁধে তুলে নেন রাইফেল। দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে দামাল ছেলের মতো লড়াই করেছেন তিনি।

স্বাধীনতার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে স্নাতক জীবন শুরু করেন হুমায়ুন ফরীদি। এখানেই তার অভিনয় প্রতিভার বিকাশ হয়েছিল। অর্থনীতির খটমটে তত্ত্ব বাদ দিয়ে সেলিম আল দীনের কাছে নাট্যতত্ত্বে দীক্ষা নেন তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই সদস্যপদ পান ঢাকা থিয়েটারের। এই নাট্যদল থেকেই ছড়িয়ে পড়তে থাকে তার অভিনয়ের রঙগুলো। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নাট্য সম্পাদক।

নাটক, চলচ্চিত্র কিংবা মঞ্চ- সবখানেই ছিল হুমায়ুন ফরীদির অবাধ বিচরণ। ঢাকা থিয়েটারের ‘শকুন্তলা’, ‘মুনতাসীর ফ্যান্টাসি’, ‘কীর্তনখোলা’, ‘কেরামত মঙ্গল’-এর মতো মঞ্চনাটকে অভিনয় করে নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন। আদায় করে নেন দর্শকের ভালোবাসা।

মঞ্চের গণ্ডি পেরিয়ে টিভি নাটক আর চলচ্চিত্রেও স্বতন্ত্র অবস্থান গড়ে নেন হুমায়ুন ফরীদি। ১৯৮০ সালে ‘নিখোঁজ সংবাদ’-এর মাধ্যমে টেলিভিশন নাটকে অভিষেক হয় হুমায়ুন ফরীদির। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘নীল নকশার সন্ধ্যায়’ ও ‘দূরবীন দিয়ে দেখুন’ নাটকে অভিনয় করে তিনি তাক লাগিয়ে দেন। তার অভিনীত ধারবাহিক নাটক ‘সংশপ্তক’ আজও দর্শকের স্মৃতির পাতায় ভাস্বর। এতে কানকাটা রমজান চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যান তিনি। তার অন্য নাটকগুলোর মধ্যে আছে ‘ভাঙনের শব্দ শুনি’, ‘বকুলপুর কতদূর’, ‘দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা’, ‘একটি লাল শাড়ি’, ‘মহুয়ার মন’, ‘সাত আসমানের সিঁড়ি’, ‘একদিন হঠাৎ’, ‘অযাত্রা’, ‘পাথর সময়’, ‘দুই ভাই’, ‘শীতের পাখি’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘তিনি একজন’, ‘চন্দ্রগ্রস্ত’, ‘কাছের মানুষ’, ‘মোহনা’, ‘শৃঙ্খল’, ‘প্রিয়জন নিবাস’। সর্বশেষ তিনি ‘তখন হেমন্ত’ নামের একটি ধারাবাহিক নাটক পরিচালনা করেন এবং ‘পূর্ণ চাঁদের অপূর্ণতায়’ নামের একটি নাটকে অভিনয় করেন।

ফরীদির নাট্যাভিনয় থেকে চলচ্চিত্রে আসা ছিল অনেক নাটকীয়। দেশীয় চলচ্চিত্রের তখনকার বেহাল অবস্থা দেখে রূপালি পর্দার জন্য কাজ করবেন কিনা এ বিষয়ে দ্বিধায় ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সুবর্ণা মুস্তাফার অকুণ্ঠ সমর্থনে ও নিজের দৃঢ়তায় এক নতুন আঙ্গিক নিয়ে বড় পর্দায় আসেন ফরীদি। তানভীর মোকাম্মেলের ‘হুলিয়া’ তার অভিনীত প্রথম ছবি।

নব্বই দশকে বাণিজ্যিক ছবির পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘সন্ত্রাস’, ‘দিনমজুর’, ‘বীরপুরুষ’ ও ‘লড়াকু’ ছবিতে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেন। এরপরেই দেশীয় চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্র পায় এক অন্যমাত্রা। অবস্থা এমনই দাঁড়িয়েছিল যে, একসময় মানুষ নায়কের পরিবর্তে তাকে দেখার জন্যই প্রেক্ষাগৃহে যেতো।পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন ‘বিশ্বপ্রেমিক’, ‘অপহরণ’, ‘দুঃসাহস’সহ ২৮টি ছবির মধ্যে ২৫টিতেই রাখেন ফরীদিকে। তার অভিনীত ছবির তালিকায় আরও আছে ‘দহন’, ‘একাত্তরের যীশু’, ‘দূরত্ব’, ‘ব্যাচেলর’, ‘জয়যাত্রা’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘অধিকার চাই’, ‘ত্যাগ’, ‘মায়ের মর্যাদা’, ‘মাতৃত্ব’ ও ‘আহা!’র মতো ছবিতে অভিনয় করে এ দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনেন তিনি।

২০০৪ সালে ‘মাতৃত্ব’ ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। বেঁচে থাকতে একুশে পদক পাননি এই শক্তিমান অভিনেতা। তবে মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন তিনি।

হুমায়ুন ফরীদির ব্যক্তিজীবন খুব বেশি সুখের ছিল না। আশির দশকের শুরুর দিকে বিয়ে করেছিলেন মিনুকে। প্রথম সংসারে দেবযানী নামের এক মেয়েকে রেখে গেছেন তিনি। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফাকে ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন ফরীদি। ২০০৮ সালে সেই সম্পর্কেরও বিচ্ছেদ হয়। পরের সময়গুলো অনেকটা নিঃসঙ্গ কেটেছে এই শক্তিমান অভিনেতার।

হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন অভিনয়জগতের এক উজ্জ্বল তারা।

শারারাত ইসলাম হুমায়ুন ফরীদির একমাত্র মেয়ে।

বাবা সম্পর্কে কখনো তাঁকে কোনো কথা বলতে শোনেনি কেউ।

হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন বাংলাদেশের অভিনয়জগতের এক উজ্জ্বল তারা। ২০১২ সালের এই দিনে তিনি চলে গেছেন। মাত্র ৬০ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর। মঞ্চ, টেলিভিশন আর চলচ্চিত্রে ছিল তাঁর অবাধ যাতায়াত। এই শিল্পী সম্পর্কে তাঁর অগ্রজ শিল্পী আল মনসুর বলেছিলেন, ‘এ মাটিতে জন্ম নেওয়া সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ চির উজ্জ্বল অভিনেতা হলো হুমায়ুন ফরীদি।’


এটি কোনো অতিমূল্যায়ন নয়। হুমায়ুন ফরীদির অভিনয় যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা স্বীকার করবেন, এত বড় মাপের শিল্পী সত্যিই এ মাটিতে জন্ম নেওয়া শিল্পীদের মধ্যে বিরল।

শারারাত ইসলাম হুমায়ুন ফরীদির একমাত্র মেয়ে। দেবযানী নামেই তাঁকে চেনে সবাই। বাবা সম্পর্কে কখনো তাঁকে কোনো কথা বলতে শোনেনি কেউ। একদিন তাঁকে বলেছিলাম, তাঁর বাবার কথা শুনব। ঠিক হয়েছিল, কোনো একদিন দীর্ঘ সময় নিয়ে বসব আমরা, সঙ্গে থাকবে চায়ের কাপ আর আলোচনা হবে একটি বিষয়েই-হুমায়ুন ফরীদি।


শারারাত ইসলাম

গতকাল (সোমবার) বিকেলে সে কথাই মনে করিয়ে দেওয়া হয় দেবযানীকে। বাবা সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে চান না তিনি। তবে কথা প্রসঙ্গেই উঠে আসে তাঁর কিছু পরিকল্পনার কথা, ‘বাবাকে নিয়ে একটি স্মৃতিকথার সংকলনের কথা ভাবছি। এই মাপের একজন শিল্পীকে তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম এবং তারও পরবর্তী প্রজন্ম যেন জানতে পারে, সে জন্যই এ ভাবনা। যাঁরা বাবাকে চেনেন, তাঁরাই লিখবেন। অভিনয় জীবনের পাশাপাশি তাতে উঠে আসবে বাবার শৈশব-কৈশোর, জীবনযাপনের নানা প্রসঙ্গের কথা। আমার এই ভাবনাকে মূর্ত করে তোলার জন্য এ বছর থেকেই কাজ শুরু করব।’

এ বছর মরণোত্তর একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন হুমায়ুন ফরীদি। দেবযানী সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানালেন। বললেন, ‘একজন সত্যিকারের শিল্পীকে পদক দেওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ ফোন ছাড়ার আগে দেবযানী বললেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিও রয়েছে আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতা। হুমায়ুন ফরীদি তাঁর মতো হয়ে উঠতে পেরেছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোছায়ায় বেড়ে উঠেছিলেন বলে।’

হুমায়ুন ফরীদিকে নিয়ে আরও অনেক কিছুই হতে পারত, হয়নি। তবে তাঁর মেয়ের উদ্যোগে একটি ভালো কাজ হতে যাচ্ছে, এটাও কম কথা নয়।


১৫ দিনে ওজন কমানোর ১২ উপায়,মেদ ও ওজন কমানোর উপায়, সাত দিনে ওজন কমানোর উপায়,



 বাড়তি ওজন কমাতে পারবেন আপনিও।  শরীরের বাড়তি মেদ নিয়ে আজকাল অনেকেই চিন্তিত। সুস্বাস্থ্যের জন্য তো বটেই, শারীরিক সৌন্দর্যের জন্যও নারী-পুরুষ উভয়েই ভাবেন ওজন কমাবেন। কিন্তু কর্মব্যস্ততার কারণে অনেক সময়েই ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়াম বা ডায়েট করা হয়ে ওঠে না। তবে জানেন, কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করলে বাড়তি ওজন কমানো কিন্তু অতটা কঠিন নয়। 

আপনিও পারবেন ওজন কমাতে। জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগ দিয়েছে ১৫ দিনে ওজন কমানোর ১২টি সহজ পরামর্শ। 

১. পানি পান করুন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে শরীর আর্দ্র থাকে, এতে আপনার পেট ভরা এমন ভাবও তৈরি হবে। ক্ষুধাও কম লাগবে, এ কারণে আপনি কম খাবেন, ধীরে ধীরে ওজনও কমবে তাতে। দিনে অন্তত ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন। 

২. ফ্রিজ পরিষ্কার করুন শুনে হাসি পাচ্ছে? ওজন কমানোর সঙ্গে আবার ফ্রিজ পরিষ্কারের সম্পর্ক কী? সম্পর্ক আছে। ফ্রিজ বা রান্নাঘরে যেসব উচ্চমাত্রার ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার রয়েছে বা ফাস্টফুড রয়েছে, সেগুলো সরান। এর বদলে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন। রাখুন ফল ও সবজি। স্বাস্থ্যকর খাবার সামনে থাকলে এসব খাওয়ার অভ্যাসও ধীরে ধীরে তৈরি হবে। 

৩. চিনি ও শর্করা থেকে দূরে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার থেকে ১৫ দিন অন্তত দূরে থাকুন। পাশাপাশি শর্করাজাতীয় খাবার কম খান। ভাত, রুটি কম খান। এসব খাবার কম খেলে ওজন দ্রুত কমবে। 

৪. প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। এতে পেশি স্বাস্থ্যকর হবে। প্রোটিন খাবার বাদ দিলে শরীরে এর বাজে প্রভাব পড়বে। ডিম, দুধ, মুরগির মাংস, ডাল খাদ্যতালিকায় রাখুন। তবে লাল মাংস (গরু, খাসি) এড়িয়ে চলুন। 

৫. সবজি খান বেশি বেশি খুব সহজ কথা। সবজি খেলে ওজন কমে। হ্যাঁ, তাই থালায় বেশি বেশি সবজি রাখুন। সবজির মধ্যে রয়েছে পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে। 

৬. ক্যালরি গ্রহণ আপনার শরীরের জন্য কতটুকু ক্যালরি দরকার, সে অনুযায়ী ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার খান। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

 ৭. খাবার বাদ দেবেন না না খেয়ে কিন্তু ওজন কমানো যায় না। তাই কোনো বেলার খাবারকে বাদ দেওয়া যাবে না। দিনে অন্তত ছয়বার খান। তিনবেলা বড় খাবার ও তিনবেলা ছোট খাবার—এভাবে খাবারকে ভাগ করুন। একেবারে খুব বেশি না খেয়ে অল্প পরিমাণ খাবার খান। 

৮. ফাস্টফুডকে না বলুন প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, সোডা—এই খাবারগুলোকে একেবারে না বলুন। এগুলোর মধ্যে উচ্চ পরিমাণ ক্যালরি থাকে, এতে ওজন বাড়ে। 

৯. ছোট থালায় খান বড় থালায় খেলে বেশি খাওয়া হয়ে যায়। তাই ছোট থালায় খান।  খাবার কম খেতে চামচও ব্যবহার করতে পারেন। হাত দিয়ে খেলে বেশি খাবার একবারে আপনি মুখে দেন। হাতের বিকল্প চামচ ব্যবহার করলে খাবার কম গ্রহণ করা হয়। 

১০. আয়নার সামনে বসে খান শুনতে হয়তো অদ্ভুত লাগছে, তবে গবেষণায় বলা হয়, যেসব লোক আয়নার সামনে বসে খায়, তাদের ওজন দ্রুত কমে। কীভাবে? তারা নিজেকে দেখতে থাকে আর ভাবতে থাকে, ওজন কমানো দরকার। এই ভাবনা কাজে দেয় কি না, একবার পরীক্ষা করে দেখতে পারেন! 

১১. হাঁটুন ওজন কমাতে হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। আর হাঁটা তো কেবল ওজনই কমাবে না, কমাবে হৃদরোগের ঝুঁকিও। বিষণ্ণতা বা মন খারাপ ভাবও কমে যাবে অনেক। 

১২. একটু কম খান আগে যেখানে হয়তো তিনটি রুটি খেতেন, সেখানে একটি রুটি খান বা যেখানে এক থালা ভাত খেতেন, সেখানে এক কাপ ভাত খান। এর বদলে পেট ভরুন সবজি আর ফল দিয়ে

৩০ দিনে ওজন কমানোর উপায়, ওজন কমানোর খাবার তালিকা, মেয়েদের ওজন কমানোর উপায় ,১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায়, মেদ ও ওজন কমানোর উপায়, সাত দিনে ওজন কমানোর উপায়, শীতে ওজন কমানোর উপায়, ওজন কমানোর ঔষধ

নিম একটি শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধের উৎস/ভেষজ উদ্ভিদ নিম, ১০০ রোগের মহৌষধ!

