শেখ রাসেল শিশু পার্ক
শেখ রাসেল শিশু পার্ক (Sheikh Rasel Shishu Park) গোপালগঞ্জ জেলায় টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থিত একটি পরিবারিক বিনোদন কেন্দ্র। মধুমতী নদীর তীরে চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশে নিয়ে গড়ে উঠা এই পার্কটি সব বয়সী মানুষকে সমানভাবে আকৃষ্ট করে। তাই প্রতিদিনই অসংখ্য দর্শনার্থীর পদচারনায় শেখ রাসেল শিশু পার্ক মুখর হয়ে উঠে।
প্রায় ৫ একর জায়গা জুড়ে স্থাপিত শেখ রাসেল শিশু পার্কে ১৪টিরও বেশি বিভিন্ন আকর্ষণীয় রাইড রয়েছে। এদের মধ্যে মেরীগো রাউন্ড, ওয়ান্ডার হুইল, মাল্টি স্লাইড, প্যাডেল বোর্ট, স্প্রীং কার, দোলনা ও ফ্লাইবার অন্যতম। শেখ রাসেল শিশু পার্ক প্রতিদিন সকাল ৯ টা হতে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। আর পার্কে প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ১০ (দশ) টাকা।
কিভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকা থেকে বাসে করে সরাসরি টুঙ্গিপাড়া যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে বাস যোগে টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার দুইটি রুট রয়েছে। গাবতলী থেকে পাটুরিয়া হয়ে টুঙ্গিপাড়ার দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার। আর গুলিস্তান থেকে মাওয়া ঘাট হয়ে টুঙ্গিপাড়ার দূরত্ব ১৬০ কিলোমিটার। গাবতলী রুটে চলাচলকারী গোল্ডেন লাইন, কমফোর্ট লাইন, সেবা গ্রিন লাইন বাসের জনপ্রতি সীটের ভাড়া ৩৫০ টাকা। গুলিস্তান রুটে চলাচলকারী সেবা গ্রিস লাইন, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ও মধুমতী পরিবহনের বাসে প্রতিজন ৩০০ টাকা ভাড়ায় টুঙ্গিপাড়া যাওয়া যায়।
গোপালগঞ্জ থেকে টুঙ্গিপাড়া
গোপালগঞ্জ শহরের বেদগ্রাম এবং পুলিশ লাইন মোড় থেকে ৩০ মিনিট বিরতিতে লোকাল বাস টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বাসের ভাড়া লাগে ৪০ টাকা।
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া থানার পাটগাতি বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে শেখ রাসেল পৌর শিশু পার্কের অবস্থান। সড়ক পথে ইজিবাইকে পার্কে যেতে ৫ টাকা ভাড়া লাগে।
কোথায় থাকবেন
গোপালগঞ্জ জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকার জন্য হোটেল পলাশ, হোটেল রানা, হোটেল তাজ, হোটেল সোহাগ, হোটেল রিফাত এবং হোটেল শিমুল নামে বেশ কয়েকটি সাধারণ মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। ধরণ এবং মান অনুযায়ী এসব হোটেলে রুম ভাড়া ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।
এছাড়া টুঙ্গিপাড়া থানা রোডে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মধুমতি নামের মোটেলে এসি ও ননএসি রুমে থাকতে ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা লাগবে এবং মধুমতি মোটেলের ডরমেটরিতে থাকতে হলে ২০০ টাকা গুনতে হবে। ফোন: 02-6656349, 01712-563227।
শেখ রাসেল শিশু পার্ক (Shek Rasel Shisu /Children Park) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শিশু ও পরিবারসহ ঘুরে বেড়ানোর জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। পার্কের কাছেই মধুমতী নদী। চমৎকার পরিবেশে ফুলে ফুলে সাজানো পার্কটি সব বয়সী মানুষকে মুগ্ধ করবে। প্রতিদিনই শিশু-কিশোর-তরুণ-তরুনীসহ সব মানুষের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে শেখ রাশেল শিশু পার্ক।
সাধারণত সরকারি ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার এই দুই দিন মানুষের উপচেপড়া ভিড় থাকে পার্কটিতে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধি কিংবা সারাসরি শেখ রাসেল শিশু পার্কটি দেখতে আসা মানুষের সমাগম থাকে চোখে পড়ার মতো। সময় সব বয়সের মানুষের পদচারনায় পার্কটি মিলন মেলায় পরিনত হয়ে উঠে। গোপালগঞ্জ ছাড়াও পার্শ্ববতী খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, নড়াইল, চিতলমারী, পিরোজপুর, চৌগাছা, সাতক্ষীরা ও মাগুরাসহ বেশ কয়েক জেলা উপজেলা থেকে দর্শনার্থিরা ভিড় করেন টুঙ্গিপাড়া শেখ রাসেল শিশু পার্কটি ।
৫.০০ একর জমির উপর স্থাপিত হয়েছে পার্কটি। পার্কে সর্বমোট রাইড রয়েছে ১৪টি। মেরীগো রাউন্ড-১টি, ওয়ান্ডার হুইল-১টি, মাল্টি স্লাইড-১টি, প্যাডেল বোর্ট-৪টি, সী-স-১টি, স্প্রীং গাড়ী-১টি, দোলনা-২টি, ফ্লাইবার-২টি।
শেখ রাসেল শিশু পার্কের প্রবেশমূল্য ১০/- (দশ) টাকা মাত্র। সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকাল ৫.০০ টা পর্যন্ত সপ্তাহের ৭ দিনই খোলা থাকে।
কিভাবে যাওয়া যায়:
বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে সড়ক পথে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া থানা পাটগাতি বাজার বাসস্ট্যান্ড। এখান থেকে মাত্র ১.২০ কি: মি: উত্তরে শেখ রাসেল পৌর শিশু পার্কের অবস্থান। সড়ক যোগে ইজিবাইক, ভ্যান, মাহেন্দ্র, টেম্পু যে কোন যান যোগে আসতে পারবেন এ শিশুপার্কে।ভাড়া ৫ টাকা।
No comments:
Post a Comment
আপনার মেসেজের জন্য ধন্যবাদ, আপনাদের সকল মেসেজ গুলি আমি দেখি, ব্যাস্ততার জন্য অনেক সময় উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়না, আশা করি সময় করে সবার উত্তর দিবো, ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।