শীতে প্রায়ই হাত ও পায়ে খসখসে ভাব, কালো হয়ে যাওয়াসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায় । এজন্য হাত ও পায়ের নিয়মিত যত্নের প্রয়োজন । নিয়মিত যত্ন নিলে আপনার হাত ও পা থাকবে নরম, কোমল ও মসৃণ । জেনে রাখুন হাত ও পায়ের সুরক্ষায় কিছু প্রয়োজনীয় টিপস ।কনুইয়ের খসখসে ও কালো ভাব দূর করতে বাদাম তেল ও তিলের তেল একসাথে মিশিয়ে লাগাতে পারেন ।
হাত ও পায়ের স্ক্রাব: চিনি ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে এই মিক্সটি দিয়ে ভালো করে স্ক্রাব করে নিন । হাত-পায়ের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে ।
হাত ও পায়ের প্যাক: বেসন, গুঁড়ো দুধ আর মধু একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরী করে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন কমপক্ষে ২০ মিনিট ।
পা সুন্দর রাখতে চাইলে একটি ছোট বোলে পানি ও লেবুর রস মিশিয়ে ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে আপনার সানবার্ন ও পায়ের গন্ধ দুর হবে এবং পা ফর্সা হবে।
রোদে পোড়া দাগ দূর করতে টক দইয়ের প্যাক বিশেষ উপকারী । সমপরিমাণে শশার পেস্ট ও টক দই মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন । এটি আপনার ত্বকে হারানো গ্লো ফিরিযে নিয়ে আসবে ।হাত ও পায়ের নখের যত্নে নেইল অয়েল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন । এতে নখ ভেঙ্গে যাওয়ার সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন ।
রাতে ঘুমানোর আগে হাত-পায়ে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ঘুমালে সকালে পাবেন কোমল ও নমনীয় ত্বক ।মুখের তুলনায় হাত-পায়ের যত্ন সবসময়েই কম নেওয়া হয়, এজন্য মুখের তুলনায় হাত ও পায়ের রং কালো দেখা যায় । নিয়মিত আপনার হাত ও পায়ের যত্ন নিন ।
শীতে পায়ের নিচের ত্বক অন্য সময়ের চেয়ে বেশি শুষ্ক থাকে। তাই পা ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় পায়ের নিতে হয় বাড়তি যত্ন।তবে পা ফাটা অনেক সময় মারাত্মক আকার ধারণ করে। পা ফেটে রক্ত বের হওয়ার উপক্রম হয়। ব্যথা হয়, তখন হাঁটতেও সমস্যা হয়। আর দীর্ঘদিন পা ফাটার সমস্যা থেকে ইনফেকশন হতে পারে।পা ফাটার সমস্যায় বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন আপনি। তবে পা ফাটার সমস্যায় পেঁয়াজের রস ব্যবহারে ভালো উপকার পেতে পারেন।
জেনে নিই পা ফাটায় পেঁয়াজের ব্যবহার-
পেঁয়াজের রস পা ফাটার জন্য খুবই উপকারী। পেঁয়াজের রস পায়ের শুষ্কতা দূর করে। পেঁয়াজের মধ্যে রয়েছে ফসফরাস, দস্তা, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন। এ ছাড়া শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন (ক্ষতিকর পদার্থ) বের করে দেয় পেঁয়াজ। সেই সঙ্গে ঠিক রাখে রক্ত প্রবাহ।পেঁয়াজে আরও রয়েছে ভিটামিন এ, সি ও ই। ভিটামিন সি ত্বককে সুস্থ রাখে এবং ভিটামিন ই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। আর এসব ভিটামিনই ত্বককে যাবতীয় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়।
ব্লেন্ডারে পেঁয়াজ ব্লেন্ড করে রস বানিয়ে তার মধ্যে এক চামচ মধু ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে গোড়ালির ফাটা স্থানে ব্যবহার করুন। ২০ থেকে ২৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা পানিতে পা ধুয়ে নিন। এক সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন পা ফাটা দূর হবে।
শীত আসছে। সবাই এ সময় ত্বকের একটু বাড়তি যত্ন নিয়ে থাকেন। তবে পায়ের গোড়ালির দিকে নজর একটু কমই থাকে। এ সময় অনেকের পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। যাঁরা এ বিড়ম্বনায় পড়তে চান না, তাঁরা একটু বাড়তি যত্ন নিতে পারেন।
Read More :
শুষ্ক মৌসুম আর আর্দ্রতার ঘাটতিতে এ সমস্যা হয়। পা ফাটলে পায়ের গোড়ালিতে যন্ত্রণা হতে থাকে। পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে তা সারাতে ঘরোয়া কিছু সমাধান নিজেই করতে পারেন। পা ফাটা সারানোর উপায়গুলো জেনে নিন:
মোমবাতির মোম: মোমবাতির মোমের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে তা ফাটা স্থানে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে পা ফাটা সেরে যাবে।
গ্লিসারিন ও গোলাপজল: গোলাপজলের সঙ্গে কিছুটা গ্লিসারিন মিশান। এই মিশ্রণ পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে পা ফাটা ও ব্যথা কমবে।
তিলের তেল: পা ফাটা সমস্যা সমাধানে তিলের তেল দারুণ কার্যকর। পায়ে তিলের তেল মাখলে পা ফাটা দূর হয়।
ভ্যাসলিন ও লেবুর রস: ভ্যাসলিনের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে তা ফাটা স্থানে মালিশ করুন। এতে ওই মিশ্রণ সেখানে শোষণ হয় বলে পা ফাটা দ্রুত সেরে যায়।
মধু-পানি: এক কাপ মধু আধা বালতি গরম পানিতে মিশিয়ে এতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে পা ফাটা দূর হবে।
তথ্যসূত্র: জিনিউজ।
Read More:কোনো মেয়ে অন্য কারো সাথে শা’রী’রিক সম্পর্ক করে কিনা বোঝার উপায়
No comments:
Post a Comment
আপনার মেসেজের জন্য ধন্যবাদ, আপনাদের সকল মেসেজ গুলি আমি দেখি, ব্যাস্ততার জন্য অনেক সময় উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়না, আশা করি সময় করে সবার উত্তর দিবো, ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।