 



#নিমএকটি #শক্তিশালীরোগ প্রতিরোধের উৎস

নিমের বহু গুণাগুণের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিমকে ‘একুশ শতকের বৃক্ষ’ বলে ঘোষণা করেছে। করোনা রোধে টিকার পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদানও বেশ উপকারী। মেডিকেল নিউজ টুডের তথ্যানুযায়ী, নিম একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা ফ্রি র‌্যাডিকেলগুলির প্রভাবকে হ্রাস করে।

আয়ুর্বেদের মতে, নিম চিনি বা চিনির মিছরির সঙ্গে খেলে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চাইলে প্রতিদিন একটি করে নিম ক্যাপসুলও নিতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নিমপাতা অনেক রোগ নিরাময়েরও ক্ষমতা রাখে। এটি লিভার এবং হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে। তিতা স্বাদের কারণে অনেকে নিম পাতার রস খেতে না চাইলেও প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস খাওয়া শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, শারীরিক নানা অসুস্থতাও কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে।

নিম পাতায় থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে। এটি দেহের অভ্যন্তরে উপস্থিত অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকেও মেরে ফেলে। এটি পেট পরিষ্কার রাখে এবং সে কারণেই এটি ত্বকের জন্যও কার্যকর। নিম পাতা হজমের জন্যও উপকারী। এক কাপ নিমপাতায় ক্যালোরি থাকে ৩৫ গ্রাম। ফলে প্রতিদিন নিমপাতার রস খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

নিম পাতার নির্যাসে ডায়াবেটিস, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিমের কাণ্ড, মূল, বাকল এবং কাঁচা ফল সব ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে। নিমের ছালও গ্রামাঞ্চলে ত্বকের রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন একটি ওষুধি যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করতে সাহায্য করে। এটি রক্ত সঞ্চালনও ঠিক রাখে।

নিম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চমৎকার ভাবে কাজ করে। নিমের পাতা রক্তের সুগার লেভেল কমতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তনালীকে প্রসারিত করে রক্ত সংবহন উন্নত করে। ভালো ফল পেতে নিমের কচি পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। সকালে খালি পেটে ৫টি গোলমরিচ ও ১০টি নিম পাতা বেটে খেলে তা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।

প্রতিদিন কাঁচা পাতা পাওয়া না গেলে নিম পাতা ডাল থেকে ছড়িয়ে সিল-পাটায় বেটে মিহি করে নিতে হবে। এরপর ছোট ছোট বড়ি করে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর কাঁচের বোতলে এটি অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এর গুণাগুণ ভালো থাকবে।

নিম আামদের খুবই পরিচিত একটি ভেষজ গাছ। সকল রোগের মহাঔষুধ নামেও এটি বেশ পরিচিত। ঔষধি গাছ হিসেবে এর ডাল, পাতা, রস সবই কাজে লাগে। নিম একটি বহু বর্ষজীবি ও চির হরিত বৃক্ষ। নিমের পাতা থেকে আজকাল প্রসাধনীও তৈরি হচ্ছে।কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রস খুবই কার্যকরি। নিমের ফুল, পাতা ,বাকল তেল ব্যবহার করে মানুষের প্রায় ১০০ রোগের চিকিৎসা করা হয়। নিম গাছের বিশেষ উপকারিতা ও গুণাগুণ নিয়ে আজ আলোচনা করা হল

ম্যালেরিয়াঃ নিম পাতার নির্যাস ব্যবহারে ম্যালেরিয়া প্রশমিত হয়। পানি বা এলকোহল মিশ্রিত নিম পাতার নির্যাস ব্যবহারে একই ধরনের ফল পাওয়া যায়।

মানসিক চাপ ও অশান্তিঃ অল্প পরিমাণ নিম পাতার নির্যাস খেলে মানসিক চাপ ও মানসিক অশান্তি কমে যায়।

জন্ম নিয়ন্ত্রণঃ নিম পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই জন্ম নিয়ন্ত্রণের ঘটক (Agent) হিসেবে কাজ করে। সহবাসের পূর্বে নিম তেল তুলায় ভিজিয়ে স্ত্রী যৌন অঙ্গে ১৫ মিনিট রাখলে স্পার্ম মারা যায়। নিম লিফ টেবলেট পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রতিদিন এক মুঠো নিম পাতা খেলে গর্ভধারণ হয় না। ৬ সপ্তাহ পুরুষ নিম তেল সেবনে স্ত্রী গর্ভবতী হয় না।

এইডসঃ নিম গাছের বাকল হতে আহরিত নির্যাস এইডস ভাইরাসকে মারতে সক্ষম। নিম পাতার নির্যাস অথবা পুরু পাতা অথবা নিম পাতার চা পান করলে এইডস উপশম হয়।

নিম একটি শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধের উৎস/ভেষজ উদ্ভিদ নিম, ১০০ রোগের মহৌষধ!

আলসারঃ নিম পাতার নির্যাস ও নিম বীজ হতে নিম্বিডিন নির্যাস খেলে পেপটিক ও ডিওডেনাল আলসার উপশম হয়।

ব্রণঃ নিম পাতা পিষ্ট করে মধুর সাথে মিশিয়ে প্রলেপ দিলে ব্রণ সেরে যায়।

জন্ডিসঃ ২৫-৩০ ফোঁটা নিম পাতার রস একটু মধুর সাথে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে জন্ডিস আরোগ্য হয়।

বহুমূত্র রোগঃ প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ নিম পতার রস সকালে খালি পেটে ৩ মাস খেলে ডায়বেটিস আরগ্য হয়। প্রতিদিন সকালে ১০টি নিম পাতা গুড়া বা চিবিয়ে সেবন করলে ডায়বেটিস ভাল হয়। নিম পাতার রস খেলে ৩০-৭০% ইনসুলিন নেয়ার প্রবণতা কমে যায়।

বসন্তঃ কাঁচা হলুদের সাথে নিম পাতা বেটে বসন্তের গুটিতে দিলে গুটি দ্রুত শুকিয়ে যায়।

রাতকানাঃ নিম ফুল ভাজা খেলে রাতকানা উপশম হয়।

চোখের ব্যথাঃ নিম পাতা সামান্য শুস্ক আদা ও সৈন্ধব লবণ একত্রে পেষণ করে সামান্য গরম করে একটি পরিস্কার পাতলা কাপড়ে লাগিয়ে তা দ্বারা চোখ ঢেকে দিলে চোখের স্ফীতি ও ব্যথা সেরে যায়।

লাল মেহরোগঃ নিম মূলের ছালের রস ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে কিছুদিন খেলে লাল মেহরোগ উপশম হয়।

মাথাধরাঃ নিম তেল মাখলে মাথা ধরা কমে যায়।

More Read: 

ক্যান্সারঃ নিম তেল, বাকল ও পাতার নির্যাস ব্যবহারে ক্যান্সার-টিউমার, স্কীন ক্যান্সার প্রভৃতি ভাল হয়।

উকুনঃ নিমের ফুল বেটে মাথায় মাখলে উকুন মরে যায়।

হৃদরোগঃ নিম পাতার নির্যাস খেলে হৃদরোগে উপকার পাওয়া যায়। নিম নির্যাস ব্লাড প্রেসার ও ক্লোরেস্টোরল কমায়। রক্ত পাতলা করে, হার্টবিট কমায়।

কৃমি নিরসনঃ ৩-৪গ্রাম নিম ছাল চূর্ণ সামান্য পরিমাণ সৈন্ধব লবণসহ সকালে খালি পেটে সেবন করে গেলে কৃমির উপদ্রব হতে রক্ষা পাওয়া যায়। নিয়মিত এক সপ্তাহ সেবন করে যেতে হব। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১-২ গ্রাম মাত্রায় সেব্য।

রক্ত পরিস্কার ও চর্ম রোগঃ কাঁচা নিম পাতা ১০ গ্রাম ২ কাপ পানিতে জ্বাল করে ১ (এক) কাপ অবশিষ্ট থাকতে ছেঁকে নিয়ে প্রয়োজন মতো চিনি মিশিযে সেব্য।

উল্লেখিত নিয়মে প্রত্যহ ২-৩ বার, নিয়মিত ১-২ মাস সেবন করে যেতে হবে।

দাঁতের যত্নঃ কচি নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ভাল থাকে। নিম পাউডার দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ও মাঁড়ি ভাল থাকে। নিম পাতার নির্যাস পানিতে মিশিয়ে বা নিম দিয়ে মুখ আলতোভাবে ধুয়ে ফেললে দাঁতের আক্রমণ, দাঁতের পচন, রক্তপাত ও মাড়ির ব্যথা কমে যায়।

স্বপ্নদোষ প্রশমনঃ নিম ছালের রস ১-২ চা চামচ ১ (এক) গ্লাস পরিমাণ গরুর দুধে মিশিয়ে রাত্রে শয়নকালে সেবন করলে স্বপ্নদোষ প্রশমিত হয়।

খোস-পাঁচড়া ও পুরনো ক্ষতঃ নিম পাতার সাথে সামান্য কাঁচা হলুদ পিষে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ আকারে ৭-১০ দিন ব্যবহার করলে খোস-পাঁচড়া ও পুরনো ক্ষতের উপশম হয়। নিম পাতা ঘিয়ে ভেজে সেই ঘি ক্ষতে লাগালে ক্ষত অতি সত্বর আরোগ্য হয়।

বমিঃ বমি আসতে থাকলে নিম পাতার রস ৫-৬ ফোঁটা দুধ দিয়ে খেলে উপশম হয়।

নিম চা: শুকনো নিম পাতা গুঁড়ো অথবা তাজা নিমের ৬/৭ টি পাতা গরম পানিতে ছেড়ে ২/৩ মিনিট জ্বাল দিয়ে মধু মিশিয়েই বানিয়ে ফেলা যায় সুমিষ্ট নিম চা। তবে নতুনদের জন্য সময়সীমা ১ মিনিট। যত বেশি জ্বাল দিবেন তত তিতা হবে।

Wednesday, May 26, 2021

funnyLaughing #babylaughing Crazy Funny VideoTRY NOT TO LAUGH Ultimate Laughs Compilation

#laughfactory #funnyLaughing #babylaughing Crazy Funny Video || TRY NOT TO LAUGH || Ultimate Laughs Compilation নেত্রকোনায় হিন্দুদের ইস্কন মন্দিরে হা মলার নেপথ্যে যা রয়েছে Jihadis at tack ISKCON tem Asad Noor

Tuesday, May 25, 2021

পু’রু’ষের গো’প’ন শ`ক্তি বৃ’দ্ধির ১০০ভাগ কা’র্যকর প্রা’কৃ’তিক উ’পায় জেনে রাখুন।

 

পু’রু’ষের গো’প’ন শ`ক্তি বৃ’দ্ধির ১০০ভাগ কা’র্যকর প্রা’কৃ’তিক উ’পায় জেনে রাখুন।

সাধারণত খাবারে ভিটামিন এবং মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক থাকলে শরীরে এন্ড্রোক্রা’ইন সিস্টেম সক্রিয় থাকে।আর তা শরীরে এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরনের তৈরি হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এস্ট্রোজেন এবং পারফরমেন্সের জন্য জরুরি।তাই যৌ’’ন শ‌ক্তি শুধুমাত্র প্রাকৃ‌তিকভা‌বেই পাওয়া সম্ভব। আজকাল অনলাই‌নে, প‌থে-ঘা‌টে, হাট-বাজা‌রে যে গল্প বা ঔষধ পাওয়া যায় সেইগু’লির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি দেখে তবেই কেন উচিত। ভেজালময় জীবনে কি খেলে বাড়বে যৌ’’ন কামনা আসুন একবার চোখ বুলিয়ে দেখে নেই।

 খেজুর 

প্র‌তি‌দিন প্রাতরাশ খাওয়ার সময় খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গ‌ড়ে তুলুন। মাখনের সাথে খেজুর মিলিয়ে খেলে যৌ’’নশক্তি বৃ’দ্ধি পায়, সেই সা‌থে শরীরের গঠন বাড়ে ও কন্ঠস্বর পরিস্কার হয়। খেজুর চুষলে তেষ্টা কম হয়।খেজুর দে’হের শিরা কোমল করে এবং প্রসব ও শিরায় খিচুনির ফলে “আকটান পেইন” নামক যে ব্যাথা সৃষ্টি হয় তা দূর করে। মহিলাদের মধ্যে যৌ’’ন উত্তাপ সৃষ্টি করে।

 মধু

 মাখন ও মধু একত্রে মিশ্রণ করে খেলে Pleurisy তথা বক্ষাবরক ঝিল্লি প্রদাহ রোগের উপকার হয় এবং শরীর মোটা করে। খাঁটি মধুতে পাওয়া‌রের সকল উপাদান বিদ্যমান। এছাড়াও সকালে খালি পেটে জিহ্বা দ্বারা মধু চেটে খেলে কফ দূর হয়, পাকস্থলী পরিস্কার হয়, দে’হের অতিরিক্ত দূষিত পদার্থ বের হয়, গ্রন্থ খুলে দেয়, পাকস্থলী স্বাভাবিক হয়ে যায়, মস্তিস্ক শক্তি লাভ করে, স্বাভাবিক তাপে শক্তি আসে, রতি শক্তি বৃ’দ্ধি হয়, মূত্রথলির পাথর দূর করে, প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়, গ্যাস নির্গত হয় ও ক্ষুধা বাড়ায়। প্যারালাইসিসের জন্যও মধু উপকারি। 

কলিজা 

যৌ’’ন জীবনে খাদ্য হিসেবে কলিজার গু’রুত্ব অ’প‌রিসীম। কারণ, কলিজায় প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। আর এই জিঙ্ক শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ায়। যথেষ্ট পরিমাণ জিঙ্ক শরীরে না থাকলে পি’টুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসৃত হয় না। পি’টুইটারি গ্রন্থি থেকে যে হরমোন নিঃসৃত হয় তা টেস্টোস্টেরন তৈরি হওয়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া জিঙ্ক এর কারণে আরোমেটেস এনজাইম নিঃসৃত হয়। এই এনজাইমটি অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরোনকে এস্ট্রোজেনে পরিণত ‘হতে সাহায্য করে। এস্ট্রোজেনও যৌ’’নতার জন্য প্রয়োজনীয় একটি হরমোন।

 রসুন ডাক্তারদের মতে রসুনে অনেক উপকারিতা রয়েছে। রসুন ফোড়া ভালো করে, ঋতুস্রাব চালু করে, পেশাব জারী/স্বাভাবিক করে, পাকস্থলী থেকে গ্যাস নির্গত করে, নি`স্তেজ লোকদের মধ্যে যৌ’’ন ক্ষমতা সৃষ্টি করে, বী`র্য বৃ’দ্ধি করে, গরম স্বভাব লোকদের বী`র্য গাঢ় করে, পাকস্থলী ও গ্রন্থর ব্যাথার উপকার সাধন, এ্যাজমা এবং কাঁপুনি রোগেও উপকার সাধন করে। তবে গ’র্ভবতী মহিলাদের জন্য অধিক রসুন ব্যাব’হার ক্ষ’তিকর। 

সব্জির বীজ




 কুমড়োর বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, শিম বীজ, ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এবং এগু’লো শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল তৈরী করে।হরমোন গু’লো ঠিক মতো কাজ করার জন্য এই কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শিমের বীচিতে প্রচুর ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে।এটা আপনার যৌ’’ন ইচ্ছা এবং যৌ’’ন সামর’্থ্য বাড়ায়। জাপানিরা যৌ’’ন ইচ্ছা বাড়ানোর জন্য খাবারে প্রচুর শিমের বীচি ব্যবহার করে থাকে। ওটমিল এবং কুমড়ার বীচির মত সূর্যমুখীর বীজ হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে আপনার যৌ’’ন আকাঙ্ক্ষাও বাড়ে। সূর্যমূখীর বীজে যে তেল থাকে তা এই কাজটি করে।কুমড়ার বীচি জিঙ্ক-এর অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক উত্‍স। এই জিঙ্ক টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা বাড়ায়। আপনার যৌ’’ন ইচ্ছা বাড়ানোতে কুমড়ার বীচির কার্যকারিতা অনেক।

 ডিম 

ডিম যৌ’’ন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৫ ও বি-৬ আছে যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় একটি করে ডিম রাখু’ন। এতে আপনার শরীর শক্তি পাবে এবং যৌ’’ন ক্ষমতা বৃ’দ্ধি পাবে।

 দুধ

 দুধ রতিশক্তি সৃষ্টি করে দে’হের শুস্কতা দূর করে এবং দ্রুত হজম হয়ে খাদ্যের স্থলাভিষিক্ত হয়ে যায়; বী’র্য তৈ‌রি করে, চেহারা লালচে হয়, দে’হের অ’প্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং ম`স্তিস্ক শক্তিশালী করে। বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এ ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্য পাওয়া‌রের উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি।বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি শরীরে হরমোন তৈরিহওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে এই ফ্যাট ‘হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট। 

