Adsterra

a-ads

pop

Tuesday, October 31, 2017

মেদ কমাতে যেসব ফল খাবেন

শরীরের ওজন কমাতে কতজন কতকিছুই না করে থাকেন। শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে কেউ কেউ খাওয়া-দাওয়াই কমিয়ে দিয়েছেন।
মেনে চলছেন অনেক বিধি-নিষেধ। তারপরও কমছে না ওজন। তবে প্রতিদিনের খাবার সম্পর্কে একটু সচেতন থাকলেই শরীরে বাড়তি মেদ জমবে না। দ্রুত শরীরের ওজন কমাতে ফলের বিকল্প নেই। নিচে ওজন কমাতে সহায়ক ৭টি ফল নিয়ে আলোচনা করা হলো :
আপেল : আপেলের পেকটিন ফাইবার পেট ভরানোর পাশাপাশি দেহে মেদের পরিমাণও কমাবে। ভারী খাবার খাওয়ার আগে আপেল খাওয়া তাই উপকারী।
তরমুজ : তরমুজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। দিনে একটা তরমুজ খিদে কমিয়ে দেওয়ার সঙ্গে মেদ জমতেও দেবে না।
লেবু : লেবুতে আছে ভিটামিন সি ও সাইট্রিক অ্যাসিড। যা ওবেসিটির পরিমাণ কমায়।
নারকেল : নারকেল যকৃতের বিপাক হার বাড়িয়ে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে প্রকারান্তরে নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজন।
বেদানা : বেদানা দেহে লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিনের হার কমায়। খিদের হার কমায়।
পেঁপে : পেঁপে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে দেয়। রক্তে শর্করা ওবেসিটির লক্ষণ।
কমলালেবু : কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে পানি, ভিটামিন ও ফাইবার থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ফলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।  

সাত দিনে ওজন কমান


আলসেমি করে ব্যায়ামাগারেও যাওয়া হয়নি। আবার খাবারেও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। শেষমেশ যা হওয়ার তা-ই হলো। ওজন বেড়ে গেল বেশ খানিকটা। কিন্তু দ্রুত খানিকটা ওজন যে না কমালেই নয়। বন্ধুর বিয়ের তারিখ এগিয়ে আসছে! কিংবা কোনো পার্টি। এই চিন্তা যাঁরা করছেন, তাঁদের জন্য সত্যিই কি কোনো সমাধান আছে?এ ব্যাপারে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি ও পথ্যবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ বললেন, সাত থেকে ১৫ দিনের মধ্যে তিন থেকে পাঁচ কেজি ওজন কমানো সত্যিই সম্ভব। নিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়া আর হালকা ব্যায়ামে দ্রুত ওজন ঝরানো যায়। তবে এই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন গেলে শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে। তাই চটজলদি ওজন কমাবেন শুধু খুব প্রয়োজন পড়লে এবং সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য।

l খাওয়ার সময় বেছে খাবার খান। যে খাবারে চর্বি বেশি, সেই খাবার এড়িয়ে চলুন।
l কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ শর্করা আছে এমন খাবার কম খেতে হবে।
l শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে।
l সঙ্গে খেতে হবে আঁশযুক্ত খাবার।
l অবশ্যই ছাড়তে হবে কোমলপানীয়।
l খাবার নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়ামও করতে হবে।
 ওজন কমাতে শরীর চর্চা
খাদ্যাভ্যাসে যেমন পরিবর্তন আনতে হবে, তেমনি শরীর চর্চাও করতে হবে। নিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে শরীর চর্চা করলে ওজন হ্রাস দ্রুত হয়। এমনটাই জানালেন ফিটনেস ওয়ার্ল্ড হেলথ ক্লাবের ব্যবস্থাপক ও প্রশিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান। বললেন, দ্রুত ওজন কমানোর এই পদ্ধতিতে শরীরের প্রয়োজনীয় খাদ্যতালিকা থেকে যেহেতু অনেক কিছুই কাটছাঁট করা হয়, তাই এই সময়টা ভারী ব্যায়াম না করাটাই ভালো। দ্রুত ওজন কমানোর জন্য হালকা ধরনের যে শরীর চর্চাগুলো করতে হবে—
প্রতিদিন নিয়ম করে আধা ঘণ্টা দ্রুত হাঁটতে হবে কিংবা দৌড়াতে হবে।
করতে পারেন ১০ মিনিট সাইক্লিং।
দড়ি লাফের জন্য বরাদ্দ করতে পারেন ১০ মিনিট।
ওঠাবসাও এক ধরনের ভালো ব্যায়াম, এটিও করবেন ১০ মিনিট।
আর যদি সুযোগ থাকে, নিয়মিত সাঁতার কাটুন। দ্রুত ওজন কমবে।

