চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের এই যূগে মুক্ত-বাজার অর্থনীতি, গ্লোবালাইজেশন এবং একই সাথে তথ্য-প্রযুক্তির ক্রমাগত উৎকর্ষের ফলে ব্যবসা-বানিজ্যকে কোন দেশ বা মহাদেশের সীমানায় আটকে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে, অভ্যন্তরীণ গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য বেচাকেনায় তুমুল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি কিছু কিছু পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকায় আবার বাংলাদেশেও বৈদেশিক পণ্যের চাহিদা ও ঘাটতি থাকায় আমদানি-রপ্তানি খাতে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
কোন ব্যবসায়ী বা শিল্পোউদ্যোগতা বিদেশ থেকে দেশে কোন কাঁচামাল বা পন্য আমদানি করতে চাইলে আবার বাংলাদেশে উৎপাদিত কোন পন্য বিদেশের বাজারে রপ্তানী করতে চাইলে তার ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট লাইসেন্সে থাকা বাধ্যতামূলক।
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আজকের এই আর্টকেলে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট লাইসেন্সের বা সংক্ষেপে IRC and ERC আবেদন কি ভাবে করতে হয়, সে সম্পর্কে।
এই লাইসেন্স প্রদান এবং নবায়ন এবং এ সংক্রান্ত রেগুলেটরি অথরিটি হলঃ
Office of the Chief Controller of Imports & Exports (CCI&E)
প্রথমে জেনে নিই কে বা কারা এই লাইসেন্স পেতে পারে-
কোন প্রোপ্রাইটরশিপ কনসার্ন বা একমালিকানাধিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
কোন পার্টনারশিপ ফার্ম
বা কোন লিমিটেড কোম্পানি
আমদানী এবং রপ্তানী লাইসেন্স দুইটা কিন্ত আলাদা লাইসেন্স এবং আলাদা ভাবে নিতে হয়, তবে প্রসেস একই রকম।
আমদানী বা রপ্তানী লাইসেন্স আবেদনের জন্য কি কি ডকুমেন্টস দরকার হয়ঃ
ট্রেট্রেড লাইসেন্স দরকার হবে;
2 মেম্বারশিপ সার্টিফিকেট দরকার হবে;
3) মালিকের টিআইএন সার্টিফিকেট;
মামালিকের জাতীয় পরিচয়পত্র;
5) মালিকের পাসপোর্ট সাইজের ছবি;
6) ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট;
7) ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন সার্ফিকেট এর কপি;
আপনার প্রতিষ্ঠান যদি পার্টনারশিপ ফার্ম হয়, তাহলে পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্টের কপি;
আপনার প্রতিষ্ঠান যদি লিমিটেড কোম্পানি হয় তাহলে আরজেএসসি কর্তৃক অনুমোদিত মেমোরান্ডাম অফ এসোসিয়েশন, আর্টিকেলস্ অফ এসোসিয়েশন এবং সার্টিফিকেটস্ অফ ইন-করপরেশনের কপি।
কোম্পানীর পরিচালকদের নাম,ঠিকানার, কোম্পানীর নামে ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন সার্ফিকেট ইত্যাদি।
এবং সরকার নির্ধারিত কোডে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি এর টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে অথবা সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায় জমা প্রদানের পর জমার রশিদ।
আই আর সি এবং ই আর সি লাইসেন্সের জন্য কত টাকা ফিস দিতে হয়-
ফিস এর তালিকা আপনারা স্ক্রিনে দেখতে পাচ্ছেন, এই ফিস বিভিন্ন সময়ে আপডেট হয়ে কম-বেশি হতে পারে এবং এর সাথে ১৫% ভ্যাট ও অন্যান্ন শুল্ক যুক্ত হতে পারে, তাই সঠিক ফিস এর পরিমান জানার জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ভিজিট করুন বা অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
এই আবেদন অফ-লাইন এবং অনলাইনে দুই ভাবেই করা যায়।
অফলাইনে করার ক্ষেত্রে আমাদানী ও রপ্তানী নিয়ন্ত্রকের প্রধান কার্যালয় ঢাকা থেকে কিংবা আপনার সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কার্যালয় গিয়ে নির্ধারিত ফর্মে যাবতীয় সাপোর্টিং ডকুমেন্টের কপি সংযুক্ত করে জমা দিতে হবে।
আর অনলাইনে করার ক্ষেত্রে সি সি আই ই এর ওয়েব এপ্লিকেশনের লগিন করে প্রয়োজনীয় তথ্য ইনপুট করে যাবতীয় সাপোর্টিং ডকুমেন্টস্গুলো স্ক্যান ঙ্করে আপলোড করে সাবমিট করতে হবে।
সবকিছু ঠিক থাকলে সাধারনত ২-৩ এর ভেতর আইআরসি বা ইআরসি সার্টিফিকেট পাওয়া যায়।
আপনারা যারা একটা কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করতে চান, তারা চাইলে এখানে ক্লিক করে বাংলাদেশে একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী গঠনের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
তো বন্ধুরা আজকের লেখাটি এ পর্যন্তই, এই রকম তথ্য-বহুল বিভিন্ন আর্টকেল সবার আগে আপনার ইনবক্সে পেতে আমাদের নিউজ-লেটারে সাবস্ক্রাই করে রাখতে পারেন। ইনশাল্লাহ দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন ব্লগ পোস্টে নতুন কোন বিষয় নিয়ে, সে পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
Import/ Export বিষয়ক যে কোন প্রয়োজনে আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন। সরাসরি চলে আসতে পারেন এই ঠিকানায়; "Joy & Associates" 28, Kawran Bazar, Taz Mansion (3rd Floor) Room- 401, Dhaka – 1215 আমাদের ই-মেইল করুন: miltankumarmondal95@gmail.com এ বা প্রয়োজনে ফোন করুন: 01311654887,01611304690 নম্বরে। ধন্যবাদ।