সামুদ্রিক মাছ 

সামু‌দ্রিক বা তৈলাক্ত মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এ’সিড যা সুস্থ যৌ’’ন জীবনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এ’সিড থাকে।ওমেগা ৩ ফ্যাটি এ’সিড DHA O EPA শরীরে ডোপামিন বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কে উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে। তৈলাক্ত ও সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরের র`ক্ত চলাচল বৃ’দ্ধি পায় এবং গ্রোথ হরমোনের নিঃসরন হয়। ফলে যৌ’’ন স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং যৌ’’ন ক্ষমতা বৃ’দ্ধি পায়।

 রঙিন ফল পাওয়ার ঠিক রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখু’ন। আ’ঙ্গু’র, কলা, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল যৌ’’ন ক্ষমতা বৃ’দ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের মেডিকেল টিমের গবেষণা অনুযায়ী, একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মেরকোয়ালিটি উন্নত হয়। আবার টেক্সাসের A&M ইউনিভার্সিটির মতে, তরমুজ শরীরে যৌ’’ন উ’দ্দীপনা বৃ’দ্ধি করে। তারা যৌ’’ন উদ্দীপক ওষুধ ভায়াগ্রার সাথে তরমুজের তুলনা করেছেন। জয়ফল গবেষকদের মতে, জয়ফল থেকে এক ধরনের কামোদ্দীপক যৌ’গ নিঃসৃত হয়। সাধারণভাবে এই যৌ’গটি স্নায়ুর কোষ উদ্দীপিত করে এবং র`ক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।ফলে যৌ’’ন ইচ্ছা বৃ’দ্ধি পায়। আপনি কফির সাথে মিশিয়ে জয়ফল খেতে পারেন, তাহলে দুইটির কাজ একত্রে পাওয়া সম্ভব।

 Click Here

টাটকা সবজি 

তরতাজা ও ফরমা‌লিনমুক্ত শাক সব‌জি‌তে প্রচুর প‌রিমা‌নে প্র‌য়োজনীয় অ‌নেক ভিটা‌মিন পাওয়া যায়। পালং শাকে আছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম শরীরে র`ক্ত চলাচল বৃ’দ্ধি করে। জাপানের গবেষকদের মতে, শরীরে র`ক্ত চলাচল বাড়লে যৌ’’ন উদ্দীপনাও বাড়ে। পালং শাক ও অন্যান্য বিভিন্ন রকম শাক, ব্রকলি, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপি এগু’লোতে রয়েছে ফলেট, ভিটামিন বি সহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। মোটকথা হ‌চ্ছে যে, তাজা শাক সব‌জি সুস্থ যৌ’’ন জীবনের জন্য অত্যন্ত গু’রুত্বপূর্ণ। 

মিষ্টি আলু

 মিষ্টি আলু শুধু শর্করার ভালো বিকল্পই না, মিষ্টি আলু খুব ভালো ধরনের একটি ‘সে’`ক্স’ ফুড। শরীর কোনো সবজিতে বিটা-ক্যারোটিন পেলে তা ভিটামিন-এ তে রূপান্তরিত করে। এই ভিটামিন-এ না`রীদের যো`নি এবং ইউটেরাসের আকার ভালো রাখে। তাছাড়া এটা হরমোন তৈরিতেও সহায়তা করে।

 ডার্ক চকলেট 

ডার্ক চকোলেটে আছে ফেনিলেথ্যালামাইন নামক একটি উপাদান যা শরীরে বাড়তি যৌ’’ন উদ্দীপনা তৈরী করে।গবেষণায় জানা গেছে যে, ডার্ক চকোলেট খেলে স’ঙ্গীর প্রতি আকর্ষণবোধ বেড়ে যায়। এছাড়াও ডার্ক চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে।তাই প্রতিদিন শতকরা ৭০ ভাগ কোকোযুক্ত ডার্ক চকোলেটের ২ ইঞ্চির একটি টুকরো খেয়ে নিন।মাত্র ১০০ ক্যালরী আছে এই আকৃতির একটি টুকরো, আপনার যৌ’’ন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। 

কালো জিরা 

এটা যৌ’’নতার ভারসাম্য রাখার পাশাপা‌শি শিশুর জন্য মা‌য়ের বু‌কের দুধ বৃ‌’দ্ধি ও স্তন্য‌কে সুগ‌ঠিত ক‌রে। পক্ষাঘা’ত বা প্যারালাইসিস ও কম্পন রোগে কালোজিরার তৈল মালিশকরলে আশ্চর্যজনক ফল পাওয়া যায়। কালোজিরা যৌ’’ন ব্যাধি ও স্নায়ুবিক দুর্বলতায় আ`ক্রা’ন্ত রোগীদের জন্য উত্‍কৃষ্ট মা‌নের ঔষধ। সর্দি, কাশি, বুকের ব্যাথা, পাকস্থলীতে বায়ু সঞ্চয় (অম্লপিত্ত) শুলবেদনা ও প্রসূতি রোগে অত্যধিক উপকারী।ব্রনের জন্যও উত্তম ঔষধ। এবং এতে শ্লেষ্মা, পুরাতন জ্বর, মূত্রথলির পাথর ও পান্ডুরোগ (কামিলা, জন্ডিস) আরোগ্য লাভ করে।তাছাড়া এটা মুদরে হায়েজ বা অধিক ঋতু স্রাব, মুদরে বাওল বা মাত্রাতিরিক্ত পেশাব প্রতিরোধক ও ক্রিমিনাশক।

 বাদাম 

চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে। এগু’লো শরীরে প্র‌য়োজনীয় কোলেস্টেরল তৈরী করারপাশাপা‌শি হরমোন গু’লোকে স‌ঠিকভা‌বে পথ‌নি‌র্দেষ করে। তাই প্রতিদিন অল্প করে হলেও বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে যৌ’’ন স্বাস্থ্য স্বাভা‌বিক থাক‌বে। চীনা বাদামে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। এই জিঙ্ক শু`ক্রা’ণুর সংখ্যা বাড়ায় এবং শ`ক্তিশালী শুক্রা’`ণু তৈরি করে। জিঙ্ক কম থাকলে শরীরে শতকরা ৩০ ভাগ কম বী`র্য তৈরি হয়।যারা খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে কম জিঙ্ক গ্রহণ করে তাদের বী`র্য এবং টেস্টোস্টেরনের ঘনত্ব দুটিই কমে যায়। বাদাম খাওয়ার মাধ্য‌মে এটা পূরণ হ‌য়ে যায়। 

কিসমিস 

মানব শরী‌রে যৌ’’ন উ‌দ্দীপনা বা যৌ’’ন শ‌ক্তি বৃ‌’দ্ধি‌তে কিস‌মি‌সের সা‌থে অন্য কোন কিছুর তুলনা হয় না।আ’ঙ্গু’র ফলকে বি‌শেষ প্র‌ক্রিয়ায় কিস‌মি‌সে রুপান্তর করা হয়। কিন্তু গু’‌নের দিক থে‌কে আ’ঙ্গু’‌রের চাই‌তে কিস‌মি‌সের অবদান অ‌নেক বে‌শি।সর্বোপরি চিন্তা বা দুশ্চিন্তা থেকে নিজের মনকে শান্ত রাখতে চেষ্টা করুন অন্তত আপনার স’ঙ্গী বা স’ঙ্গিনীর সাথে যখন সময় কা`টাচ্ছেন।মনে আনন্দ থাকলে নার্ভগু’লো অনেক সচল থাকে। যার সুপ্রভাব পরে আপনার যৌ’’ন জীবনে।

পু,রু,ষের যৌ#3ঙ্গের গো, ড়া চি,ক ন আগা মো, টা হওয়ার সমাধান কি

 


এটা কোন রোগ না। এটার লি. ,# ঙ্গে # র স্বাভাবিক গঠন। তাই চিন্সোতার কোনো প্রয়োজন নেই। একটি মানুষের লি.ঙ্গের আকার তার স্বাস্থ্য, বংশগতি, জাতি ইত্যাদি বিষয়ের উপরে নির্ভর করে। যৌ# মি, ল, নে লি.# ঙ্গে# র মো, টা বা চি,ক ন কোন প্রভাব ফেলে না।

একজন স্বাস্থ্যবান পুরুষ হলেই যে তার লি.# ঙ্গ স্বা, স্থ্যবা.ন এ কথা কিন্তু বলা যাবে না। শুধু ল,ম্বা দে,হি ও শ,ক্তি থাকলেই যে তার যৌ.#n শ,ক্তি ও লি.# ঙ্গে# র সা, ই,জ যে তার দেহের মতই এটা কিন্তু ঠিক নয়। অনেক পুরুষ আছেন যাদের দেহের সাথে লি.# ঙ্গে# র কোনও সামঞ্জস্যতা নেই। স্ত্রী কে পূ, র্ণ তৃ, প্তি দিতে পারছেন না এমন স্বা,মী লু,কিয়ে লু,কিয়ে মনের জ্বালা কে কবর দিচ্ছেন।





এমনও কোনও কোনও স্ত্রী আছেন যারা দেহের তৃ, প্তি পাওয়ার জন্য অন্য পু রুষে র সাথে সম য় কা টান। ফলাফল স ন্দেহ, অতঃপর বিবাহ বিচ্ছেদ। আবার অনেকে বিয়ে করতেই ভয় পাচ্ছেন। অনেকে আবার সমাধান খুঁজেছেন পাগলের মত। কি করলে আমার লি## ঙ্গ একটু ব,ড় হবে।


স্বামী-স্ত্রীর যে ১০ ভুলের জন্য সারাজীবন সন্তান হয়না, সময় থাকতে বিস্তারিত জেনে নিন


বয়স বাড়ার সঙ্গে নারীর সন্তান ধারণ ক্ষ’মতা প্রাকৃতিকভাবেই খানিকটা কমে আসে। শুধু তাই নয়, জীবনযাপনের আরো কিছু বি’ষয় সন্তান ধারণক্ষ’মতাকে কমিয়ে দেয়। চলুন বিস্তারিত জেনে নিন অতিরিক্ত ওজনঅতিরিক্ত ওজন সন্তান না হওয়ার একটি অন্যতম কারণ।

  • এটি শরীরের হরমোনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে এবং নারীর সন্তান ধারণ ক্ষ’মতাকে অত্যন্ত জটিল করে তোলে। এর ফলে নারীর জরায়ুর কার্যক্ষ’মতাও হ্রাস পায়। ২০০৯ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, ১৮ বছর বয়সের যেসব নারী

রোজিনার জন্য কাঁদলেন, আমা’র জন্য তো কাঁদেননি : তসলিমা

 




রোজিনার জন্য কাঁদলেন, আমা’র জন্য তো কাঁদেননি : তসলিমা

কে বলেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে না? খুব জানে। এই যে রোজিনা নামের এক সাংবাদিককে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লোকেরা হে’নস্তা করল, এর প্রতিবাদ করতে তো ঝাঁপিয়ে পড়েছে শিল্পী-সাহিত্যিক, সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী, যদু মধু রাম শ্যাম সকলে। লেখক আনিসুল হককে হাপুস নয়নে কাঁদতেও দেখা গেল। সহকর্মীর জন্য কেঁদেছেন। এক কাগজে রোজিনা ইস’লাম আর আনিসুল হক- দুজনই লেখেন কিনা।

আনিসুল হক আর আমিও কিন্তু একসময় এক কাগজে লিখতাম। সাপ্তাহিক পূর্বাভাসে। পত্রিকা অফিসে আমাদের দেখাও হতো, আড্ডাও হতো। আমা’র ওপর যখন অন্যায়ভাবে অ’ত্যাচার করল সরকার, আমাকে দেশ থেকে তাড়াল, ২৭ বছর আমাকে দেশে ফিরতে দিল না- তখন কী’ করেছিলেন তিনি? এমন অবিশ্বা’স্য ভ’য়াবহ অ’ত্যাচারের কথা জেনেও তিনি কিন্তু আমা’র জন্য চোখের জল ফেলেননি। হয়তো আমা’র সঙ্গে সেই হৃদ্যতা ছিল না, যে হৃদ্যতা রোজিনার সঙ্গে আছে।

কিন্তু আমা’র নামটিও একবার কোথাও উচ্চারণ করেছেন বলে শুনিনি। শুষ্ক চোখেও তো কোনোদিন কোথাও দায়সারাভাবেও বলেননি যে, একজন লেখকের ওপর সরকার অন্যায় করছে। তাহলে আনিসুল হকের চোখের জলের পেছনে ব্যক্তিগত হৃদ্যতা আছে, মানবতা নেই। মানবতা থাকলে সব অ’ত্যাচারিতের জন্য কাঁদতেন, অথবা নিদেন পক্ষে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন। kalerkantho

শুধু আনিসুল হক কেন, বাংলাদেশের কোনো শিল্পী-সাহিত্যিক-সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী তো প্রশ্ন করেন না, সরকার কেন আমাকে দেশে প্রবেশ করতে দেয় না। প্রতিবাদ যে তারা করতে জানেন না, অথবা করতে ভ’য় পান, এমন তো নয়। আমাকে কেউ কেউ বলেছেন, ‘দেশ নষ্ট হয়ে গেছে, ওই দেশে গেলে অ’ত্যাচার করবে, না যাওয়াই ভালো’।

ঠিক এভাবে রোজিনাকে কিন্তু কেউ বলেননি, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নষ্ট হয়ে গেছে, ওখানে গেলে অ’ত্যাচার করবে, না যাওয়াই ভালো’। বরং তারা মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার, এবং অ’ত্যাচারিত না হওয়ার অধিকার দাবি করছেন। প্রতিবাদে কাজও হয়েছে, অন্যায় যারা করেছেন, তাদের বদলি করে দেওয়া হয়েছে।

মাঝে মাঝে আমা’র নিজের কাছেই অবিশ্বা’স্য লাগে দেশের একটি ভ’য়াবহ অন্যায় নিয়ে ২৭ বছর মানুষ কী’ করে চুপ করে আছে। অথচ ক্ষুদ্র কিছু অন্যায় নিয়ে চি’ৎকার করে বেশ গলা ফাটায়। আসলে সরকার আমাকে নির্ভাবনায় নি’র্যাতন করছে, কারণ জানে দেশের বুদ্ধিজীবীরা অন্য যেকোনো নি’র্যাতন নিয়ে মুখ খুললেও এই নি’র্যাতনটি নিয়ে মুখ খুলবে না। বেছে বেছে প্রতিবাদ যারা করে, তাদের ধিক্কার জানাই।

তসলিমা নাসরিনের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে

Sunday, May 23, 2021

ক্ষুদে শিল্পী সারা চৌধুরী একক সঙ্গীত অনুষ্ঠান Shara Chowdhury solo concert

 ক্ষুদে শিল্পী সারা চৌধুরী একক সঙ্গীত অনুষ্ঠান Shara Chowdhury solo concert

ক্ষুদে শিল্পী সারা চৌধুরীর গানগুলো শুনতে হলে সরাসরি তার  ইউটিউব চ্যানেলে এবং ফেসবুক টাটা চৌধুরী পেইজে সরাসরি চলে যান তাহলে দেখতে পারবেন তার গানগুলো। সারা চৌধুরী ছোটবেলা থেকেই নাচ এবং গানের প্রতি অনুরক্ত সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ এবং গান করে থাকে। গোপালগঞ্জ যে কোন অনুষ্ঠানে নাচ এবং গান প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় মধ্যে থাকে। সে গোপালগঞ্জ যেকোন অনুষ্ঠানমালা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ এবং জাতীয় পর্যায়ে যে কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানমালা সাফল্যমন্ডিত হয়ে ওঠে। গ্রামের বাড়ি ,গ্রাম খাগবাড়ী, পোস্ট রামশিল উপজেলা কোটালীপাড়া জেলা গোপালগঞ্জ। সে এস এম মডেল স্কুলের পঞ্চম শ্রেণি  পড়াশোনা করে এখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ছে বীণাপাণি গার্লস হাই স্কুলে অধ্যায়ন করছে।সারা  গান এবং নাচ যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই তার চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবেন এবং পেজটি লাইক করবেন। তার লাইকি টিক টক আইডি আছে ঘুরে আসতে পারেন সেখান থেকে। ধন্যবাদ সবাইকে।