দ্রুত ওজন কমাতে খাদ্য গ্রহণে আনতে হবে ব্যাপক পরিবর্তন। সারা দিনের খাদ্য গ্রহণের এই নমুনা তালিকাটা গেঁথে নিন মাথায়। আর মেনে চললে দ্রুত ওজন কমানো শুধু কয়েক দিনের ব্যাপার।

সকাল ৮টা: শুধু সবজি স্যুপ (ক্লিয়ার)।
সকাল ১০টা: টক দইয়ের লাচ্ছি।
দুপুর ১২টা: টকজাতীয় ফলের রস।
বেলা ২টা : মুরগির স্যুপ (ক্লিয়ার)।
বিকেল ৪টা: সয়া প্রোটিন অথবা সয়া মিল্ক।
সন্ধ্যা ৬টা: ফলের রস।
রাত ৮টা: মুরগির স্যুপ।
তবে যাঁরা রাত জাগবেন, তাঁরা রাত ১০টার দিকে চাইলে একবার সয়া মিল্ক খেতে পারেন।
তবে এই খাদ্যাভ্যাস ব্যক্তির বয়স, ওজন, উচ্চতা ও ব্যক্তি কী ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করছেন তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করবে।

ওজন কমানোর অতি সহজ উপায়

ধুমসি দেহ নিয়ে কারো চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায় না।মানুষ মোটা হয় শর্করা ও স্নেহজাতীয় পদার্থের ফলে।প্রতিদিন স্বাভাবিকের চেয়ে ৫০০ ক্যালরি খাবার কম খেলে প্রায় ১ পাউন্ড ওজন কমানো যায়।ক্যালরি কম গ্রহণ করলে দেহাভ্যন্তরে বাড়তি মেদ ভেঙে গিয়ে দেহকে বাড়তি ক্যালরি জোগান দেয়। সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে প্রতিদিন ১০০০ ক্যালরি খাবার গ্রহণ করে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।মহিলাদের ক্ষেত্রে কোমরের মাপ ৮০ সেন্টিমিটার বা ৩১.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত স্বাভাবিক ধরা যেতে পারে। তবে মহিলাদের কোমরের মাপ ৮৮ সেন্টিমিটার বা ৩৪.৬ ইঞ্চি থেকে বেশি হলে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।ডায়েটিং করলেই মেদ কমানো যায় না।খাবারের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় জিনিস না খেয়ে বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবেন। প্রচুর পানি, শাকসবজি ও ফলমুল বেশি করে খাবেন।সুস্থ জীবনযাপনে ওজন এক বিশেষ শত্রু। একবার দেহের ওজন বৃদ্ধি পেলে সহজেই তা কমানো যায় না। 

