জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ যৌনতা। অনেকে বলেন, যৌনতা সকলের অধিকার। যদিও অনেকেই সঙ্গীর অভাবে যৌনতা যথাযথভাবে উপভোগ করার সুযোগ পান না। সঙ্গী থাকলেও কারও কারও ক্ষেত্রে হয়তো তা হয় অনেক বেশি বয়সে। সেক্ষেত্রে কিন্তু এবার থেকে তাঁদের ‘বিকলাঙ্গ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হতে পারে। এক কথায়, সঙ্গী জোগাড় করার অক্ষমতাকেও এবার বিকলাঙ্গ বলার অন্যতম কারণ বলে ধরে নেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুধু তাই নয়, ঘুরিয়ে প্রজননে অক্ষমতাকেও সেই একই শ্রেণিভুক্ত করা হবে। বলা হয়েছে, কোনও সাধারণ দম্পতি যদি নিয়মিত ১২ মাস যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার পরও গর্ভধারণে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদেরও বিকলাঙ্গ হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। তবে, এক্ষেত্রে শর্ত হল, ওই দম্পতিকে অবশ্যই অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে হবে, এবং সন্তান ধারণের চেষ্টা করতে হবে।
আরো পড়ুন বিস্তারিত জানুন:আপনার স্ত্রীর সাথে সেক্স কীভাবে করা যায়!
ভাবছেন, হঠাৎ কেন এমন বদখত নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে WHO? আসলে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাল উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপটি করতে চাইছে। আসলে ‘হু’ প্রত্যেক নাগরিকের প্রজননের অধিকার নিশ্চিত করতে চাইছে। তাই যৌন সঙ্গী জোগাড়ে ব্যর্থ যারা, তাদের চিহ্নিতকরণের জন্য এই উদ্যোগ। তাছাড়া, যারা প্রজননে অক্ষম, তাদের জন্য কৃত্রিম প্রজননের ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে চাইছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাই, মূলত চিহ্নিতকরণের জন্য এই নির্দেশিকা। আগামী বছরই গোটা বিশ্বের সব দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকে এই নির্দেশিকা পাঠানো হবে।তাদের সম্মতি মিললেই আইন চালু হবে বিশ্বজুড়ে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই নির্দেশিকা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি।
No comments:
Post a Comment
আপনার মেসেজের জন্য ধন্যবাদ, আপনাদের সকল মেসেজ গুলি আমি দেখি, ব্যাস্ততার জন্য অনেক সময় উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়না, আশা করি সময় করে সবার উত্তর দিবো, ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।