#সারাচৌধুরী #এককসঙ্গীত অনুষ্ঠান #SharaChowdhurysongconcert

সারা চৌধুরী একক সঙ্গীত অনুষ্ঠান Sara Chowdhury solo concert

সারা চৌধুরী একক সঙ্গীত অনুষ্ঠান Sara Chowdhury solo concert

#আমারসোনার #National #anthem আমি তোমায় ভালোবাসি। National anthem of Bangladesh audition আমার সোনার বাংলা

ক্ষুদে শিল্পী সারা চৌধুরী একক সঙ্গীত অনুষ্ঠান Shara Chowdhury solo concert

 ক্ষুদে শিল্পী সারা চৌধুরী একক সঙ্গীত অনুষ্ঠান Shara Chowdhury solo concert

ক্ষুদে শিল্পী সারা চৌধুরীর গানগুলো শুনতে হলে সরাসরি তার  ইউটিউব চ্যানেলে এবং ফেসবুক টাটা চৌধুরী পেইজে সরাসরি চলে যান তাহলে দেখতে পারবেন তার গানগুলো। সারা চৌধুরী ছোটবেলা থেকেই নাচ এবং গানের প্রতি অনুরক্ত সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ এবং গান করে থাকে। গোপালগঞ্জ যে কোন অনুষ্ঠানে নাচ এবং গান প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় মধ্যে থাকে। সে গোপালগঞ্জ যেকোন অনুষ্ঠানমালা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ এবং জাতীয় পর্যায়ে যে কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানমালা সাফল্যমন্ডিত হয়ে ওঠে। গ্রামের বাড়ি ,গ্রাম খাগবাড়ী, পোস্ট রামশিল উপজেলা কোটালীপাড়া জেলা গোপালগঞ্জ। সে এস এম মডেল স্কুলের পঞ্চম শ্রেণি  পড়াশোনা করে এখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ছে বীণাপাণি গার্লস হাই স্কুলে অধ্যায়ন করছে।সারা  গান এবং নাচ যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই তার চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবেন এবং পেজটি লাইক করবেন। তার লাইকি টিক টক আইডি আছে ঘুরে আসতে পারেন সেখান থেকে। ধন্যবাদ সবাইকে।

#সারাচৌধুরী #এককসঙ্গীত অনুষ্ঠান #SharaChowdhurysongconcert

সারা চৌধুরী একক সঙ্গীত অনুষ্ঠান Sara Chowdhury solo concert

সারা চৌধুরী একক সঙ্গীত অনুষ্ঠান Sara Chowdhury solo concert

ঝড় এলো এলো ঝড় আম পড় আম পাকা আম এলো বুঝি বৃষ্টি কাঁচা আম গাছে আম টক টক

ক্ষুদে শিল্পী সারা চৌধুরী একক সঙ্গীত অনুষ্ঠান Shara Chowdhury solo concert

ক্ষুদে শিল্পী সারা চৌধুরীর গানগুলো শুনতে হলে সরাসরি তার  ইউটিউব চ্যানেলে এবং ফেসবুক টাটা চৌধুরী পেইজে সরাসরি চলে যান তাহলে দেখতে পারবেন তার গানগুলো। সারা চৌধুরী ছোটবেলা থেকেই নাচ এবং গানের প্রতি অনুরক্ত সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ এবং গান করে থাকে। গোপালগঞ্জ যে কোন অনুষ্ঠানে নাচ এবং গান প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় মধ্যে থাকে। সে গোপালগঞ্জ যেকোন অনুষ্ঠানমালা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ এবং জাতীয় পর্যায়ে যে কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানমালা সাফল্যমন্ডিত হয়ে ওঠে। গ্রামের বাড়ি ,গ্রাম খাগবাড়ী, পোস্ট রামশিল উপজেলা কোটালীপাড়া জেলা গোপালগঞ্জ। সে এস এম মডেল স্কুলের পঞ্চম শ্রেণি  পড়াশোনা করে এখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ছে বীণাপাণি গার্লস হাই স্কুলে অধ্যায়ন করছে।সারা  গান এবং নাচ যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই তার চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবেন এবং পেজটি লাইক করবেন। তার লাইকি টিক টক আইডি আছে ঘুরে আসতে পারেন সেখান থেকে। ধন্যবাদ সবাইকে।

#সারাচৌধুরী একক সঙ্গীত অনুষ্ঠান #SharaChowdhury solo concert

সারা চৌধুরী একক সঙ্গীত অনুষ্ঠান Sara Chowdhury solo concert

সারা চৌধুরী একক সঙ্গীত অনুষ্ঠান Sara Chowdhury solo concert

#আয়রেজাদু #দেখরেজাদু #ayerajadhu আয়রে জাদু দেখরে জাদু || ayera jadhu dhekbi jadhu

ক্ষুদে শিল্পী সারা চৌধুরী একক সঙ্গীত অনুষ্ঠান Shara Chowdhury solo concert

ক্ষুদে শিল্পী সারা চৌধুরীর গানগুলো শুনতে হলে সরাসরি তার  ইউটিউব চ্যানেলে এবং ফেসবুক টাটা চৌধুরী পেইজে সরাসরি চলে যান তাহলে দেখতে পারবেন তার গানগুলো। সারা চৌধুরী ছোটবেলা থেকেই নাচ এবং গানের প্রতি অনুরক্ত সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ এবং গান করে থাকে। গোপালগঞ্জ যে কোন অনুষ্ঠানে নাচ এবং গান প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় মধ্যে থাকে। সে গোপালগঞ্জ যেকোন অনুষ্ঠানমালা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ এবং জাতীয় পর্যায়ে যে কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানমালা সাফল্যমন্ডিত হয়ে ওঠে। গ্রামের বাড়ি ,গ্রাম খাগবাড়ী, পোস্ট রামশিল উপজেলা কোটালীপাড়া জেলা গোপালগঞ্জ। সে এস এম মডেল স্কুলের পঞ্চম শ্রেণি  পড়াশোনা করে এখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ছে বীণাপাণি গার্লস হাই স্কুলে অধ্যায়ন করছে।সারা  গান এবং নাচ যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই তার চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবেন এবং পেজটি লাইক করবেন। তার লাইকি টিক টক আইডি আছে ঘুরে আসতে পারেন সেখান থেকে। ধন্যবাদ সবাইকে।

#সারাচৌধুরী একক সঙ্গীত অনুষ্ঠান #SharaChowdhury solo concert

সারা চৌধুরী একক সঙ্গীত অনুষ্ঠান Sara Chowdhury solo concert

সারা চৌধুরী একক সঙ্গীত অনুষ্ঠান Sara Chowdhury solo concert

কল কল ছল ছল নদী করে টলমল kolo kolo solo soloনাও বাইওনা মাঝি ভেষম দৈরাতে - YouTube

ফাঁটা পায়ের যত্নে কিছু পরামর্শ !!হাত ও পায়ের বিশেষ যত্ন,পা ফাটা দূর করবে পেঁয়াজ

 
ফাঁটা পায়ের যত্নে কিছু পরামর্শ !!হাত ও পায়ের বিশেষ যত্ন,পা ফাটা দূর করবে পেঁয়াজ


শীতে প্রায়ই হাত ও পায়ে খসখসে ভাব, কালো হয়ে যাওয়াসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায় । এজন্য হাত ও পায়ের নিয়মিত যত্নের প্রয়োজন । নিয়মিত যত্ন নিলে আপনার হাত ও পা থাকবে নরম, কোমল ও মসৃণ । জেনে রাখুন হাত ও পায়ের সুরক্ষায় কিছু প্রয়োজনীয় টিপস ।কনুইয়ের খসখসে ও কালো ভাব দূর করতে বাদাম তেল ও তিলের তেল একসাথে মিশিয়ে লাগাতে পারেন ।
হাত ও পায়ের স্ক্রাব: চিনি ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে এই মিক্সটি দিয়ে ভালো করে স্ক্রাব করে নিন । হাত-পায়ের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে ।
হাত ও পায়ের প্যাক: বেসন, গুঁড়ো দুধ আর মধু একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরী করে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন কমপক্ষে ২০ মিনিট ।

পা সুন্দর রাখতে চাইলে একটি ছোট বোলে পানি ও লেবুর রস মিশিয়ে ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে আপনার সানবার্ন ও পায়ের গন্ধ দুর হবে এবং পা ফর্সা হবে।

রোদে পোড়া দাগ দূর করতে টক দইয়ের প্যাক বিশেষ উপকারী । সমপরিমাণে শশার পেস্ট ও টক দই মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন । এটি আপনার ত্বকে হারানো গ্লো ফিরিযে নিয়ে আসবে ।হাত ও পায়ের নখের যত্নে নেইল অয়েল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন । এতে নখ ভেঙ্গে যাওয়ার সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন ।

ফাঁটা পায়ের যত্নে কিছু পরামর্শ !!হাত ও পায়ের বিশেষ যত্ন,পা ফাটা দূর করবে পেঁয়াজ
রাতে ঘুমানোর আগে হাত-পায়ে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ঘুমালে সকালে পাবেন কোমল ও নমনীয় ত্বক ।

মুখের তুলনায় হাত-পায়ের যত্ন সবসময়েই কম নেওয়া হয়, এজন্য মুখের তুলনায় হাত ও পায়ের রং কালো দেখা যায় । নিয়মিত আপনার হাত ও পায়ের যত্ন নিন ।

শীতে পায়ের নিচের ত্বক অন্য সময়ের চেয়ে বেশি শুষ্ক থাকে। তাই পা ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় পায়ের নিতে হয় বাড়তি যত্ন।তবে পা ফাটা অনেক সময় মারাত্মক আকার ধারণ করে। পা ফেটে রক্ত বের হওয়ার উপক্রম হয়। ব্যথা হয়, তখন হাঁটতেও সমস্যা হয়। আর দীর্ঘদিন পা ফাটার সমস্যা থেকে ইনফেকশন হতে পারে।পা ফাটার সমস্যায় বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন আপনি। তবে পা ফাটার সমস্যায় পেঁয়াজের রস ব্যবহারে ভালো উপকার পেতে পারেন।

জেনে নিই পা ফাটায় পেঁয়াজের ব্যবহার-

পেঁয়াজের রস পা ফাটার জন্য খুবই উপকারী। পেঁয়াজের রস পায়ের শুষ্কতা দূর করে। পেঁয়াজের মধ্যে রয়েছে ফসফরাস, দস্তা, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন। এ ছাড়া শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন (ক্ষতিকর পদার্থ) বের করে দেয় পেঁয়াজ। সেই সঙ্গে ঠিক রাখে রক্ত প্রবাহ।পেঁয়াজে আরও রয়েছে ভিটামিন এ, সি ও ই। ভিটামিন সি ত্বককে সুস্থ রাখে এবং ভিটামিন ই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। আর এসব ভিটামিনই ত্বককে যাবতীয় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়।

ব্লেন্ডারে পেঁয়াজ ব্লেন্ড করে রস বানিয়ে তার মধ্যে এক চামচ মধু ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে গোড়ালির ফাটা স্থানে ব্যবহার করুন। ২০ থেকে ২৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা পানিতে পা ধুয়ে নিন। এক সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন পা ফাটা দূর হবে।

শীত আসছে। সবাই এ সময় ত্বকের একটু বাড়তি যত্ন নিয়ে থাকেন। তবে পায়ের গোড়ালির দিকে নজর একটু কমই থাকে। এ সময় অনেকের পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। যাঁরা এ বিড়ম্বনায় পড়তে চান না, তাঁরা একটু বাড়তি যত্ন নিতে পারেন।

Read More :

শুষ্ক মৌসুম আর আর্দ্রতার ঘাটতিতে এ সমস্যা হয়। পা ফাটলে পায়ের গোড়ালিতে যন্ত্রণা হতে থাকে। পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে তা সারাতে ঘরোয়া কিছু সমাধান নিজেই করতে পারেন। পা ফাটা সারানোর উপায়গুলো জেনে নিন:

মোমবাতির মোম: মোমবাতির মোমের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে তা ফাটা স্থানে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে পা ফাটা সেরে যাবে।

গ্লিসারিন ও গোলাপজল: গোলাপজলের সঙ্গে কিছুটা গ্লিসারিন মিশান। এই মিশ্রণ পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে পা ফাটা ও ব্যথা কমবে।

তিলের তেল: পা ফাটা সমস্যা সমাধানে তিলের তেল দারুণ কার্যকর। পায়ে তিলের তেল মাখলে পা ফাটা দূর হয়।

ভ্যাসলিন ও লেবুর রস: ভ্যাসলিনের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে তা ফাটা স্থানে মালিশ করুন। এতে ওই মিশ্রণ সেখানে শোষণ হয় বলে পা ফাটা দ্রুত সেরে যায়।

মধু-পানি: এক কাপ মধু আধা বালতি গরম পানিতে মিশিয়ে এতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে পা ফাটা দূর হবে। 

তথ্যসূত্র: জিনিউজ।

Read More:কোনো মেয়ে অন্য কারো সাথে শা’রী’রিক সম্পর্ক করে কিনা বোঝার উপায়

#পাফাটার ক্রিম বাংলাদেশ, #পাফাটাদূর করার ঔষধ ,পা ফাটা দূর করার ক্রিম, পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায় ,পা ফাটার সমাধান ,পা ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে, হাত ফাটার ক্রিম ,পায়ের ফাটা দাগ দূর করার উপায়

Saturday, May 22, 2021

লিঙ্গ বড় ও মোটা করার উপায় | Sona Boro Korar Upay লিঙ্গ বড় ও মোটা করার উপায় Lingo Boro O Mota Korar Opay

 

লিঙ্গ বড় ও মোটা করার উপায় | Sona Boro Korar Upay লিঙ্গ বড় ও মোটা করার উপায়  Lingo Boro O Mota Korar Opay




ছেলেদের লিঙ্গ বড় করার কার্যকর ও পরীক্ষিত পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন পুরুষের মত যে আকাঙ্খা সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় সেটি হলো লিঙ্গের আকার আরও বড় করার।  স্বাভাবিকভাবে আমাদের লিঙ্গের আকার যা থাকে আমরা সব সময় কামনা করে থাকে যে লিঙ্গের আকার যদি এর থেকে আরও একটু বড় করা যেত।  

তাহলে কি আসলেই লিঙ্গের আকার বড় করা যায় বা লিঙ্গের সাইজ মোটা বড় করা যায় কিনা এটি আমরা আজকে জানবো। লিঙ্গের আকার বড় করার একটি পদ্ধতি রয়েছে সেটি হচ্ছে সার্জারির মাধ্যমে পেনিস বড় করা যায় কিন্তু এই পদ্ধতিটা অনেক ব্যয়বহুল।  এছাড়াও পেনিস বড় করার জন্য বিভিন্ন ক্রীম ঔষধ ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো করার মাধ্যমে আপনি পেনিসের সাইজ বড় করতে পারবেন এরকম বিজ্ঞাপন দেয়া থাকে তবে এগুলো আসলে সঠিক কিনা এখনো কোন বৈজ্ঞানিক  কোন প্রমাণ নেই। এবার আমরা জানবো একজন পুরুষের লিঙ্গের আসল সাইজ কতো যে সাইজ হলে একজন পুরুষের লিঙ্গ সঠিক সাইজের বলে ধরে নেয়া হয়।  আমাদের উপমহাদেশের বিশেষ করে ভারতের আশেপাশের দেশগুলোতে পুরুষের লিঙ্গের গড় আয়তন হচ্ছে 5.5 থেকে 5.9 ইঞ্চি পর্যন্ত তবে এটি লিঙ্গ উত্থিত অবস্থায় দৈর্ঘ্য।  তবে উপমহাদেশের বাহিরের দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর বিশেষ করে ভারত কোরিয়া জাপান এসব দেশগুলোর গড় দৈর্ঘ মাত্র 4 ইঞ্চি থেকে সাড়ে চার ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। 
লিঙ্গ বড় ও মোটা করার উপায় | Sona Boro Korar Upay লিঙ্গ বড় ও মোটা করার উপায়  Lingo Boro O Mota Korar Opay