ওজন কমাতে আপনার নিজের ব্যাপার নিয়ে নিজেই দায়িত্ব নিতে হবে। কিন্তু তাই বলে নিতান্তই একা নন। আপনি মানসিক জোর পেতে পারেন আপনার সঙ্গীর কাছ থেকে, বন্ধুদের কাছ থেকে। এমন মানুষ নির্বাচন করুন যে কিনা আপনাকে মূল্য দেবে এবং আপনার কথা শুনবে। আপনার শরীর চর্চার সময় আপনাকে সঙ্গ দেবে। ওজন কমানোর জন্য আগে জানতে হবে আপনার আদর্শ ওজন কত, আদর্শ ওজনের চেয়ে কত বেশি আছে, কোন শারীরিক সমস্যা আছে কিনা, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপর ওজন নিয়ন্ত্রণে মনোযোগী হতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আপনার একান্ত আগ্রহ আর মোটিভেশন।রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন।প্রতিবেলা খাবার আগে অবশ্যই এক গ্লাস পানি পান করুন ।ক্ষুধা না পেলে কখনই খাবনে না।সপ্তাহে অন্তত একদিন নিজের ওজন মাপুন। ফোনে কথা বলার সময় হাটুন।সুস্থ্ থাকতে এবং ওজন কমানোর জন্য বেশি খাওয়া বন্ধ করতে হবে।অল্প তেলে রান্না করার অ্ভ্যাস গড়ে তুলুন।ঝোল করে তরকারি রান্না করুন, এতে তেল কম লাগে। ১ চা চামচ কম তেলে রান্না করলে আমরা ১২৪ ক্যালোরি সেভ করতে পারি।অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করতে হবে। কারণ, লবণ শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। 

পেটের মেদ এর সাথে হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সমস্যার জোরালো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়।পেটের মেদ কমাতে হলে প্রয়োজন পুরো শারীরিক ব্যায়াম।৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হালকা জগিং বা জোরে হাটার পর রক্তে চলমান ফ্যাট শেষ হয়ে দেহে সঞ্চিত ফ্যাট ভাঙতে থাকে। তাই এই ৪০ বা ৪৫ মিনিটের পর আপনি যদি ১০ বা ১৫ মিনিট ও জগিং বা জোরে হাঁটতে পারেন, তাহলেই প্রতিদিন একটু একটু করে আপনার জমান চর্বি কমতে থাকবে।পেটে, নিতম্বে, কোমরে ফ্যাট সেল বেশি থাকে।বংশগত কারণেও মানুষ মোটা হতে পারে। ‘ওব জিন’ নামের এক ধরনের জিন থাকে ফ্যাট সেলের মধ্যে। এগুলো ল্যাপটিন নামের এক রকম হরমোন তৈরি করে।আবার যাদের দেহে ব্রাউন এডিপোজ টিস্যু বেশি থাকে তারা মোটা হয় না।কোমরে আর পেটে চর্বি জমাতে যেমন সহজ। ঠিক ততটাই কঠিন সেই চর্বি কমিয়ে ফেলা। কিন্তু কিছু ভালো অভ্যাস ও সাধারণ কিছু ব্যায়াম ধৈর্যের সাথে চালিয়ে গেলে একদিকে বাড়তি মেদ যেমন ঝরবে অন্যদিকে শরীরটা মুটিয়ে যাবার ভয়টাও কমে আসবে অনেকাংশেই। 

ওজন কমানোর মুল মন্ত্র হল মটিভেসন ও একাগ্রতা।শুধু ব্যায়াম করলেই অনেক সময় মেদ কমে না, এর জন্য আপনাকে খাবার গ্রহণে সতর্ক হতে হবে। খাবারে প্রচুর পরিমানে আঁশ জাতীয় খাদ্য যেমন শাক সবজি রাখুন। চর্বি জাতিয় খাবার কম খান। ফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে।নিয়ম মেনে পরিমিত ব্যায়াম করে গেলে ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে পেটের মেদই শুধু নয়, সারা দেহের মেদ কমিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফিগার পেতে পারি।বাড়তি ওজনের জন্য যেকোনো ধরনের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।মেদবহুল ব্যক্তির জরায়ু, প্রস্টেট ও কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা শতকরা ৫ ভাগ বেশি।আজকাল অপারেশনের সাহায্যেও ভুঁড়ি কিংবা মেদ কমানো হচ্ছে।মেদ বা ভুঁড়ি কোনোভাবেই সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নয় বরং নানা অসুখের কারণ-এ কথা মনে রাখবেন।আমিষ বা প্রোটিন খেলে শরীরে জমে থাকা চর্বি কমে যায়। কারণ এই চর্বি শরীরকে শক্তি বা ক্যালরির যোগান দেয়।স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ রান্না মাংস খেলে আমিষের ঘাটতি কেটে যায় এবং মেদও কমে, সামুদ্রিক মাছও হতে পারে আমিষের ভালো উৎস। এ ধরনের মাছে উপকারি চর্বি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। মাছ মেদ কমায়, বিষন্নতা দূর করে, হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখে। 

