Adsterra

a-ads

pop

Thursday, July 29, 2021

চোখের যত্ন নেওয়ার সহজ কিছু উপায়

অধিকাংশ সময় মোবাইল, টিভি দেখার কারণে চোখে চাপ পড়বেই। রয়েছে সহজ সমাধান।‌

মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের পানে চেয়ে থাকা ইতোমধ্যেই ছিল আমাদের দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক চিত্র। চোখের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে একে অপরকে সাবধান করতেন প্রায় সকলেই। এরমাঝে এল করোনাভাইরাস। শুরু হল লকডাউন।

আর এখন যতক্ষণ একটা মানুষ জেগে থাকে, তার প্রায় সবটুকু সময়ই চোখ থাকে কোনো না কোনো ‘ডিভাইস’য়ের পর্দায়।

গেইম খেলা, ভিডিও দেখা, অফিসের কাজ, অনলাইন মিটিং, আত্নীয়দের সঙ্গে আলাপ সবই এখন মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে হয়। সব মিলিয়ে চোখের ওপর দিয়ে প্রতিদিন যাচ্ছে উপর্যুপরি ধকল। আবার সেগুলো বাদ দিলে সময় কাটানোই যেন মুশকিল।

এমন পরিস্থিতিতে চোখের ওপর কীভাবে চাপ কমানো যায়, তার একটু যত্ন নেওয়া যায়?

এই বিষয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের টাইটান আই কেয়ার’য়ের ‘অপ্টোমেট্রি অ্যান্ড ট্রেইনিং’ বিভাগের প্রধান রামেশ পিল্লাই বলেন, “হঠাৎ করে বৈদ্যুতিক পর্দায় তাকিয়ে থাকার মাত্রা বেড়ে গেলে চোখে শুষ্কতা ও খচখচেভাব দেখা দেয়, দৃষ্টি ঘোলাটে হয়, থাকতে পারে মাথাব্যথা। সেই সঙ্গে ব্যথা হতে পারে ঘাড়, পিঠ ও কাঁধে। এই সমস্যাকে ‘কম্পিউটার ভিশন সিন্ড্রোম’ বা ‘ডিজিটাল আই স্ট্রেইন’ও বলা হয়। যা পরে বিভিন্ন বড় সমস্যা ডেকে আনে।”

বিরতি জরুরি: একটানা লম্বা সময় বৈদ্যুতিক পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকালে চোখের ওপর চাপ পড়ে এবং তা শুকিয়ে যায়। তাই প্রতি বিশ মিনিট পর ২০ ফিট দূরে কোনো কিছুর দিকে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকার অভ্যাস করতে হবে। এই নিয়মটি ২০-২০-২০ নামেও পরিচিত। এতে চোখ বিশ্রাম পাবে, ধকল কমবে।

পলক ফেলা: বৈদ্যুতিক পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের পলক ফেলার মাত্রা কমে যায়। আর একারণেই মূলত চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। পলক ফেলার মাধ্যমে চোখ আর্দ্রতা পায়, শুষ্কতা ও জ্বালাপোড়া কমে। তাই পলক ফেলার পরিমাণ বাড়ান নিজ চেষ্টায়।

ফন্ট বাড়ানো: মোবাইল বা কম্পিউটারে কোনো কিছু পড়ার সময় সেগুলোর ‘ফন্ট’ বাড়িয়ে লেখা বড় করে নিতে হবে। এতে ডিভাইসটি চোখের কাছে আনতে হবে না কিংবা ভালোভাবে দেখার জন্য চোখ কুঁচকে তাকাতে হবে না। এতে চোখের ওপর ধকল যেমন কমবে তেমনি ডিভাইস থেকে দূরে থাকার কারণে ক্ষতির মাত্রাও কমবে।

চোখে সহায়ক পর্দা: বৈদ্যুতিক পর্দার ‘ব্রাইটনেস’, ‘রেজোল্যুশন’, ‘কনট্রাস্ট’ এগুলোর মাত্রা পরিবর্তন করে তা চোখের জন্য সহায়ক করতে জানতে হবে। কড়া রোদে বৈদ্যুতিক পর্দা ব্যবহার থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিন একবার হলেও ডিভাইসের স্ক্রিন পরিষ্কার করতে হবে, যাতে দেখা সহজ হয়।