পৃথিবীর সবচাইতে লম্বা  লিঙ্গের অধিকারী দেশগুলো হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা মহাদেশের দেশ কঙ্গো এছাড়াও অন্য আফ্রিকার দেশগুলো আমেরিকার দেশগুলোর পুরুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য অনেক বড় হয়ে থাকে।  গবেষকদের মতে একজন পুরুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য সাড়ে তিন ইঞ্চি এর বেশি হলে একজন নারীকে তৃপ্তি দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।  নারীর যৌনাঙ্গের গভীরতা 3 ইঞ্চি থেকে কিছু বেশি হয়। আপনি কোন এটা বুঝতে পারছেন যে আসলে আপনার পুরুষাঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য কত হওয়া উচিত আর পুরুষাঙ্গ বড় হওয়া উচিত কি না বা পুরুষাঙ্গ বড় করার দরকার রয়েছে কিনা।  

যদি মনে করেন আপনার পুরুষাঙ্গ আরো বড় করা উচিত পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য আরো বৃদ্ধি করা উচিত তাহলে নিচে পুরুষাঙ্গ বৃদ্ধির জন্য যে মেডিসিন ও ব্যায়ামগুলো বলব সেগুলো ফলো করতে পারেন। প্রায় একশত বছরের বেশি সময় ধরে লিঙ্গ বড় করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা অথবা চেষ্টা করেও লিঙ্গের আকার পরিবর্তনে তেমন একটা ভাল ফলাফল/আবিষ্কার এখন পর্যন্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে এটা সত্য যে – বিভিন্ন খাবার বড়ি, ক্রিম, ব্যায়াম, লকিং মেশিন এবং অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে এখন মানুষ তার পেনিসের আকার পরিবর্তনের চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে তাদের কোনটিই কার্যকর হয়না। বরং এ রকম চেষ্টার ফলে অনেক পুরুষই লিঙ্গত্থান সমস্যাসহ নানবিধ যৌন জটিলতায় পতিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।আসলে লিঙ্গ মোটা করা কিংবা লম্বা করার মত কোনো ব্যবস্থা এখনো পর্যন্ত তৈরি হয়নি। আপনি যদি লিঙ্গ মোটা করার জন্যে কোনো কিছু করতে চান তাহলে সেটা আপনার জন্যে বিপদও ডেকে আনতে পারে। বস্তুত ছেলেদের লিঙ্গ বা যৌনাঙ্গ বা পুরুষাঙ্গ বড় হওয়া নির্ভর করে এতে রক্তের চাপ কেমন থাকে তার উপর। পুরুষাঙ্গ একটি মাংসপেশি।অনেকেই মনে করেন অন্য সব মাংসপেশি যেমন ব্যায়াম করলে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় তেমনি এটাও ব্যায়ামের মাধ্যমে বাড়াতে হবে। আর ব্যায়াম চালু না রাখলে যেমন মাংসপেশি শুকিয়ে যায় তেমন এটাও কমে যাবে। কিছু কিছু পেনাইল সার্জারির প্রচলন বিদেশে আছে। তবে তা স্থায়ী কোনকিছু নয়। পেনিস পাম্প এর প্রচলন ও আছে। কিন্তু ব্যায়ামের চেয়ে ভাল কিছু আর নেই । 

পুরুষাঙ্গের আকার বৃদ্ধির তিন ধরনের জনপ্রিয় ব্যায়াম আছে বলে শোনা যায়। যথা— 

  1. শেকিংঃ প্রথমে আপনার পেনিস টাকে গোড়ার দিকে দুই আঙ্গুলে ধরুন (শিথিল অবস্থায়)। এরপর সেটাকে আস্তে আস্তে ঝাঁকাতে শুরু করুন আস্তে আস্তে ঝাঁকানোর… গতি বাড়ান এভাবে একটানা ২০০-২৫০ বার ঝাঁকান মাঝে মাঝে আপনার ইরেকশন হতে পারে। ইরেকশন হলে পেনিস্ কে শিথিল হওয়ার জন্য কিছু সময় দিন। তারপর আবার করুন এভাবে দিনে দুইবার করুন এটা করার সময় আপনার হস্তমৈথুনের ইচ্ছা জাগতে পারে। ইচ্ছাটাকে পাত্তা দিবেন না। এটা করার সময় যদি হস্তমৈথুন করেন তাহলে ব্যায়াম করা আর না করা সমান কথা। যদি ২০০-২৫০ বারের আগেই বীর্য বেরিয়ে যেতে চায় তাহলে থামুন। উত্তেজনা প্রশমিত হলে আবার করুন এটা করলে আপনার পুরুষাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন আশাতীত ভাবে বাড়বে। একটু কষ্ট করে হলেও এক্সারসাইজ চালু রাখুন বাদ দেবেন না। 
  2.  জেল্কিংঃ প্রথমে পেনিস কে জলে ধুয়ে নিন এবং মুছে ফেলুন। এরপর খানিকটা ক্রিম বা জেল জাতীয় পিচ্ছিল জিনিস, (তেল জাতীয় জিনিস হলেও হবে) যোগাড় করুন। এটি পেনিসে ভালভাবে মাখান (শিথিল অবস্থায়) এবার বুড়ো আঙ্গুল এবং তর্জনীরসাহায্যে ”OK” সাইন এর মত করুন। এবার এই ”OK” সাইন দিয়ে পেনিসের গোড়া ধরুন (একটু জোরে চেপে ধরতে হবে)। এবার আস্তে আস্তে ভেতর থেকে বাইরের দিকে মর্দন করুন। জিনিসটা অনেকটাই হস্তমৈথুনের মতই। কিন্তু খেয়াল রাখবেন এটা শুধু পেনিসের গোঁড়া থেকে অগ্রভাগের দিকে। উল্টা দিকে করবেন না। এভাবে ৩০-৪০ বার করুন। দিনে দুইবার। এটি করার সময় আপনি নিজেই টের পাবেন যে আপনার লিঙ্গমুণ্ডে রক্তের চাপ বাড়ছে। মাঝে মাঝে আপনার ইরেকশন হতে পারে ইরেকশন হলে পেনিস্ কে শিথিল হওয়ার জন্য কিছু সময় দিন। এটা করার সময় আপনার হস্তমৈথুনের ইচ্ছা জাগতে পারে। ইচ্ছাটাকে পাত্তা দিবেন না। যদি ৩০-৪০ বারের আগেই বীর্য বেরিয়ে যেতে চায় তাহলে থামুন। উত্তেজনা প্রশমিত হলে আবার করুন এটি করার সময় লিঙ্গমুণ্ডে সামান্য সাময়িক ব্যাথা বোধ হতে পারে।
  3.  এছাড়া আপনি দেখবেন লিঙ্গমুণ্ডকে লাল হয়ে ফুলে উঠতে। রক্তের চাপের কারনে এমন হয়। ৩. স্ট্রেচিংঃ প্রথমে লিঙ্গমুণ্ড পাঁচ আঙ্গুলে সামনে থেকে চেপে ধরুন এবার এটাকে সামনের দিকে টেনে ধরুন এমনভাবে ধরে রাখুন যাতে পিছলে না যায় এভাবে ২০ সেকেন্ড ধরে রাখুন ২০ সেকেন্ড পর ছেড়ে দিন এভাবে একটানা ২০ বার করুন (দিনে ২ বার) মাঝে মাঝে আপনার ইরেকশন হতে পারে৷ ইরেকশন হলে পেনিস্ কে শিথিল হওয়ার জন্য কিছু সময় দিন তারপর আবার করুন৷ এর ফলে ধীরে ধীরে আপনার পুরুষাঙ্গ দীর্ঘতায় বাড়বে৷ যে তিনটি ব্যায়ামের কথা বলা হয়েছে সেগুলো একত্রে প্রতিদিন দুইবার করে করুন। একসাথে না করলে লাভের সম্ভাবনা কম। এক্সারসাইজের সময় হস্তমৈথুন করবেন না। হস্তমৈথুন করলে ব্যায়াম করার কোন দরকারই নাই। কারণ তাতে কোন লাভ হবেনা।

লিঙ্গ বড় ও মোটা করার উপায় | Sona Boro Korar Upay লিঙ্গ বড় ও মোটা করার উপায়  Lingo Boro O Mota Korar Opay
 Read more: মেয়েদের দুধ বড় করার Tips in Bengali লিঙ্গ মোটা, বড় এবং লম্বা করার উপায় lingo mota korar upay ki লিঙ্গ মোটা করার উপায় কি? lingo mota korar oil ইহা মুটা করার তেল lingo boro korar opay & Poddoti সোনা বড় করার পদ্ধতি lingo boro korar osud er nam লিঙ লম্বাা করার ঔষধ এর নাম কি অষুধ খেলে সুনা বড় হয়? Lingo mota korar tablets লিনগ মোটাা করার ট্যাবলেট, lingo boro korar ayurvedic medicine lingo boro mota korar beyam boro korar osud naam ki? এই সকল প্রস্নের উত্তর নিয়েই আজকের শিক্ষামূলক রচনাঃ- (Lingo onek lomba, Boro O Mota Korar Bangla tips) Lingo Boro O Mota Korar Opay | লিঙ্গ বড় ও মোটা করার উপায় | Sona Boro Korar Upay | Bangla Tips Sona boro korar upay সোনা বড় করার উপায়, Sona Boro korar Tips ছেলেদের লিঙ্গ মোটা ও বড় করার কৌশল লম্বা করার উপায় Lingo Mota O boro korar Opai. আজকের টপিক টি একটু অন্যরকম! Lingo Boro O Mota Korar Opay | লিঙ্গ অনেক বড় ও মোটা করার সহজ উপায় | Bangla Tips 2019 লজ্জা নয় জানতে হবে, আমাদের দেশের প্রতিটি ছেলে মনে মনে চিন্তা করে এর মধ্যে এরা বেশি চিন্তত থাকে যে, Lingo ba gupon ongo lomba-Boro o mota karar Upay niye বা এরকম অনিয়ন্ত্রিত চিন্তা দারা তাদের মধ্যে লক্ষণীয়। এই বিষয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ মুসলিম, এবং সহজ সরল ও বোকা সভাবের! Manush er Lingo শুধুমাত্র পরিক্ষা হিসেবে রয়েছে! এর সঠিক ব্যাবহার সবার জানা উচিত। বিনোদন এর বর্তমান জগতে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পুরুষের লিঙ্গ লম্বা করার কার্যকরী অসুধ (Purush ba celeder lingo Lomba, Mota korar karzokori Osud) এর বিজ্ঞাপন! Lingo Boro O Mota Korar Opay | লিঙ্গ বড় ও মোটা করার উপায় | Bangla Tips আসলে এগুলো পরিক্ষিত যে, এগুলা বুয়া। প্রতারক চক্র! সবাই এদের থেকে বেচে থাকার চেষ্টা করুন। কারন, প্রাকৃতিক নিয়মেই (lingo Moto o Lomba hoy) লিঙ লম্বা ও মোটা হয়। Lingo Boro O Mota korar bangla Tips (Without Medicine) Porosh বা chele মানুষের বয়স যখন ২৫ হবে তখন তাদের গুপন অঙ্গ (Gupon Ongo) Lingo সঠিক আকার ধারন করে। তাই এর আগে এটি নিয়ে চিন্তা করা উচিত নয়। কারন এতে ক্ষতি গ্রস্থ হতে হয়। অবেগের বসে বা ধৈর্য হারিয়ে অনেক যুবক ছেলে লিঙ্গ হাত দিয়ে স্পর্শ করে (Lingo ba Sonay Hat Diye Sporso kore) ফলে তাদের কামনা ইচ্ছা জাগে। অত:পর তারা হস্থমৌথুন করে বসে! এবং এক সময় এটি অভ্যাসে পরিনত হয়। ফলে তাদের সাস্থ-মন দুটিই ক্ষতি গ্রস্থ হয়। অধিক সময় লিঙ্গ হাতা-হাতি ফলে এতে চির ধরে, হরমোন সরে যায়, এবং প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ার আগেই হরমোন কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ফলে লিঙ্গ চিকন ও দুর্বল থেকে যায় (Lingo Cikon, choto o durbol hoye pore) লিঙ্গের গুরা চিকন এবং আগা মোটা হয়ে যায়। (Lingo Er Gura chikon agaa mota hoye jay) তাই ২৫ বছর পুর্ন হয়ার আগে এটিতে স্পর্শ করা উচিত নয়। (Lingo Boro o Mota korar Working Tips ba opay in bangla language) (100% Working Tips) ১০০% গেরান্টি সহকারে বলা যায়! আপনার জিবনের ২৫টা বছর লিঙ্গ (Lingo) হস্তক্ষেপ না করে কাটিয়ে দিন। তাহলে আপনার উক্ত অঙে হরমোন ঠিক মতো অধিক সময় কাজ করবে! এবং আপনি পাবেন শক্তিশালী, মোটা ও লম্বা সোনা! ( Apni Paben Soktisali, Mota taja, O lomba boro ekta Sona ba Lingo) যা দিয়ে আপনার বিবাহিত জীবন সুখে কাটবে। কিভাবে থাকবো:- অবশ্যই এতো ধৈর্য বেশির ভাগ মানুশের নেই! তাই কিছু কার্যকরী Bangla Tips  দিচ্ছি। ♥ ৫ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করুন। এতে আপনার দিল ভালো থাকবে! এবং নিজেকে পবিত্র রাখতে পারবেন অধিক সময়। ♥ রাতে গুমাতে গেলে সাথে ভাই বা বন্ধু রাখতে পাড়েন।

 এতে আপনার মন খারাপ কিছু চিন্তা করবে না। ♥ বর্তমান সময়ে সব চেয়ে ভয়ানক একটি সমস্যা হলো পর্ন ভিডিও! এটি দেখলেই হস্তমৌথুন এর ইচ্ছা জাগবে, এবং এটি মারাত্মক গুনাহ! এগুলা দেখে জিবনে একটু সান্তি মিলবে না ভাই! এবং বিবাহিত জিবনে সুখি হয়া যাবে না এই পর্ন ভিডিও দেখার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলুন। ♥ Apnar Lingo Hatahati Korben Na (লিংঙ হাত দিয়ে বার বার উত্তেজিত করবেন না! ♥ ভালো বন্ধু -বান্ধব এর সাথে অধিক সময় থাকুন, ব্যাস্ত থাকুন ভালো কোন কাজ নিয়ে! খেলা-ধুলা করুন। বাড়িতে থাকলে একা মোবাইল দেখবেন না। কেউ যেন সাথে থাকে। ♥ প্রিয় জনের কথা মনে করুন। এতে আপনার রাগ কমে যাবে। বাবা, মায়ের খেয়াল রাখুন। খেদমত করুন। এতে আপনি ভালোবাসা পাবেন। চিন্তা কিসের ভাই? আপনি ও একদিন আল্লাহতালা এর ইশারায়! বিবাহ করবেন। তাতে অনেক সাওয়াব রয়েছে। রয়েছে অনেক সুখ আর ভালোবাসা। খারাপ ইঙিত কেনো করবো! আমাদের সবার বাবা, মা, বোন আছে! তারা আমাদের রক্তের প্রিয়জন। তাই আমরা প্রতিজ্ঞা করি যেনো, সঠিক নিয়মে সান্তির পথে জীবন টা পরিচালিত করতে পারি। আশা করি, সবাই ধারনা নিতে পেরেছি যে, কি ভাবে একটি নতুন জীবনে শক্তিময় লিঙ্গ ও ভালো থাকার পরিবেশ পেতে পারি। (Success That, Ki vabe ekti boro O mota, lomba lingo pete pari) কি খেলে পেনিস শক্ত হয় কি খেলে পুরুষাঙ্গ মোটা হয় কি খেলে লিঙ মোটা হয় কি খেলে পুরুষাঙ্গ মোটা ও লম্বা হবে কিভাবে পুরুষাঙ্গ শক্ত করা যায় পেনিস শক্ত করার উপায় পুরুষাঙ্গ বড় করার সহজ উপায় লিংগ মোটা করার প্রাকৃতিক উপায় আজ এই এপর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন! ভালো রাখার চেষ্টা করবেন অসহায় মানুষদের।