খাবার সঙ্গে চা পান করা চর্বির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আরেক উপায়।সারা দিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করবেন। এর ফলে আপনার বাড়তি ১০০ ক্যালরি খরচ হবে। অতিরিক্ত ঘুম, মানসিক চাপ, স্টেরয়েড এবং অন্য নানা ধরনের ওষুধ গ্রহণের ফলেও ওজন বাড়তে পারে।নিয়মিত হাঁটা সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। প্রতিদিন নিয়ম করে ১ ঘণ্টা হাঁটতে পারলে খুবই ভালো। সাইকেল চালানো ও সাঁতার কাটাও খুব ভালো ব্যায়াম। ভুঁড়ি কমাতে কিছু আসনের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। এগুলোর মধ্যে ত্রিকোণ আসন, একপদ উত্থান আসন, পবন মুক্তাসন, পশ্চিমোত্থানাসন খুবই কার্যকর।কাঁচা পেঁপে, শশা, গাজর, লেটুস বা ধনিয়া পাতার সালাদ ওজন কমাতে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পেঁপে যুদ্ধ করে দেহের বাড়তি মেদের বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত ওজনের কারনে পায়ে ব্যথা হয় । ওজন কমানোর জন্য আপনার থাকতে হবে- ১০০% ইচ্ছা শক্তি,ধৈর্য্য , ১০০% ডায়েট চার্ট মেনে চলা,প্রতিদিন নিয়ম করে ১ ঘন্টা হাঁটা। অভিনেত্রী মৌ ২০ কেজি ওজন কমিয়েছেন এবং গায়ক আদনান সামী ওজন কমিয়ে দেখিয়েছেন ।হেঁটে যতটুকু ক্যালরি খরচ হলো ঠিক ততটুকু বা তার বেশি ক্যালরি গ্রহণ করা হলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে হাঁটাই বৃথা। 

আপনার ওজন কমানোর প্রধান হাতিয়ার হিসেবে প্রচুর পানি পান করুন।অনেকেই ওজন কমাতে চান। কিন্তু কোনো কষ্ট করতে রাজি না।বাঁধাকপিকে ওজন কমানোর আরেকটি কার্যকর উপায় হিসেবে ধরা হয়। বাঁধাকপি মিষ্টি ও শর্করাজাতীয় খাবারকে চর্বিতে রূপান্তর করতে বাধা দেয়। এ জন্য বাঁধাকপি খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে ওজন কমাতে। এটিকে কাঁচা অথবা রান্না করেও খাওয়া যায়।আগে যেখানে তিনটি রুটি খেতেন, সেখানে দুটি খান। ভাতের ক্ষেত্রেও তাই। ধীরে ধীরে ভাতের পরিমাণও কমিয়ে আনতে পারেন।যেটুকু খাবার কমিয়ে দিচ্ছেন, সেই জায়গাটা ফলমূল ও সবুজ সবজি দিয়ে পূরণ করুন। গাজর, টমেটো, কাঁচা-পাকা পেঁপে, শসা রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়। রিকশার পথটুকু হেঁটে যান, আর ফেরার পথে বিকেলের বাতাস খেতে খেতে হেঁটে আসুন বাসায়। ওজন কমানো এ আর এমন কঠিন কী! 