ডিভাইস পরীক্ষা: মনিটরের ‘সেটিংস’ পরিবর্তন করে কীভাবে উজ্জ্বলতা কমানো যায় সেদিকে মনযোগ দিতে হবে। মনিটরের উচ্চতা হওয়া উচিত চোখের সমান্তরালে। এতেও চোখের ওপর চাপ কমে।

পর্দা থেকে দূরত্ব রাখা: মোবাইল ব্যবহারের সময় তা চোখের খুব কাছে থাকে। এতে চোখের যেমন ক্ষতি হয় বেশি তেমনি মোবাইলের দিকে ঝুঁকে থাকার কারণে ঘাড়েও ব্যথা হয়। তাই দূর থেকে মোবাইলের পর্দা দেখার অভ্যাস করতে হবে। ঘাড় বাঁকা না করে মোবাইল চোখের সমান্তরালে তুলে ধরার অভ্যাস করতে হবে। আর মোবাইলের ‘ব্রাইটনেস’ যেন চোখের জন্য সহনীয় হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

প্রতিফলন কমানো: মনিটর জানালা থেকে দূরে থাকা উচিত। জানালার দিকে মুখোমুখি বসে কম্পিউটার চালানো থেকেও বিরত থাকতে হবে। চোখে সমস্যা থাকুক আর না থাকুক ‘অ্যান্টি-রিফ্লেকশন’ কিংবা ‘ব্লু কোটিং’ দেওয়া চশমা ব্যবহার করতে হবে কম্পিউটার চালানোর সময়। সকল ‘এলইডি ডিভাইস’ থেকে চোখের জন্য ক্ষতিকর নীল আলো নিঃসরিত হয় যার সংস্পর্শে আসার মাত্রা অতিরিক্ত হলে বড় ক্ষতি হতে পারে।

চোখের জন্য উপকারী খাবার: ‘ডিজিটাল আই স্ট্রেইন’ কমানো জন্য ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ খাবার থাকতে হবে খাদ্যাভ্যাসে। রাতে সময় মতো ঘুমাতে হবে এবং আট ঘণ্টা নির্ভেজাল ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। পত্রল শাকসবজি, গাজর, পেঁপে, খেজুর ইত্যাদি ভিটামিন এ’র উৎকৃষ্ট উৎস যা চোখের সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।

চোখের আর্দ্রতা: ‘ওমেগা থ্রি অয়েল’ চোখ পিচ্ছিল রাখে, আর্দ্রতা যোগায়। ‘ফ্লাক্সসিড অয়েল’, ‘স্যামন’ ও ‘সার্ডিনস’ মাছ ওমেগা থ্রি অয়েল’য়ের আদর্শ উৎস। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ‘সাপ্লিমেন্ট’ও গ্রহণ করা যেতে পারে। এছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন চোখে ব্যবহার্য ‘লুব্রিকেটিং ড্রপ’, বিশেষ করে যারা ‘কন্ট্যাক্ট লেন্স’ ব্যবহার করেন। তবে এখানেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।

No comments:

Post a Comment

আপনার মেসেজের জন্য ধন্যবাদ, আপনাদের সকল মেসেজ গুলি আমি দেখি, ব্যাস্ততার জন্য অনেক সময় উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়না, আশা করি সময় করে সবার উত্তর দিবো, ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

Latest

হাতের স্পর্শে সত্যিই কি স্তনের আকার বৃদ্ধি

Featured Post

আলট্রাসনগ্রাম ছাড়াই যেভাবে জানবেন গর্ভের শিশু ছেলে নাকি মেয়ে! জেনে নিন বিস্তারিত-

গর্ভবতী নারীদের সঙ্গে তার বন্ধুরা বা আত্মীয়রা কথা বলার সময় অবশ্যই জিজ্ঞেস করেন, শিশুটি ছেলে না কি মেয়ে হবে? এটি প্রায় সকলের জন্য একটি মজ...

jk