হাতের স্পর্শে সত্যিই কি স্তনের আকার বৃদ্ধি পায়? জেনে নিন সঠিক কারণ

 


হাতের স্পর্শে সত্যিই কি স্তনের আকার বৃদ্ধি পায়? জেনে নিন সঠিক কারণ 

শরীরের অনেক অঙ্গই বয়স বাড়ার সাথে বৃদ্ধি পেতে থাকে, কিন্তু যখনই মহিলাদের স্তনের ব্যাপারে আলোচনা করা হয় তখন সবার মুখ বন্ধ হয়ে যায়, কারণ এর সদুত্তর অনেকের কাছেই থাকে না। যুগ যুগ ধরে নারী শরীর নিয়ে ছেলেদের আগ্রহের কোনো শেষ নেই। 

অনেক ছেলের মনেই এই প্রশ্ন বিভিন্ন সময় এসে থাকে যে, হাত দিয়ে স্পর্শ করলে বা টিপলে মেয়েদের স্তন কি সত্যিই বৃদ্ধি পায়? আপনার মনেও যদি এরকম কোনো প্রশ্ন এসে থাকে তাহলে দেরি না করে নিচের নিবন্ধটি সবটা পড়ে ফেলুন। 

আমরা চেষ্টা করেছি সেই সমস্ত কারণগুলি খুঁজে বের করার, যে কারণগুলির জন্য মহিলাদের স্তন বৃদ্ধি পায়। আসুন দেখে নেওয়া যাক  – মেয়েদের শরীরের বিকাশ ছেলেদের তুলনায় দ্রুত হয় বেশিরভাগ মেয়ের ক্ষেত্রেই ৮ বছর বয়স থেকে শরীরে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ হওয়া শুরু হয় এবং স্তন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, কিন্তু এরপর আগামী ৫ বছর স্তনের আকৃতিতে বিশেষ কোনো পরিবর্তন দেখা যায় না। সেক্ষেত্রে ছেলেদের শরীরে পরিবর্তন অনেক পরে আসতে শুরু করে। 

বিয়ের পর স্তনের আকারে আসে পরিবর্তন বিয়ের সাথে স্তনের আকার বৃদ্ধি পাওয়া সরাসরিভাবে যুক্ত নয় কিন্তু বিয়ের পর দেখা যায় অধিকাংশ মহিলারই স্তনের আকার বৃদ্ধি পায়। বিয়ের পর একাধিক কারণে স্তন বৃদ্ধি পায়, সে ব্যাপারে নিচে আলোচনা করা হয়েছে। আপনাদের একটি বিশেষ ব্যাপার জানিয়ে রাখি যে, সুস্থ-স্বাভাবিক মহিলাদের ক্ষেত্রে স্তনের আকার ২১ বছর বয়স অবধিই বৃদ্ধি পায়। স্তন টিপলে কি কোনো প্রভাব পড়ে? কিছু মেয়েরা যখন একা থাকে তখন তাদের নজর নিজেদের বক্ষের উপর পরে এবং তারা সেটি টেপা শুরু করে যাতে সেটির আকার বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এটি একটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে কোনোক্ষেত্রেই এমনটা হয়নি যে, টেপার ফলে স্তনের আকার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে হ্যাঁ নিয়মিত নিয়ম মেনে ম্যাসাজ করলে স্তনের আকারে সামান্য পরিবর্তন আসে, যা বেশ সময়সাপেক্ষ। উত্তেজনায় বৃদ্ধি পায় স্তনের আকার বৈজ্ঞানিকদের গবেষণায় জানা গেছে যখন মহিলারা শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয় তখন তারা খুবই উত্তেজিত থাকে, এই উত্তেজনার কারণে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত সঞ্চালনের পরিমাণ বেড়ে যায় যার ফলে স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে মহিলাদের শরীরে যথেষ্ঠ উত্তেজনার প্রয়োজন। এই কারণেও বৃদ্ধি পায় স্তন কোনো মহিলা ভারী কোনো জিনিস নিয়মিত ওঠালে বা বিয়ের পর গর্ভবতী থাকাকালীন এবং সন্তানকে স্তনপান করানোর সময় এর আকার বৃদ্ধি পায়। 

যেসব মহিলারা নিয়মিত শারীরিক কসরত করেন তাদের স্তনের আকৃতি পালটে গিয়ে আরও আকর্ষক হয়ে যায় কিন্তু আকার একই থাকে। স্থূলতার কারণে বৃদ্ধি পায় স্তন কোনো মহিলার শরীরে যখন অতিরিক্ত মেদ জমতে শুরু করে তখন তার প্রভাব স্তনের আকারের পরেও। কারণ শরীরের অতিরিক্ত মেদ স্তনে জমতে শুরু করে। হরমোনঘটিত সমস্যা নারী শরীরের বিকাশের জন্য দায়ী প্রধান দুটি হরমোন হল, ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন। বিভিন্ন বয়সে এই দুই হরমোনের অনিয়মিত ক্ষরণের ফলে স্তনের আকারে পরিবর্তন আসে। এই পদ্ধতি হতে পারে ক্ষতিকারক কিছু মহিলা আছেন যারা স্তনের বৃদ্ধি ঘটানোর জন্য নানারকমের ওষুধ এবং ক্রিমের ব্যবহার করেন, কিন্তু সবশেষে ব্যর্থ হন। 

স্তনের আকার বৃদ্ধি রাতারাতি করতে হলে সেলিব্রিটি অভিনেত্রীদের মতো ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট করা ছাড়া কোনো উপায় নেই, তবে এই কাজ যথেষ্ঠ ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ এ থেকে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর অন্য পদ্ধতি হল সময়সাপেক্ষ, ডাক্তারের পরামর্শ মত ক্রিম বা তেল ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ম্যাসাজ করতে হবে। গার্লফ্রেন্ডের স্তন টিপলেও কি বৃদ্ধি পাবে? কিছু ছেলে মেয়ে প্রেমের সম্পর্কে আসার পর শারীরিক সম্বন্ধ তৈরি করে এবং গার্লফ্রেন্ড ও বয়ফ্রেন্ড দুজনেই ভাবে যে, স্তন টিপলে তার আকার বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু সকলেই এই মিথ্যে ধারণা মনের মধ্যে পুষে রেখেছে। 

স্তন টিপলে কোনোভাবেই তা বৃদ্ধি পায় না, তবে দীর্ঘকাল যাবৎ শারীরিক সম্পর্ক করলে স্তনের আকারে সামান্য পরিবর্তন আসতেই পারে। এই ব্যাপারটিতে অবশ্যই গুরুত্ব দেবেন ফিজিক্যাল হওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যে গার্লফ্রেন্ড যদি স্তন প্রেস করতে বাধা দেয় তাহলে তাকে বাধ্য করবেন না এটি করতে দেওয়ার জন্য, কারণ মহিলাদের শরীরে আরও অন্যান্য অঙ্গ থাকে যেগুলি ছুঁলেও সে উত্তেজিত হয়। এই কারণেই রিলেশনে থাকার সময় এইসব ছোটো ব্যাপারে গুরুত্ব দেবেন।

দুধ ছোট করার উপায় ,দুধ বড় ঔষধ, নিপল বড় করার উপায়, নরম দুধ শক্ত করার উপায় কি ,মাখলে দুধ বড় হয়, বেস্ট শক্ত করার উপায়, ব্রেস্ট টাইট করার প্রাকৃতিক উপায়, ব্রেস্ট বড় করুন ঘরে বসে দুধ বড় করার ঘরোয়া পদ্ধতি, দুধ বড় করার সহজ পদ্ধতি,দুধ বড় করার উপায় কি, মেয়েদের দুধ বড় করার উপায় কি, মেয়েদের দুধ বড় করার ঘরোয়া পদ্ধতি মেয়েদের দুধ বড় করার সহজ পদ্ধতি, Meyeder dod boro korar upay 2020, Dodh boro korar tips 2020, Big dudh korar tips in bangla Boro dud korar, opay in Bengali Ston ba dudh boro korar poddoti 2020.


মেয়েদের স্তন বড় করার কিছু উপায় জেনে ,মেয়েদের দুধ বড় করার ঘরোয়া সহজ পদ্ধতি

 

মেয়েদের স্তন বড় করার কিছু উপায় জেনে ,মেয়েদের দুধ বড় করার ঘরোয়া  সহজ পদ্ধতি


এখন প্রাকৃতিকভাবেই ব্রেস্ট বড় করা যায়, সার্জারীর প্রয়োজন তেমন হয় না। সাধারণত ৩৪-৩৬ মেয়েদের স্ট্যান্ডার্ড ব্রেস্ট সাইজ। তবে অনেকের ব্রেস্ট আকারে ছোট হয়। অথচ প্রকৃত সৌন্দর্য ফোটাতে সঠিক মাপের সুডৌল স্তনের জুড়ি নেই। বড় ব্রেস্ট মেয়েদের আকর্ষনীয় করে তোলে। আজকাল বেশিরভাগ নারী স্তনের গুরুত্ব বোঝেন। অনেকেই স্তন বড় ও সুন্দর করার নিয়ম খুঁজছেন বা অনেক পন্থা ইতিমধ্যেই অবলম্বন । এ লেখাটি তাদের জন্য যাদের ব্রেস্টের মাপ ৩৪-৩৬ এর নিচে। 

কোনো মেয়ে অন্য কারো সাথে শা’রী’রিক সম্পর্ক করে কিনা বোঝার উপায়

 

কোনো মেয়ে অন্য কারো সাথে শা’রী’রিক সম্পর্ক করে কিনা বোঝার উপায়

অনেক সময়েই দেখা যায়, কোনো মেয়ে এক পু’রুষের স’ঙ্গে স’ম্পর্কে থাকা স’ত্ত্বেও জড়িয়ে পড়েন অন্য পু’রুষের সঙ্গে।

 বিষয়টি তিনি গো’পন রাখেন তার প্রথম প্রে’মিকের কাছে। সেক্ষেত্রে আপনার প্রে’মিকা বা স্ত্রী কিংবা স’ঙ্গি’নী ভালবাসায় আপনাকে ঠ’কাচ্ছেন কিনা,

তা কি বোঝার কোনো উপায় রয়েছে কী?রি’লেশ’নশিপ ম্যা’নেজ’মেন্ট গ্রুপ ওয়া’র্ল্ড অফ অ্যা’মোর জানাচ্ছে, একটি মেয়ে ভালবাসায় প্র;তা’রণা করছে কিনা তা ৬টি লক্ষণ দেখে বোঝা সম্ভব।

কী রকম? আসুন, 

জেনে নেওয়া যাক-

Friday, May 21, 2021

স’হবাসের আগে মাত্র ২ টু’করা সে’বন করুন, চ’লবে টা’না ৬ ঘন্টা

স’হবাসের আগে মাত্র ২ টু’করা সে’বন করুন, চ’লবে টা’না ৬ ঘন্টা

 আম’রা কত কিছুই না চেস্টা করিন।কিন্তু আমা’রা মি’লনের আগে কিছু করার চেস্টা করিনা। এজন্নই আমা’দের এত দু’র্ভো’গ। আজীবন তারুণ্য ধ’রেরাখতে এবং যৌ’’বনের রঙিন দিন অ’তি’বাহিত ক’রতে কার না ইচ্ছে করে।
আর সেই ইচ্ছে পূরণের জন্য নিয়মিত পুষ্টিকর ও সেই স’’ঙ্গে ভে’জালমু’ক্ত খাবার খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই।বর্তমান জী’বনযাপন ও খা’দ্যাভ্যাসের কারণে আমা’দের যৌ’’নজীবনে শি’থিলতা আ’সছে
আপনার জীবনে ফি’রে আসতে পারে যৌ’’বন। জে’নে নিন, এ জাতীয় ৫টি ভেষজ খা’বারের নাম, যা ভায়াগ্রার চাইতে বেশি উ’ত্তে’জক-

#ফরমুলাঃ- সু’স্থ যৌ’’নজীবন বজায় রাখতেও অ’প’রিহার্য্য ‘হতে পারে আ’দা। আ’দার মধ্যে থাকা ভো’লাটাইল অ’য়েল স্না’য়ুর উ’ত্তে’জনা বাড়ায় ও র’ক্ত সঞ্চালনের মাত্রা ঠিক রাখে।#ফরমুলাঃ- সজনে ডাটাঃ এক গ্লাস দু’ধে সজনে ফুল, লবন ও গোলমর’িচ মিশিয়ে প্রতিদিন খেলেও আপনার যৌ’’ন ক্ষ’’মতা বাড়বে।

#ফরমুলাঃ- রসুনঃ র’’ক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নি’য়ন্ত্রণ করে রসুন। ফলে প্রতিদিনের ডা’য়েটে যদি রসুন থাকে তবে যৌ’’ন উ’’ত্তে’জনা বাড়বে। আফ্রিকান হেলথ সায়েন্সসও এটা প্রামাণ করেছে, আ’দার মতোই উপকারী রসুন।

  • #ফরমুলাঃ- রান্নায় আমর’া হিং মেশাই। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস জলে এক চিমটি হিং ফে’লে খেলে আপনার কা’ম’না বাড়বে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি টানা ৪০ দিন ধ’রে রোজ ০.০৬ গ্রাম হিং খাওয়া যায় তাহলে পেতে পারেন সু’’স্থ যৌ’’’নজীবন।
  • #ফরমুলাঃ- জিরার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম ও জি’ঙ্ক যৌ’’’না’’ঙ্গে র’’ক্ত সঞ্চালন বা’ড়ায়। ফলে বাড়ে যৌ’’’ন উদ্দীপনা। প্রতিদিন এক কাপ গরম চায়ে জিরা ফে’লে খেতে পারেন উপকার পাবেন।
  • Read More: ফিট থাকতে ১১ অভ্যাস 11 habits to stay fit 

Wednesday, May 19, 2021

ক্রিস্টোফার কলম্বাস: জীবনী, সৃজনশীলতা, কেরিয়ার, ব্যক্তিগত জীবন



ক্রিস্টোফার কলম্বাস তিনি ছিল

ক্রিস্টোফার কলম্বাস, যাকে আমেরিকা মহাদেশের আবিষ্কারক নামে সবাই জানেন। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ভুলবশত আমেরিকার ভূখন্ড আবিষ্কার করে ফেলেন। আমেরিকায় ইউরোপিয়দের শাসন প্রতিষ্ঠায় ও আধুনিক সভ্যতার সূচনায় যার ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ছিলেন সৃষ্টিকর্তার উপর আস্থাবান, একজন ঈশ্বর পূজারী। ভাগ্যচক্রে সামান্য একজন তাঁতী থেকে ‘সাগর-মহাসাগরের নৌ সেনাপতি’ (Admiral of the Ocean Sea) রূপে আবির্ভাব ঘটে তার। 
ক্রিস্টোফার কলম্বাস তিনি ছিল

আমেরিকার ভূখণ্ডের আবিষ্কারক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় একটি বড় অংশ দখল করে সারা দুনিয়া জুড়ে অনেক সম্মান কামিয়েছেন কলম্বাস। ক্রিস্টোফার কলম্বাস; কিন্তু এটিই কি সম্পূর্ণ ইতিহাস? তার এই অর্জনের পেছনে চাপা পড়ে গেছে অসংখ্য নিরপরাধ নারী, শিশু, পুরুষ ও বৃদ্ধের মৃত লাশের আর্তনাদ। চাপা পড়ে গেছে দাসে পরিণত হওয়া অসহায় মানুষগুলোর যন্ত্রণা। চাপা পড়ে গেছে সাজানো গোছানো সংসার আর স্বাভাবিক জীবনযাপন হারানোর বেদনা। 

