রসুন ছাড়া রান্নাঘর যেন কল্পনাই করা যায় না। রসুন বাদ দিয়ে রান্না যেন কল্পনার অতীত। কিন্তু রান্নার স্বাদ গন্ধ বৃদ্ধির পাশাপশি, রসুনের রয়েছে আরও অনেক স্বাস্থ্যকর গুণাগুণ। নিয়মিত রসুন খেলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা যেমন উপশম হয়, তেমন বজায় থাকে সুস্বাস্থ্য। তাই ভালো থাকতে নিয়মিত রসুন খাওয়া প্রয়োজন।
অনেক প্রবীণ মানুষদের আজও প্রত্যেক দিন সকালে নিয়ম করে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খাওয়া অভ্যাস আছে। যাদের হার্টের সমস্যা বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাদের জন্যও উপকারী রসুন। আসুন রসুনের বিস্তারিত গুণাগুণ জেনে নেই-
সর্দি কাশির সমস্যা উপশম-কাঁচা রসুন সর্দি কাশির সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। যাদের সহজেই সর্দি কাশির সমস্যা আছে তাদের পক্ষে নিয়মিত দুই কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়া উপকারী। বাচ্চা ও শিশুদের ক্ষেত্রে গলার কাছে কফ জমে থাকার প্রবণতা দূর করতেও উপকারী রসুন।
হার্টকে ভালো রাখতে-
রসুনে অ্যালিসিন নামক একটি পদার্থ বর্তমান যা এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্টকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত রসুন খেলে দেহে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা কমে। উচ্চ রক্তচাপ হার্টের ক্ষতি করে। নিয়মিত রসুন খেলেও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। এই করোনা আবহে যখন চিকিৎসকরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বলছেন, তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারে রসুন।
ক্যান্সার প্রতিরোধে রসুন-
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে রসুনে উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুস, প্রোস্টেট, ব্লাডার, যকৃৎ, ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। যাদের পেপটিক আলসার আছে নিয়মিত রসুন খেলে তারাও সুফল পাবেন।
ওজন হ্রাস করে-
ওজন বৃদ্ধি নানা শারীরিক সমস্যার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়। দেহের চর্বিযুক্ত কোষ যাঁরা ফ্যাট জমিয়ে রাখে তাদের প্রতিহত করে। এর ফলে ওজন কমে। এছাড়াও রসুন দেহে থার্মজেনেসিস জাতীয় পদার্থ বৃদ্ধি করে, যা ফ্যাট গলাতে ও খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment
আপনার মেসেজের জন্য ধন্যবাদ, আপনাদের সকল মেসেজ গুলি আমি দেখি, ব্যাস্ততার জন্য অনেক সময় উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়না, আশা করি সময় করে সবার উত্তর দিবো, ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।