প্রতিদিন এই ব্যায়াম করুন- চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো সোজা কানের দুই পাশ ঘেসে মাথার উপরে মাটিতে শোয়ানো থাকবে, পা মাটিতে শোয়ানো থাকবে। শ্বাস নিতে নিতে উঠে বসুন (উঠার সময় কনুই দিয়ে মাটিতে ভর দিবেন না, হাত কানের পাশ দিয়ে মাথার উপর উঠানো থাকবে) এবং দুই হাত একসাথে মাথার উপর থেকে নামিয়ে শরীরের দুই পাশ দিয়ে সামনে হাত বাড়ানো অবস্থায় বসুন। এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পায়ের আঙ্গুল ছুতে চেষ্টা করুন। যতটুকু পারুন পায়ের আঙ্গুলের দিকে আগান (প্রথম প্রথম পেটের মেদের কারণে আঙ্গুল ছুতে পারবেন না, মেদ কমে গেলে এরপর পারবেন), এরপর থেমে শ্বাস নিতে নিতে আবার শরীর ঝুকানো অবস্থা থেকে সোজা বসে থাকা অবস্থায় ফিরে যান। এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আগের মত করে শুয়ে পড়ুন। এভাবে ১০ বার করুন। 

মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ। ফাস্ট ফুড, অয়েলি খাবার বাদ। রিচ ফুড/পোলাও/বিরানী এইসব বাদ।দুপুর ২ টায় লাঞ্চ।ভাত ২ কাপ। শাক ১.৫ কাপ। মুরগী বা মাছ ২ টুকরা। ডাল ১ কাপ। মিক্সড ভেজিটেবল ১ কাপ। সালাদ ১.৫ কাপ (লেবুসহ)।মধুতে যদিও চিনি থাকে, কিন্তু এতে ভিটামিন ও মিনারেল থাকার কারণে এটি সাধারণ চিনির মত ওজন না বাড়িয়ে, কমায়।কারণ সাধারণ চিনি হজম করতে আমাদের শরীর নিজের থেকে ভিটামিন ও মিনারেল খরচ করে, ফলে এই সব পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়। এই সব উপাদান ফ্যাট ও cholesterol কমাতে বা ভাঙ্গতে সাহায্য করে। লেবু ওজন কমাতে সাহায্য করে। ১০০% মেনে চলা মুশকিল,এটা আমিও বুঝি কিন্তু পারতে হবে।অনেকে টিভি দেখতে দেখতে বাড়তি খাবার খেতে পছন্দ করে। তবে ওজন কমাতে চাইলে এই অভ্যেস বাদ দিতে হবে।রাতে খাওয়া ছেড়ে দেন অনেকেই। রাতে একদম না খেয়ে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। রাতের খাবার খেয়ে একটু হাঁটাচলা করুন, তারপর ঘুমাতে যান। দুপুরে ভরপেট খেয়ে ঘুম দিলে কিন্তু সর্বনাশ। ওজন কমাতে চাইলে দুপুরের আরামের ঘুমটির কথা একদম ভুলে যান। 

আসুন না দেখি একটু সচেতন হয়ে, কিছু কৌশলের মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ওজনের সাফল্যে পৌঁছাতে পারি কি না?নিয়মগুলো মেনে চলতে শুরু করেই দেখুন। কিছুদিনের মধ্যেই শরীর অনেক বেশি ফুরফুরে অনুভব করবেন। আর ওজন কমানো তো সময়ের ব্যাপার মাত্র।খুবই সাধারণ ও উপকারী এই নিয়মগুলো মেনে চলুন আর ফলাফল নিজেই উপলব্ধি করুন। 

Latest

হাতের স্পর্শে সত্যিই কি স্তনের আকার বৃদ্ধি

Featured Post

আলট্রাসনগ্রাম ছাড়াই যেভাবে জানবেন গর্ভের শিশু ছেলে নাকি মেয়ে! জেনে নিন বিস্তারিত-

গর্ভবতী নারীদের সঙ্গে তার বন্ধুরা বা আত্মীয়রা কথা বলার সময় অবশ্যই জিজ্ঞেস করেন, শিশুটি ছেলে না কি মেয়ে হবে? এটি প্রায় সকলের জন্য একটি মজ...

jk