ক্রিস্টোফার কলম্বাস যে দুটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাথে জড়িয়ে আছেন সেগুলো হচ্ছে আটলান্টিক দাস বাণিজ্য ও আমেরিকায় আদিবাসী ইন্ডিয়ানদের উপর সংঘটিত গণহত্যা। একজন খুনী ও অত্যাচারী শাসক হিসেবেও তার পরিচয় আছে। আমেরিকার আদিবাসী ইন্ডিয়ানদের জীবনে এটি ছিল সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য যে, কলম্বাস ভারতে না পৌঁছে আমেরিকায় পদার্পণ করেন। কী ঘটেছিল তখন? প্রথমেই বলে রাখা ভালো, কলম্বাস আমেরিকা মহাদেশে আসা প্রথম ইউরোপিয়ান নন। বেশ কিছু তথ্যমতে, তারও ৫০০ বছর আগে লেইফ এরিকসন নামের আইসল্যান্ডের একজন পরিব্রাজক উত্তর আমেরিকায় পা রাখেন। ১৫ শতকের দিকে স্পেনের আর্থিক অবস্থা অন্যান্য ইউরোপীয় রাষ্ট্রের মতো তেমন উন্নত ছিল না। তাই তারা ভাবলেন, যদি তারা তাদের স্বর্ণের পরিমাণ বাড়াতে পারেন তাহলে হয়তো তাদের অনেক লাভ হবে।

Read More : নরমাল ডেলিভারি চান? তাহলে জেনে নিন গর্ভাবস্থায় আপনাকে কি করতে হবে

 

ক্রিস্টোফার কলম্বাস তিনি ছিল

অন্যদিকে কলম্বাসও অজানা ভূখণ্ডের সন্ধানে গিয়ে অনেক টাকা ও সুনাম কামানোর জন্য অনেক উদগ্রীব ছিলেন। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে তখনকার স্পেনের রাজা- রানীকে ভারতীয় উপমহাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রার জন্য সাহায্য আবেদন করলেন এবং অনেক স্বর্ণ ও মূল্যবান মসলা সামগ্রী এনে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন। প্রতিদানে স্পেনের শাসক কলম্বাসকে লাভের ১০ শতাংশ ও নতুন আবিষ্কৃত ভূমির গভর্নর পদ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন। কলম্বাস তিনটি জাহাজ নিয়ে রওনা দিলেন এবং ভুলবশত আমেরিকার বাহামাস দ্বীপে পৌঁছালেন। দিনটি ১৪৯২ সালের ১২ অক্টোবর, যা কলম্বাস দিবস হিসেবে পালিত হয়। কলম্বাসকে স্বাগত জানাচ্ছে আরাওয়াকদের দল; Image Source: telegraph.co.uk সেখানকার আরাওয়াক গোষ্ঠী তাদেরকে সাদরে আমন্ত্রণ জানালো। নানা রকম আপ্যায়ণ করলো এবং কোনো কিছুর কমতি রাখলো না। এমনকি কলম্বাসের সবচেয়ে বড় জাহাজ ‘সান্তা মারিয়া’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলে সেটি মেরামতের কাজেও আরাওয়াকরা সাহায্য করে। স্থানীয় ইন্ডিয়ানদের এমন অমায়িক, কোমল ও অতিথিপরায়ণ আচরণ দেখে কলম্বাস ভাবলেন, মাত্র ৫০ জন লোক দিয়েই এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। আদিবাসীরা তখন অলংকার পরতেন।

এটি কলম্বাস লক্ষ্য করেন। মনে মনে ভাবলেন, এখানে নিশ্চয়ই অনেক স্বর্ণ পাওয়া যাবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কোথায় সেই স্বর্ণ? সেটি খুঁজতে তিনি কয়েকজন ইন্ডিয়ানকে বন্দী বানিয়ে জাহাজ নিয়ে গেলেন। প্রথমে কিউবায়, তারপর হিস্পানিওলাতে (বর্তমান হাইতি ও ডমিনিকান ডিপাবলিক )। কলম্বাস আমেরিকার প্রথম ঘাঁটি বানান হিস্পানিওলাকে। সেখানে দলের ৩৯ জনকে রেখে স্পেনের উদ্দেশ্যে বাকি দুটি জাহাজ নিয়ে রওনা দেন তিনি। যেকোনো মূল্যে স্বর্ণের খোঁজ করতে নির্দেশ দেয়া হয়। কলম্বাস তার জাহাজে আরো কয়েকজন ইন্ডিয়ানকে বন্দী করে স্পেনে নিয়ে যান। একটি ঘটনা না বললেই নয় যে, ফেরত আসার পূর্বে স্থানীয় কিছু তাইনোদের সাথে তীর-ধনুক নেয়া নিয়ে কলম্বাসের কথা কাটাকাটি হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে তার নির্দেশে দুজন আদিবাসীকে তলোয়ারের আঘাতে মেরে ফেলা হয়। এদিকে স্পেনে ফিরে এসে কলম্বাস অনেক মনোমুগ্ধকর তথ্য দেন রাজা-রানীকে। যার বেশির ভাগই ছিল মিথ্যা। তিনি তাদের জানান, তিনি এশিয়া পৌঁছেছেন ও চীনের একটি দ্বীপে তিনি ঘাঁটি বানিয়েছেন এবং সেখানে অনেক স্বর্ণ ও মসলা সামগ্রী রয়েছে, যার জন্য তার আরো বড় দল প্রয়োজন। এজন্য তিনি ১৭টি জাহাজ ও প্রায় ১,২০০ লোক নিয়ে আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর থেকে শুরু হলো আরাওয়াকদের (যারা তাইনো নামেও পরিচিত) উপর আসল নির্মমতা। আরাওয়াকদের উপর হওয়া নির্মম অত্যাচার;  তিনি ফিরে এসে দেখলেন, তার রেখে যাওয়া লোকেরা সবাই স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। কারণ, তারা স্বর্ণ খুঁজতে গিয়ে নারী ও শিশুদের জোর করে ধরে নিয়ে এসে যৌন নির্যাতন করার চেষ্টা করেছিল। এই যাত্রায় কলম্বাস স্বর্ণের সন্ধান না পেলেও আদিবাসীদের ক্রীতদাস হিসেবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। কয়েকজন স্প্যানিশ ও পোষা হিংস্র কুকুর মিলে প্রায় ১,৫০০ আরাওয়াক নারী, পুরুষ ও শিশুকে ধরে নিয়ে এসে একসাথে জড়ো করা হয়। সময়টা তখন ১৪৯৫ সাল। সেখান থেকে ৫০০ জনকে বাছাই করে জাহাজে করে দাস হিসেবে কলম্বাস স্পেনে পাঠান, যার মধ্যে পথেই মারা যায় প্রায় ২০০ জন। হিস্পানিওলার একটি প্রদেশে ১৪ বছরের উপরের সব স্থানীয় ইন্ডিয়ানকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সোনা তিন মাস পরপর জমা দেওয়ার আদেশ করেন কলম্বাস। যারা এতে ব্যর্থ হয় তাদের দুই হাত কেটে ফেলা হতো এবং ফলশ্রুতিতে রক্তপাতে তারা মারা যেত। অনেকে সহ্য করতে না পেরে পালানোরও চেষ্টা করতো।

 তাদেরকে হিংস্র কুকুর দিয়ে খুঁজে বের করে মেরে ফেলা হতো। যাদেরকে বন্দী করা হতো তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা আগুনে পুড়িয়ে মারা হতো। এত নির্মমতা সইতে না পেরে আরাওয়াক গোষ্ঠীর লোকরা বিষ পানে গণ-আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। মায়েরা তাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের বিষ খাইয়ে মেরে ফেলে, যাতে স্প্যানিশরা সেসব বাচ্চাদেরকে কুকুরের খাবারে পরিণত করতে না পারে। এভাবে নানা উপায়ে প্রায় ৫০ হাজার আদিবাসী আত্মহত্যা করে। খুন, অঙ্গহানী ও আত্মহত্যার  কারণে মাত্র দুই বছরে হাইতির ২ লক্ষ ৫০ হাজারের অর্ধেক জনসংখ্যা লাশে পরিণত হয়, যার সবকিছুই ঘটে শুধুমাত্র স্বর্ণ উত্তোলনেকে কেন্দ্র করে। আদিবাসী শিশুদের হত্যা; Image Source: watchingthewheelsdad.net যখন কলম্বাস দেখলেন, এখানে আসলে কোনো স্বর্ণ নেই তখন তিনি আরাওয়াকদের বিভিন্ন জমি দখল করে তাদের দাসে পরিণত করলেন এবং হাজার হাজার ইন্ডিয়ানকে নিষ্ঠুর পরিশ্রম করতে বাধ্য করলেন। যার ফলে হাজার হাজার মানুষ মারা গেলো। যুদ্ধ, অত্যাচার, রাহাজানিতে ছেয়ে গিয়েছিল আদিবাসীদের জীবন। ১৫১৫ সাল নাগাদ ৫০ হাজার ইন্ডিয়ান প্রাণে বেঁচে ছিল।

 ১৫৫০ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়ালো মাত্র ৫০০ জনে এবং ১৬৫০ সালের হিসাব অনুসারে, দ্বীপটিতে আদি আরাওয়াক গোষ্ঠীর কেউ বেঁচে রইলো না। কলম্বাসের আবির্ভাবের পর ইন্ডিয়ান আদিবাসীদের সাথে যে অত্যাচার সংঘটিত হয়েছে তার অনেক তথ্য উঠে এসেছে কলম্বাসের নিজস্ব জার্নাল ও বিভিন্ন চিঠির মাধ্যমে। আরো বিশদ ইতিহাস জানা যায় ফাদার বার্তোলমে দে লাস কাসাস নামক একজন স্প্যানিশ ঐতিহাসিকের লেখা ‘হিস্টোরি অব দ্য ইন্ডিস’ এ। তিনি বেশ কয়েক বছর কলম্বাসের সাথে কাজ করেছিলেন। এমনকি কলম্বাসের ব্যক্তিগত যে জার্নাল ছিল, যেখানে কলম্বাস নিজের হাতে সব ঘটনার বর্ণনা লিখেছেন, সেই জার্নালটিও লাস কাসাসের কাছে পরবর্তীতে প্রদান করা হয়। ফাদার বার্তোলমে একসময় কলম্বাসকে নিজের আদর্শ ভাবতেন। কিন্তু যখন তিনি আস্তে আস্তে দেখলেন, কলম্বাস একটির পর একটি অপরাধ করেই যাচ্ছেন, তখন তিনি কলম্বাসের সঙ্গ ছেড়ে আদিবাসীদের আসল তথ্য তুলে ধরার কাজ শুরু করলেন। তাদের উপর হওয়া নির্মমতার চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করলেন। সেজন্য তাকে 'ইন্ডিয়ানদের রক্ষাকারী' বলে অভিহিত করা হয়। তার ভাষ্যমতে, স্প্যানিশরা তাদের ছুরি কিংবা তলোয়ারের ধার পরীক্ষা করার জন্য ইন্ডিয়ানদেরকে টুকরো টুকরো করে কাটতো। এমনকি একদিন দুটি ছোট্ট আদিবাসী শিশুর হাত থেকে পাখি ছিনিয়ে নিয়ে কোনো কারণ ছাড়াই সেই শিশু দুটির শিরচ্ছেদ করে তারা। বার্তোলমে দে লাস কাসাস;  একজন স্প্যানিশ ইতিহাসবিদের মতে, ১৫১৬ সালে যেকেউ জাহাজ নিয়ে কোনো রকম মানচিত্র অথবা কম্পাস ছাড়াই বাহামাস থেকে হিস্পানিওলা যাওয়া যেত, কারণ পানিতে মৃত আদিবাসীদের লাশই দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করতো। বিভিন্ন সময়ে আদিবাসীরা বাধা দেয়ার চেষ্টা করে, দখলদারদের উপর আক্রমণ চালায় এবং অত্যাচারীদের সাথে সংঘর্ষে যায়।

  •  কিন্তু কখনোই তারা সফল হতে পারেনি। কারণ আদিবাসী ও স্প্যানিশদের মধ্যে অস্ত্রের একটি বিশাল পার্থক্য বিরাজমান ছিল। একপক্ষের কাছে ছিল আধুনিক, অত্যন্ত ফলপ্রসূ হাতিয়ার এবং অন্য পক্ষের কাছে ছিল হাতে বানানো, সামান্য অলাভজনক হাতিয়ার। এতে আমেরিকার আদিবাসী ইন্ডিয়ানরা স্প্যানিশদের সাথে পেরে উঠতে পারেনি। তাদেরকে কেউ সাহায্য করতে এগিয়েও আসেনি। এদিকে কলম্বাসের কর্মকান্ডের জন্য তাকে ও তার ভাইদেরকে যখন গ্রেফতার করে শাস্তির জন্য স্পেনের রাজা-রানীর সামনে হাজির করা হলো, তখন স্বর্ণ ও ক্রীতদাস লাভের অজুহাত দেখিয়ে কলম্বাস ও তার ভাইদেরকে ক্ষমা করে ছেড়ে দেয়া হয়। ক্রিস্টোফার কলম্বাস তার অপরাধের জন্য কখনো শাস্তিভোগ করেননি। হয়তো সেজন্যই ইতিহাসের পাতায় যুগান্তকারী নায়ক হিসেবে তার পরিচয়। বাহামাস, হিস্পানিওলা ও কিউবার লাখ লাখ আদিবাসী ইন্ডিয়ানদের উপর করা অত্যাচারের কোনো বিচার হয়নি। উল্টো স্কুলের ইতিহাসের বইগুলোতে তাকে একজন মহান ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। জাঁকজমক করে কলম্বাস দিবস পালন করা হয়। নতুন প্রজন্মের কাছে অজানা থেকে গেছে তার কালো অধ্যায়।

ক্রিস্টোফার কলম্বাস জীবনী
(আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ১৪৫১-১৫০৬)

ইতালির জেনোয়া শহরে কলম্বাসের জন্ম। সঠিক দিনটি জানা যায় না। তবে অনুমান ১৪৫১ সালের আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে কোনো এক দিনে জন্ম হয়েছিল কলম্বাসের। বাবা ছিলেন তন্তুবায়। কাপড়ের ব্যবসা ছিল তার। সেই সূত্রেই কলম্বাস জানতে পেরেছিলেন প্রাচ্য দেশের উৎকৃষ্ট পোশাক, নানা মসলা, অফুরন্ত ধনসম্পদের কথা।
সেই ছেলেবেলা থেকেই মনে মনে স্বপ্ন দেখতেন বড় হয়ে জাহাজ নিয়ে পাড়ি দেবেন ভারতবর্ষে। জাহাজ বোঝাই করে বয়ে নিয়ে আসবেন হীরা, মণি, মুক্তা-মাণিক্য।
কলম্বাস ছিলেন কঠোর পরিশ্রমী, অধ্যবসায়ী। কিন্তু অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে ভাগ্য ছিল নিতান্তই প্রতিকূল। তাই অতিকষ্টে জীবন ধারণ করতেন কলম্বাস। কলম্বাসের ভাই তখন লিসবন শহরে বাস করত। ভাইয়ের কাছ থেকে ডাক পেয়ে কলম্বাস লিসবন শহরে গিয়ে বাসা বাঁধলেন। কলম্বাসের বয়স তখন ২৮ বছর।
অল্পদিনের মধ্যেই ছোটখাটো একটা কাজও জুটে গেল। কাজের অবসরে মাঝে মাঝে গির্জায় যেতেন। একদিন সেখানে পরিচয় হলো ফেলিপা মোয়িস দ্য পেরেস্ত্রল্লো নামে এক তরুণীর সাথে। ফেলিপার বাবা বার্তলোমিউ ছিলেন সম্রাট হেনরির নৌবাহিনীর এক উচ্চপদস্থ অফিসার।
কলম্বাসের জীবনে এই পরিচয় এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। পরিচয় পর্ব অল্পদিনের অনুরাগে পরিণত হলো। তারপর বিবাহ। বিবাহের পর কলম্বাস শ্বশুরের গৃহেই থাকতেন। শ্বশুরের কাছে শুনতেন তার প্রথম যৌবনের সমুদ্র অভিযানের সব রোমাঞ্চকর কাহিনী। অন্য সময় লাইব্রেরি ঘরে বসে পড়তেন দেশ-বিদেশের নানা ভ্রমণ কাহিনী। এই সময়ে একদিন তার হাতে এলো মার্কো পোলোর চীন ভ্রমণের ইতিবৃত্ত। পড়তে পড়তে মনের মধ্যে প্রাচ্য দেশে যাওয়ার স্বপ্ন নতুন করে জেগে উঠল।
এর পেছনে কাজ করেছিল দুটি শক্তি। রোমাঞ্চকর অভিযানের দুরন্ত আকাঙক্ষা, দ্বিতীয় স্বর্ণতৃষ্ণা। তখন মানুষের ধারণা ছিল প্রাচ্য দেশের পথে ঘটে ছড়িয়ে আছে সোনা-রূপা। সে দেশের মানুষের কাছে তার কোনো মূল্যই নেই। ইচ্ছা করলেই তা জাহাজ বোঝাই করে আনা যায়।
কলম্বাস চিঠি লিখলেন সে যুগের বিখ্যাত ভূগোলবিদ Pagolo Toscanelli কে। Pagolo কলম্বাসের চিঠির জনাবে লিখলেন, তোমার মনের ইচ্ছার কথা জেনে আনন্দিত হলাম। আমার তৈরি সমুদ্রপথের একটা নকশা পাঠালাম। যদিও এই নকশা নির্ভুল নয়, তবুও এই নকশার সাহায্যে প্রাচ্যের পথে পৌঁছতে পারবে। যেখানে ছড়িয়ে আছে অফুরন্ত হীরা, জহরত, সোনা-রূপা, মণি-মুক্তা, মাণিক্য।
এই চিঠি পেয়ে কলম্বাসের মন থেকে সব সংশয় সন্দেহ দূর হয়ে গেল। শুরু হয়ে গেল তার যাত্রার প্রস্তুতি।
কলম্বাসের ইচ্ছার কথা শুনে সকলে অবাস্তব অসম্ভব বলে উড়িয়ে দিল। অনেকে তাকে উপহাস করল। কেউ কেউ তাকে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করতেও ছাড়ল না। একটি মানুষও এগিয়ে এলো না তার সমর্থনে বা সাহায্যে।
কলম্বাসের অনুরোধে স্পেনের রানি ইসাবেলা সহৃদয় বিবেচনার আশ্বাস দিলেও সম্রাট ফার্দিনান্দ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করলেন। ইতিমধ্যে কলম্বাসের স্ত্রী ফেলিপা অসুস্থ হয়ে পড়লেন। সমস্ত চিকিৎসা সত্ত্বেও অসুখ ক্রমশই গুরুতর হয়ে উঠল। দূরপ্রাচ্য অভিযানের পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে হলো। কিছুদিন পর মারা গেলেন ফেলিপা।
কলম্বাসের জীবনের সমস্ত বন্ধন ছিন্ন হয়ে গেল। এবার নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়লেন তার অভিযানে। দেশের প্রায় প্রতিটি ধনী সম্ভ্রান্ত মানুষের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়ান। জাহাজ চাই, নাবিক চাই, অর্থ চাই।
কলম্বাসের দাবি ছিল যে দেশ আবিষ্কার হবে তাকে সেই দেশের ভাইসরয় করতে হবে আর রাজস্বের একটা অংশ দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে দু-একজন সম্মতি দিলেও কলম্বাসের দাবির কথা শুনে সকলেই তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল।
কলম্বাসের সাথে এই সময় একদিন পরিচয় হলো ফাদার পিরেজের। ফাদার পিরেজ ছিলেন রাজপরিবারের অন্তরঙ্গ বন্ধু এবং রানি ইসাবেলা তাকে অত্যন্ত সম্মান করতেন। কলম্বাসের ইচ্ছার কথা ফাদার নিজেই রানি ইসাবেলাকে বললেন। অনুরোধ করলেন যদি তাকে কোনোভাবে সাহায্য করা যায়। ফাদারের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারলেন না রানি। নতুন দেশ আবিষ্কারের সাথে সাথে বহু মানুষকে খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত করার পুণ্য অর্জন করা যাবে।
ফাদার পিরেজ ছাড়াও আরো কয়েকজন সহৃদয় ব্যক্তি কলম্বাসের সমর্থনে এগিয়ে এলেন। কলম্বাসের সব অনুরোধ স্বীকার করে নিলেন সম্রাট। ১৭ এপ্রিল, ১৪৯২ তাদের মধ্য চুক্তি হলো। কলম্বাসকে নতুন দেশের শাসনভার দেয়া হবে আর অর্জিত সম্পদের এক-দশমাংশ অর্থ দেয়া হবে।
সম্রাটের কাছ থেকে অর্থ পেয়ে তিনখানা জাহাজ নির্মাণ করলেন কলম্বাস। সবচেয়ে বড় ১০০ টনের সান্তামারিয়া, পিন্টা ৫০ টন, নিনা ৪০ টন। জাহাজ তৈরির সময় কোনো বিঘ্ন দেখা গেল না। সমস্যা সৃষ্টি হলো নাবিক সংগ্রহের সময়। কলম্বাসের সাহায্যে এগিয়ে এলো পিনজন ভাইরা। তাদের সাথে আরো কিছু বিশিষ্ট লোকের চেষ্টায় সর্বমোট ৮৭ জন নাবিক পাওয়া গেল।
অবশেষে ৩ আগস্ট, ১৪৯২ কলম্বাস তার তিনটি জাহাজ নিয়ে পাড়ি দিলেন অজানা সমুদ্রে। সেদিন বন্দরে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের অধিকাংশই ভেবেছিলেন কেউই আর সেই অজানা দেশ থেকে ফিরে আসবে না।
ভেসে চললেন কলম্বাস। চারদিকে শুধু পানি আর পানি। দিনের পর দিন অতিক্রান্ত হয়। কোথাও স্থলের দেখা নেই, অধৈর্য হয়ে ওঠে নাবিকরা। সকলকে সান্ত্বনা দেন, উৎসাহ দেন কলম্বাস কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ধৈর্য রাখতে পারে না নাবিকরা। সকলে একসাথে বিদ্রোহ করে, জাহাজ ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
কলম্বাসের চোখে পড়ে ভাঙা গাছের ডাল। সবুজ পাতা। অনুমান করতে অসুবিধা হয় না তারা স্থলের কাছাকাছি এসে পৌঁছেছেন। নাবিকদের কাছে শুধু একটি দিনের প্রার্থনা করেন। দিনটি ছিল ১২ অক্টোবর। একজন নাবিক, নাম রোডারিপো প্রথম দেখলেন স্থলের চিহ্ন। আনন্দে উল্লাসে মেতে উঠলেন সকলে।


পরদিন কলম্বাস নামলেন বাহমা দ্বীপপুঞ্জের এক অজানা দ্বীপে। পরবর্তীকালে তিনি সেই দ্বীপের নাম রাখেন সান সালভাদর। (বর্তমান নাম ওয়েস্টলিং আইল্যান্ড)। এই দিনটি আজও উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় কলম্বাস দিবস হিসেবে উদযাপন হয়।
কলম্বাস ভেবেছিলেন সমুদ্রপথে তিনি এশিয়ায় এসে পৌঁছেছেন। যেখানে অফুরন্ত সোনাদানা ছড়ানো আছে। কিন্তু কোথায় আছে সেই সম্পদ…? দিনের পর দিন চারদিক তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পাওয়া গেল না ধনসম্পদের কোনো চিহ্ন। কলম্বাস গেলেন কিউবা এবং হিস্পানিওয়ালা দ্বীপে। স্থির করলেন এখানে সাময়িক আস্তানা স্থাপন করে ফিরে যাবেন স্পেনে। এরপর আরো বিরাট সংখ্যক লোক এনে অনুসন্ধান করবেন ধনরত্বের। হিস্পানিওয়ালাতে সাময়িক আস্তানা গড়ে তুললেন। সেখানে ৪২ জন নাবিকের থাকার ব্যবস্থা করে রওনা হলেন স্বদেশভূমির পথে। নতুন দ্বীপে পৌঁছবার প্রমাণস্বরূপ কিছু স্থানীয় আদিবাসীকে সঙ্গে নিয়ে গেলেন।
শূন্য হাতে ফিরে এলেও দেশে অভূতপূর্ব সম্মান পেলেন কলম্বাস। তার সম্মানে রাজা-রানি বিরাট ভোজের আয়োজন করলেন। স্বয়ং পোপ কলম্বাসকে আশীর্বাদ জানিয়ে ঘোষণা করলেন, নতুন আবিষকৃত সমস্ত দেশ স্পেনের অন্তর্ভুক্ত হবে।
সম্রাট ফার্দিনান্দ নতুন অভিযানের আয়োজন করলেন। বিরাট নৌবহর, অসংখ্য লোকজন নিয়ে ১৪৯৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর কলম্বাস আটলান্টিক পার হয়ে দ্বিতীয় সমুদ্র অভিযানে যাত্রা করলেন।
দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রার পর কলম্বাস গিয়ে পৌঁছলেন হিস্পানিওয়ালাতে। সেখানে গিয়ে দেখলেন তার সঙ্গী-সাথীদের একজনও আর জীবিত নেই। কিছু মানুষ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য মারা গেছে। অবশিষ্ট সকলে স্থানীয় আদিবাসীদের হাতে মারা পড়েছে।
এই দ্বিতীয় অভিযানের সময় কলম্বাস চারদিকে ব্যাপক অনুসন্ধান করেও কোনো ধনসম্পদের সামান্য মাত্র চিহ্ন খুঁজে পেলেন না। শুধুমাত্র নতুন কিছু দ্বীপ আবিষ্কার করলেন। কোনো অর্থ সম্পদ না পেয়ে জাহাজ ভর্তি করে স্থানীয় আদিবাসীদের দাস হিসেবে বন্দি করে স্পেনে পাঠালেন। তখনো ইউরোপের বুকে দাস ব্যবসায়ের ব্যাপক প্রচলন ঘটেনি। কলম্বাসের এই কাজকে অনেকে আন্তরিকভাবে সমর্থন করতে পারল না। তাছাড়া আদিবাসীদের বিরাট অংশই নতুন পরিবেশে গিয়ে অল্পদিনের মধ্যে মারা পড়ল। ইসাবেলা কলম্বাসের এই আচরণকে অন্তর থেকে সমর্থন করতে পারলেন না।
এই সংবাদ কলম্বাসের কাছে পৌঁছতে বিলম্ব হলো না। তিনি আর মুহূর্ত মাত্র বিলম্ব করলেন না। আড়াই বছর পর ১৪৯৬ সালের ১১ জুন ফিরে এলেন স্পেনে। কিন্তু প্রথমবারের মতো এবারে কোনো সংবর্ধনা পেলেন না। কিন্তু অজেয় মনোবল কলম্বাসের। নতুন অভিযানের জন্য আবেদন জানালেন কলম্বাস। প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত থাকলেও শেষ পর্যন্ত সম্মতি দিলেন সম্রাট।
১৪৯৮, ৩০ মে তৃতীয়বারের জন্য অভিযান শুরু করলেন কলম্বাস। এবার তার সঙ্গী হলো তার পুত্র এবং ভাই। কলম্বাসের জীবনের সৌভাগ্যের দিন ক্রমশই অস্তমিত হয়ে এসেছিল। হিস্পানিওয়ালার স্থানীয় মানুষরা ইউরোপিয়ানদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করল। মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত কলম্বাস অত্যাচারী শাসকের মতো কঠোর হাতে বিদ্রোহ দমন করলেন। শত শত মানুষকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হলো।
কলম্বাসের সহযোগীরাও তার কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল। সম্রাটের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল, তিনি স্বাধীন রাজ্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। তিনি ফ্রান্সিসকো দ্যা বোবদিলা নামে একজন রাজকর্মচারীকে সৈন্যসামান্ত দিয়ে পাঠালেন কলম্বাসের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য। কয়েক দিন ধরে অনুসন্ধান করে রাজ্য স্থাপনের কোনো অভিযোগ না পেলেও কলম্বাসের বিরুদ্ধে নির্বুদ্ধিতার অভিযোগ আনা হলো। কারণ কলম্বাস কোনো সম্পদশালী দেশ আবিষ্কার করার পরিবর্তে সম্পদহীন দেশ আবিষ্কার করেছেন। যার জন্য সম্রাটের বিরাট পরিমাণ অর্থের অপচয় হয়েছে।
এই অভিযোগে প্রথমে বন্দি করা হলো কলম্বাসের ভাই ও পুত্রকে। তারপর কলম্বাসকে। কলম্বাসকে শৃঙ্খলিত করে নিয়ে আসা হলো স্পেনে। তাকে রাখা হলো নির্জন কারাগারে। সেখান থেকেই রানি ইসাবেলাকে চিঠি লিখলেন কলম্বাস।
রানি ইসাবেলা ছিলেন দয়ালু প্রকৃতির। তাছাড়া কলম্বাসের প্রতি বরাবরই ছিল তার সহানুভূতিবোধ। তার চিঠি পড়ে তিনি মার্জনার আদেশ দিলেন। পঞ্চাশ বছরে পা দিলেন তিনি। শরীরে তেমন জোর নেই কিন্তু মনের অদম্য সাহসে ভর দিয়ে চতুর্থ বারের জন্য সমুদ্রযাত্রার আবেদন করলেন। সম্রাট সম্মতি দিলেন, শুধু হিস্পানিওয়ালাতে প্রবেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন।
১৫০২ সালের ১৯ মে কলম্বাস শুরু করলেন তার চতুর্থ সমুদ্রযাত্রা। তার ইচ্ছা ছিল আরো পশ্চিমে যাবেন। পথে তুমুল ঝড় উঠল। নিরুপায় কলম্বাস আশ্রয় নিলেন এক অজানা দ্বীপে।
কলম্বাস পৌঁছেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এক দ্বীপে। সেখান থেকে ফিরে যান জ্যামাইকা দ্বীপে। ক্রমশই তার দেহ ভেঙে পড়ছিল। অজানা রোগে তার সঙ্গীদের অনেকেই মারা গিয়েছিল। দু বছর পর নিরুৎসাহিত মনে স্পেনে ফিরে এলেন।
এরপর আর মাত্র দু বছর বেঁচে ছিলেন। যদিও অর্থ ছিল কিন্তু মনের শান্তি ছিল না। রাজ অনুগ্রহ থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত হয়েছিলেন। তার আবিষ্কারের গুরুত্ব উপলব্ধি করার ক্ষমতা দেশবাসীর ছিল না।
১৫০৬ সালে ভ্যাসাডোলিড শহরে এক সাধারণ কুটিরে সকলের অগোচরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কলম্বাস। সেখান থেকে তার মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে ডেমিঙ্গোতে সমাধি দেয়া হয়।

Latest

হাতের স্পর্শে সত্যিই কি স্তনের আকার বৃদ্ধি

Featured Post

আলট্রাসনগ্রাম ছাড়াই যেভাবে জানবেন গর্ভের শিশু ছেলে নাকি মেয়ে! জেনে নিন বিস্তারিত-

গর্ভবতী নারীদের সঙ্গে তার বন্ধুরা বা আত্মীয়রা কথা বলার সময় অবশ্যই জিজ্ঞেস করেন, শিশুটি ছেলে না কি মেয়ে হবে? এটি প্রায় সকলের জন্য একটি মজ...

jk